Wednesday, 20 October 2010

আজ আমার ব্লগ বাড়িতে আনন্দের জোয়ার

ভোরে ঘুম থেকে উঠে জানালার পর্দা সরাতেই দেখি উঠানে দুটি ম্যাগপাই পাখি ঘুরে বেড়াচ্ছে। বাংলাদেশে জোড়া শালিককে যেমন শুভ ধরা হয় তেমনি বিলাতে ম্যাগপাই। শীতের আগমনি বার্তা জানান দিচ্ছিল ভোরের কুয়াশাছন্ন আকাশ। তাপমাত্রা ছিলো ৪ ডিগ্রিরও কম। যদিও কিছু সময় পরে উজ্জ্বল সূর্যকিরণে চারপাশ রক্তিম হয়ে উঠে। আজকের দিনটি আমাদের জন্য শুভ। কারণ ২০০৬ সালের ২০শে অক্টোবর শবে কদরের রাতে আমার মেয়ে তেহ্বজিব শরীফ জন্ম গ্রহন করে। আমাদের সন্তান। অনেক আখাংকার, অনেক প্রতিক্ষার।

আজ সকালে ঘুম থেকে জাগিয়েছি You Tube থেকে Beatles-এর Happy Birthday গান শুনিয়ে। কাল গভীর রাত পর্যন্ত আমি আর তার মা মিলে স্কুলের জন্য কেক বানিয়েছি। সকালে উঠে সেইটা আবার সুন্দর করে সাজিয়ে দিয়ে স্কুলে দিয়ে এসেছি। মেয়ে আমার কত খুশী! আগেই বলেছিলো বন্ধুদের সাথে কেক কাটবে। আবার স্কুলে যাওয়ার সময় পাশের বাসার ভারতীয় ডাঃ বিশাল ও তার স্ত্রী যখন উইশ করে তখন লজ্জায় মুখ লুকায়। বড় একটা পিয়ানো কিনে লুকিয়ে রেখেছি। সন্ধ্যায় তার মা হাসপাতাল থেকে বাড়ী ফিরে আসলেই দিবো। মেয়ের জন্মদিনে তারচেয়ে আমাদের খুশী আরো বেশী। নিঃস্বন্গ আর জেলো প্রবাস জীবনে খুশীর উপলক্ষ খুব কম আসে। তাই আজ শুধু আমার ব্লগ বাড়িতেই নয় সবখানেই খুশির ছটা।
এই আনন্দ ব্লগীয় বন্ধুদের সাথে শেয়ার করার প্রয়াসে এই পোস্ট।

ক্রিকেটকে জাতীয় খেলা করার দাবি লগে গাজি মামার ফিচলামি আর তালিবালি কিসু কতা

কাইলকা একটা পোস্টাইসিলাম। ক্রিকেটকে জাতীয় খেলা ঘোষনা দেয়া হউক এইখানে দেখুন। যেনো জোকের মুখে নুন পড়সে। সক্কালে ফেসবুকে যাইয়া দেখি গাজি মামা মেসেজ দিসে - " আমারে আর শহিদরে লইয়া তুই সুখে থাকতে পারলি না? কি অমন ভূতে কিলাইসে তুই ক্রিকেটরে জাতীয় খেলা করতে কইলি? সামুতে তো তরে মাইনাসের বন্যায় ভাসাই দিসে। খুব ভালা হইসে। আমাগোরে গুতানোর সময় মনে থাকে না। এক্কন মজা বুঝ।"

যাওগ্গা মামার যা বুঝনরে তা বুজছে আর আমার যা কওনের আমি কইসি। হ্য়ত হুজুগে লেখাটা লিখসিলাম মাগার আমার চাইতে বড় হুজুগে পাবলিক আসে তারও প্রমান বিয়াফক মাইনাস। মাইনাস পাইসি কুনু দুসঃকু নাই। কিন্তু কিসু পাবলিক যেই কমেনটাইসে তাতে জ্বালা বাড়সে। কেউ কইসে পাগলা আর কেউ কইসে মাতাল। যারা বাজে কমেনটাইসে তাগোরে জিগাই : কাবাডি খেলার নিয়ম জানেন নি না হুদাই চিল্লাইসেন?

কাবাডি ঐতিহ্যমন্ডিত জাতীয় খেলা এতে কুনু সন্দেহ নাই। কিন্তু এই জাতীয় খেলারে আমরা কতটুকু মর্যাদা দিতাসি? জাতীয় খেলার জাতীয় দলের খেলোয়াড়ের নাম কয় জনে কইতে পারবো? আইচ্ছা ঐটা বাদ। জাতীয় খেলার জাতীয় দলের অধিনায়কের নাম কয়জনে জানে? টিভি চ্যানেলে খেলার সংবাদের আগে ক্য়টা টিভি চ্যানেলে কাবাডি খেলার ক্লিপিং দেখায়? জাতীয় খেলারে যদি মর্যাদাই দিতে না পারি তাইলে নাম কা ওয়াস্তে রাইক্কা লাভ কি???

আমরা হইলাম হুজুগে জাতি। আইজকা হয়ত সাকিবরা ভালা করসে বইল্যা এই দাবি করতেসি। কাইলকা খারাপ করলে জিরো পয়েন্টে ন্যাংটা কইরা পিডানোর দাবি করুম। মাগার জাতীয় খেলার ব্যাপারে আমার দাবি পরিস্কার জাতীয় খেলা যেইটাই হউক, এর যথাযথ মর্যাদা দেওয়া হউক।

ক্রিকেটকে জাতীয় খেলা ঘোষনা দেয়া হউক

এই মুহুর্তে বাংলাদেশের জাতীয় খেলা কাবাডি। আর্ন্তজাতিক পরিমন্ডলে এই খেলাটির আর চল নাই। এমন কি সাফ গেমসগুলোতে মাঝে মাঝে কাবাডি বাদ দেয়ার অবস্হা হয়। অথচ অলিম্পিকে টুয়েন্টি-টুয়েন্টি ক্রিকেট যুক্ত করার চিন্তা ভাবনা চলছে। অনেকে বলবেন কাবাডি আমাদের ঐতিহ্য। গ্রাম- বাংলার মাটি ও মানুষের খেলা কাবাডি। কিন্তু আজকে গ্রাম বাংলার কয়জন ছেলে মেয়ে কাবাডি খেলতে চায়? সবাইতো পারলে সাকিব আর তামিম হইতে চেস্টা করতেসে। কাবাডি থেকে বাংলাদেশ কি পেয়েছে? সর্বোচ্চ সাফ গেমসে স্বর্ণ। দেশবাসি কি তাতে আনন্দিত হয়ে রাস্তায় মিছিল করেছিলো? নিশ্চয় নয়। কারণ তাতে কারো কোনো খবর নাই। কিন্তু সেই ১৯৯৮ সাল থেকে ক্রিকেট জাতিকে বারবার আনন্দ দিয়েছে। আমরা উল্লাসে ফেটে পড়েছি। সর্বশেষ নিউজিল্যান্ডের সাথে সিরিজে ক্রিকেটাররা আমাদের গর্বিত করেছে। তাই ডিজিটাল সরকারের কাছে ক্রিকেট পাগল জনগনের আকুল আবেদন, আধুনিক জাতি হিসাবে নিজেদের বিশ্বের দরবারে পরিচয় তুলে ধরার জন্য এবং ক্রিকেটের সার্বিক মংগলের জন্য ক্রিকেটকে জাতীয় খেলা ঘোষনা দেয়া হউক।

শাহিদ ভায়া। এক মহান (!) ক্রিকেটার।ফান পোস্ট

বাংলাদেশ সিরিজ জয় করসে। খুব খুশী লাগতাসে। শহিদ ভায়া'রে মিস করতাসি। কারণ হে আছিলো এক মহান (!) ক্রিকেটার। বাংলাদেশ এই বিজয় আরো আগে পাইতে পারত যদি শহিদ ভায়ারে দলে লইত। এমনকি বাংগালির বিশ্বকাপ মিস খাইসে শুধু শহিদ ভায়া'রে পাত্তা দেয় নাই বইল্যা। আরে বাপ, খেলোয়াড় হিসাবে না নিয়া কমসে কম তো অফিসিয়াল হিসাবে নিতে পারতো। বুজলিনা রে মনা! যাই হোক বাংলাদেশ শেষ পর্যন্ত জিতসে। এই খুশীর সময় শাহিদ ভায়া'র ক্রিকেট মাঠের কিসু মহান (!) কাহিনী বয়ান করতাসি।

১) আরেক পাড়ায় একটা ম্যাচ আছিলো। ঐদিন আমাগো টিমের রেগুলার প্লেয়ার না আসায় শহিদ ভায়া চান্স পাইসে। মোটামুটি পুরা খেলা ভালা হইসে। কারন শহিদ ভায়ারে এমন জায়গায় দাড় করান হইসে যেই জায়গায় বল সহজে যায় না। নইলে শহিদ ভায়া বল ধরে না মাগুর মাছ ধরে বুঝা যায় না। বল নাকি তার দিকে গেলে সে নার্ভাস হইয়া যাইতো। যাওগ্গা আমরা আগে ভালা বোলিং কইরা ওগোরে টাইট দিসি। মোটামুটি ব্যাট ধইরা খাড়াই থাকলে জিইত্যা যামু এমন অবস্হা। আমাগো ক্যাপটেন কইলো: ঠিক আছে শহিদ ভায়া তো চান্স পায়না। আইজকা সে আগে ব্যাট করুক। সবাই রাজি। শহিদ ভায়া নামলো। ওরে আল্লাহ এক বলের মালিক। পরথম বলে বোল্ড। অ্যামপায়ার এক আংগুল দেখাই দিসে। কিন্তু শহিদ ভায়া ক্রিজ ছাড়েনা। কি রে কি হইসে? শহিদ ভায়া কয়: আরে ঐটা তো নো বল। অ্যামপায়ার ভুল করসে। আমরা কইলাম শহিদ ভায়া চইল্যা আয়। কিন্তু সে শুরু করলো অ্যামপায়ারের লগে ঝগড়া। অন্য টিমের খেলোয়াড়গুলান তো চান্সে আছিলো। তারাও জয়েন দিলো। আমরা বুঝলাম এইটা বড় হইয়া গেসে, এইবার পলান দরকার। শহিদ ভায়ারে রাইখ্খা আমরা সবাই পলাইলাম। পরে শুনসি তারে নাকি কান ধইরা খড়া করাই রাখা হইসিলো। আর পুরা শরীরে নাকি শুধু একটা হাফ প্যান্ট পড়া আছিলো।

২) একদিন শহিদ ভায়া যথারীতি পরথম বলে বোল্ড। অফ্ স্ট্যাম্পের বেলটা শুধু পড়সে। অমনি সে করসে কি বেলটা তুইল্যা কয়: আইজক্যা মনে হ্য় বাতাস বেশী। শুরু করলো কাইজ্যা। তখখন এক সিনিয়ার ভাই কয়, আরে ওরে আরেকবল খেলতে দিলে কি তোগো কোনো প্রবলেম আছে? বড় ভাই রে সম্মান কইরা দিলাম আরেক বল খেলতে। এই বলেও ক্লিন বোল্ড, এক্কেরে মিডল স্ট্যাম্প।

৩) শহিদ ভায়া'র একটা বিশ্ব রেকর্ড আছে। ঐটা হইলো এক ওভারে বেশী রান দেয়ার রেকর্ড। রেকর্ড এক ওভারে ৩৯ রান দিসে। পরথম ৩টা বল নো। এরমধ্য একটাতে বাই ফোর আছে। ০ বলে ৭ রান। জিন্দেগিতে কুনো বোলার দিতে পারসে? আমাগো শহিদ ভায়া পারে।

৪) পাড়ার ছেলেদের কাছে শহিদ ভায়া'র ক্রিকেট -
বোলিং: পাত্থর মারা।
ব্যাটিং: ডাংগুলি খেলা।
ফিল্ডিং: মাগুর মাছ ধরা।

৫) এক ম্যাচে শহিদ ভায়া ব্যাটিং করতে নামসে। যা হয় তাই হইসে শহিদ ভায়া বোল্ড। ক্রিজ
থেইক্যা যাওয়ার সময় বোলাররে কয়: ভাগ্যক্রমে দারুন বোলিং করসো। আমার উইকেটটা পাইসো এর চাইতে বেশী কিছু কি আশা করতে পারতা? বোলার চেইত্যা কয়: আপনেরে যদি মাঠে না দেখতাম, ওইটাই হইতো বেশী আশা।

৬) একবার এক খেলায় শহিদ ভায়া মামুন হুজুরের ওভারে প্রায় ৪/৫ টা ক্যাচ মিস করসে। এইজন্য ম্যাচও গেসে। খেলা শেষে শহিদ ভায়া কয়: আমার তাড়াতাড়ি যাইতে হইবো। ঢাকা যামু ট্রেন ধইরতে হইবো। মামুন হুজুর চেইত্যা কয়: হালার হালা, আমার মনে ঐটাও তোর হাত ফসকায়া যাইবো।

Wednesday, 13 October 2010

আবার শহিদ ভায়া। এইবার এক্কেরে এক ডজন।

কিসুদিন খ্যামা দিসিলাম। কিন্তু পাবলিক ডিমান্ড কইয়া একটা কথা আসে। তাই আবার শহিদ ভায়া রে লইয়া ফিরত আসলাম। লগে কিন্তু গাজি মামা'র ও এন্ট্রি আসে।

১)
কিস কিসকি মেহফিল মে কিস কিসকো কিস কিয়া?

এক গাজি মামা থি জো হার কিস কো মিস কিয়া।
এক শাহিদ ভায়া থি জো হার মিস কো কিস কিয়া।

২) শাহিদ ভায়াকে জিগ্গাসা করা হলো: আচ্ছা যারা কানে শুনে না তাদেরকে কি বলা যায়?
শাহিদ ভায়া উত্তর দিলো: যা খুশি তা বলতে পারো। তারা তো আর কানে শুনে না।

৩) শাহিদ ভায়া আর গাজি মামা'র কথা হচ্ছে। শাহিদ ভায়া বললো: মামু কালকে একটা নতুন কাপড় ধোয়ার পাউডার কিনলাম। কিন্তু, ওইটা দিয়ে আমার জিনস প্যান্টটা ধুইতেই জিনস এক সাইজ ছোটো হয়ে গেসে। কি করি বলতো মামু?
গাজি মামা জবাব দেয়: এক কাজ কর মামু, ওই ডিটারজেন্ট দিয়ে তুইও গোসল করে ফেল। তাইলে দেখবি তোর জিনস বরাবর ফিট।

৪)শাহিদ ভায়া একটা ইন্টারভিউ দিতে গেছে। জিগ্গাসা করা হলো: আচ্ছা, বলুন তো গণভবন কোথায়?
শাহিদ ভায়া উত্তর দিলো: চট্টগ্রামে।
বস্ বললো: এই আপনার জেনারেল নলেজ? গণভবন কোথায় এইটা জানেন না?
শাহিদ ভায়া উত্তর দিলো: স্যার, ঢাকায় বললে কি চাকরিটা হয়ে যাবে?

৫) গাজি মামা ছোটো বেলায় ফাকিবাজ ছাত্র ছিলো। তো দুইদিন স্কুলে যায় নাই। স্যার জিগ্গাসা করলো: কি রে পরশু স্কুলে আসিস নাই কেন?
গাজি মামা বললো: স্যার পরশু আমি একটা নয়া লুংগি কিনসিলাম, তাই খুশিতে ছুটি নিসি।
স্যার আবার জিগ্গাসা করলো: তাইলে কাইলকা আসোস নাই কেন?
গাজি মামা কয়: কাইলকা আমি স্কুলে আসার সময় দেখলাম আপনের ঘরের বারান্দায় একটা নয়া লুংগি দেখসিলাম, তাই মনে করসিলাম আপনে ওই খুশিতে ছুটি নিবেন।

৬) একদিন গাজি মামা একটা হোটেলে খাইতে গেসে। ওয়েটারকে বললো: যাও আমার জন্য গরম গরম পরটা আর ভাজি নিয়া আসো।
ওয়েটার বললো: ঠিক আছে মামা, আমি আনতেসি একটু ওয়েট করেন।
গাজি মামা কয়: কি বললে?
ওয়েটার আবার বললো: মামা, আমি আনতেসি একটু ওয়েট করেন।
গাজি মামা চেইত্যা কয়: হারামজাদা ওয়েটার কে আমি না তুই? ওয়েট করতে হইলে, তুই কর।

৭) শহিদ ভায়া'র দর্শণ:
নারী মানে কি: শক্তি
পুরুষ মানে কি: সহ্য শক্তি

৮) একদিন শহিদ ভায়া'র পায়ে দেখি ব্যান্ডেজ। জিগ্গাসা করলাম: ভায়া, কি হইসে? কোথাও ধরা খাইসো?
শহিদ ভায়া কয়: হ্। ওই গর্তটা দেখসস্?
আমি কইলাম: দেখসি।
শহিদ ভায়া কয়: ওইটাই তো আমি দেখি নাই।

৯) আরেকদিন শহিদ ভায়া একটা হোটেলে খাইতে গেসে। অর্ডার দিসে: যা আমার জন্য চিকেন নিয়ে আয়।
ওয়েটার বললো: ভায়া, কি চিকেন আনবো? চাইনিজ না ফ্রেন্চ?
শহিদ ভায়া চেইত্যা কয়: হারামজাদা, আমি খামু না কথা কমু?

১০) শহিদ ভায়া রেললাইনের উপর শুয়ে আছে দেখে গাজি মামা বললো: কি রে রেললাইনের উপর শুইয়া আসোস তোর উপর ট্রেন গেলে তো তুই মরে যাবি। শহিদ ভায়া বললো: অ্যা, ট্রেন! মাথার উপর দিয়া প্লেন উড়ে গেলো কিসসু হ্য় নাই এই শহিদ মিয়ার।

১১) শহিদ ভায়া মামুন হুজুরকে বললো: মামুন হুজুর আমি বিয়া করুম।
মামুন হুজুর বললো: শহিদ ভায়া, বিয়া কোনো ছোটো বাচ্চার খেলা না।
শহিদ ভায়া বলে: জানি, ঐটা বাচ্চাদের জন্য খেলা হয়।

১২) সেইদিন রাস্তা দিয়া যাইতেসিলাম। পিছন থেইক্যা কে জানি চিক্কুর দিলো। ফিইরা দেখি শহিদ ভায়া। হেভ্ভী টেম্পার। আমারে দেইখ্খা কয়: শালার পুত শালা, তুই নাকি আমারে লইয়া ব্লগে মশকরা করস? ফান করস? জোক করস? হাসি ঠাট্টা করস? তুই জানস, আমি কত ভালো চাকরি করি? আমি একজন বিশিষ্ট সমাজ সেবক। দেশের কত উপকার করি। জনগনকে কত সেবা দিই। আমি কইলাম: খাড়া শহিদ ভায়া, এই জোক আমি ব্লগে করি নাই।

আমাগো গাজি মামা

শহিদ ভায়া নিয়া লেখতে লেখতে পাবলিকরে এট্টু বিলা বানাইয়া ফালাইসি। নিজের কাসে মনে হইতাসে কেমুন জানি একটু টাইপড্ হইয়া যাইতাসে। তাই শুরু করলাম গাজি মামা সিরিজ। কিন্তু এরমধ্য শহিদ ভায়া'র কিসু পার্ট আসে। কারণ হেরা আবার জিগরি দোস্ত। আশাকরি গাজি মামা আপনাগো বেয়াফক বিনোদন দিবো।

আমাগো গাজি মামা দেখতে ছোটোখাট গোলগাল নাদুস-নুদুস। মানুষটা বেয়াফক আমুদে আর হাসি-খুশি। গাজি মামা হইলো আমাগো ডিসটিং গ্রুপের পাবলিক রিলেশন অফিসার। গুরা হউক আর বুড়া হউক লগে লগে ফেরেন্ড বানাইতে গাজি মামা'র বিকল্প নাই। কুনু মাইয়ার নিউজ লাগলে গাজি মামা লগে লগে ডেটা বেইজ ফাইল খুইল্যা চউদ্দ্যা গুস্টির কুষ্টি জানাই দিবো।

এহেন গাজি মামা'র পেরেম আসিলো পাশের বাড়ির রোজি মামি'র লগে। রোজি মামি খুব সুন্দর আসিলো। আসলে গাজি মামা গেসিলো আমার প্রস্তাব লইয়া উল্টা মামা'র লোগে মামি ফিট হইয়া গেসে। সে আরেক কাহিনী। পরে টাইম বুইজ্জা কমু। যদিও পরে আমি রোজি মামি'র ভাই হইয়া গেসিলাম (ট্রাজেডি আর কারে কয়!)। তো একদিন রোজি মামি'র লগে মামা'র হেভি কিচাইন লাগসে। মামি সালিশ ডাকলো এক রেস্টুরেন্টে। ভালা খানা-দানার আশায় আমরা নাদানরা হাজির। ঐ সালিশে আছিলো বিশিষ্ট চিন্তাবিদ মামুন হুজুর (হুজুরের বর্ণনা দিতে গেলে আরো ৩/৪ বার পুস্টাইতে হইবো), বিশিষ্ট আলেম লতা ফরমান (এর চাইতে বড় জালেম আর নাই), বিশিষ্ট সমাজবিদ পুংটা পারভেজ (যার পুংটামির জ্বালায় কত মানুষ কত রাইতে ভাত না খাইয়া আছিলো), চান্দি মানিক (হে খবর ছাড়া গন্ধ শুইক্যা চইল্যা আসছিলো), বিশিষ্ট শহিদ ভায়া আর আমি। উভয় পার্টি বেয়াফক খানা'র অর্ডার দিলো যাতে রায় পখখে যায়। রোজি মামি কইলো: আপনাগো মামা আমারে আগের মতো সময় দেয় না। মনে লয় অন্য কারো লগে ইটিশ পিটিশ করতাসে। গাজি মামা জবাব দিলো: কসম আল্লাহ আমি কারো লগে ইটিশ-পিটিশ করতাসিনা। একটা নতুন টিউশনি করতাসি তাই হেরে আগের মতো টাইম পারিনা। তাছাড়া ওরা ঘর বদলাইছে বইল্যা আগের মতো দেখা হয় না। শুরু হইয়া গেলো ফাইট। এর মইদ্দে আমরা খাবার সাবাড় করতেসি। খাবার খাওয়ার পর আমরা বিশিষ্ট জন ডিসিশন দিলাম: আসলে দুইজনের মাঝে কুনু প্রবলেম নাই। এরমধধে থার্ড পার্টির হাত আসে। এই থার্ড পার্টি হইলো শহিদ ভায়া। কারণ গাজি মামা আর শহিদ ভায়া জিগরি দোস্ত হইলে কি হইবো, দুইজনের মইদ্দে কষাকষি আছে। শহিদ ভায়া, রোজি মামি'র লগে মশকারি করসে আর মামি ওইটা সিরিয়াসলি নিসে। বেচারা শহিদ ভায়া। ঐদিনের খাবারের বিল দিতে হইসে। কিন্তু বিচারের রায় মামিরে খুশি করতে পারে নাই।
পরে অবশ্য গাজি মামা'র আট বছরের পেরেম ভাইংগা গেসে। মামা বেকার আছিলো বইল্যা মামি'র বিয়া হইসে এক উকিলের লগে। উকিল কালা কোট পড়ে তাই আমরা ডাকি কুকিল। আর গাজি মামারে দেখলে কুউ কুউ করি। একটা গানও বান্দসি তারে লইয়া "আমার বউ কাড়িয়া নিলো রে মরার উকিলে....... আমায় উদাসী বানাইয়া গেলো রে মরার উকিলে"
ফাইনাল ট্রাজেডি:
একদিন রোজি মামির লগে রাস্তায় দেখা। লগে হের ১ বছরের পুলা। গাজি মামাও আছিলো। রোজি মামি কইলো: বাবু, তুমার মামাদের দেখো। গাজি মামা আমারে ফিসফিসাইয়া কইলো: হায় সেলুকাস্! বাবা কেনো মামা???

অফ টপিক: গাজি মামা এখন বহুত ভালা চাকরি করে। কিন্তু, চান্দে, বাদলে অহনও রোজি রোজি কইয়া চিক্কুর মারে।

শহিদ ভায়া: দ্যা কুইন ফিল্ড প্যাশেন্ট

সংবিধিবদ্ব সতকিকরণ: পুরাই উরাধূরা। নিজ দ্বায়িত্বে পড়িবেন। প্রাপ্তবয়স্কদের উপাদান আছে।


আড্ডার টাইমে জামান হোটেলে গিয়া দেখি কোণার টেবিলে বইস্যা চেয়ারের উপরে এক ঠেংগ তুইল্যা শহিদ ভায়া ধুমসে গোরুর মাংস দিয়া পরোটা মারতাসে। আমার লগে লগে দেখি ড্যান্সিং মোরশেদ, অ্যান্জেল পলাশ, চান্দি মানিক আর লতা ফারমানও হাজির। সবাই তো হেভী টাসকি খাইসে। চান্দি মানিক যারে আবার আমরা আদর কইরা CNG কইয়া ডাকি কারণ সে ইন্জিনিয়ার বইলা নামের আগে ENG. লেখে। সে কইলো: শহিদ ভায়া, তুমার পকেটে হালায় অন্যদিন দুই টেকা থাকেনা, আইজকা হালায় গোস্ত, পরটা কোপাও। শহিদ ভায়া বড় দূঃখ কইরা কইলো: মনটা বড় খারাপ। আসে। হালার ডাক্তারের কাসে গেসিলাম, বড় কাহিল লাগে বইল্লা। ডাক্তার আমারে ১২টা টেস্ট দিসে কিসসু পাই নাই। মনে হয় জটিল কিসু হইসে নইলে এতো টেস্টের পরও কিসু পাইবোনা কেন। তাই মনের দূঃখে গোস্ত, পরটা খাই। শুইন্যা মাথার মধ্য কেমুন জানি একটা জাটকা দিয়া উঠল। এই না হইলে আমাগো শহিদ ভায়া, মাইনষে মনের দূঃখে খারাপ কত কিসু করে। আর আমাগো শহিদ ভায়া মনের দূঃখে গোস্ত, পরটা চাবায়। কি গঠনমূলক চিন্তা! এর মাঝে আবার গাজি মামা হাজির। সে আবার মেডিকেলে দুইবার অ্যাডমিশন টেস্ট দিসে বইল্লা লেম্পু ডাক্তার হিসাবে নাম করসে। এইবার গাজি মামা শুরু করলো কেরামতি। জিগাইলো: আইচ্ছা শহিদ ভায়া, তোর কেমুন কেমুন লাগে? শহিদ ভায়া কইলো: আমার দূর্বল লাগে তাই খালি ঝিমাই। লগে লগে CNG তার চান্দি মাথায় হাত বুলাইতে বুলাইতে কয়: হ আমি দেখসি। হে টেম্পুর ভিতরেও ঝিমায়। তারে অফ্ করাইয়া কইলাম: আরে CNG, এখন দেশ ও জাতির কঠিন অবস্হা। শহিদ ভায়া'র কিসু হইলে দেশ ও জাতি একটা আইটেম হারাইবে। তুই আল্লাহর ওয়াস্তে অফ্ যা। এরপরে গাজি মামা আবার শহিদ ভায়ারে জিগাইলো: আর কেমুন লাগে? শহিদ ভায়া কয়: পায়খানা রেগুলার না। গাজি মামারে বড় চিন্তিত মনে হইল। কিসু সময় চিন্তা কইরা গাজি মামা ক্য়: শহিদ ভায়া, আমার মনে হয় তোর মেডিসিনের ডাক্তারের কাসে না গিয়া ভেটেনারি ডাক্তারের কাসে যাওয়া উচিত। কেননা, তোর রাণীখেত রোগ হইসে।(বাহবা গাজি মামা, মানুষের রাণীখেত রোগ আবিষ্কারের জন্য নোবেল প্রাইজ পাওয়ার যোগ্য।) শুইন্যাই সবার মাথার তারে টুংটাং কইরা উঠল। কইলাম: কি মামা এইটা আবার কি আবিষ্কার করলা? মামা কইলো: আরে রোগের কারন ও লকখন দেখলে তো এইটা ক্লিয়ার। রাণীখেত রোগ হইলে আক্রান্ত রোগী ঝিমায়, চুনা পায়খানা করে। তো শাহিদের রোগের লগে মিল আছে। তাই ওর রাণীখেত রোগ হইসে। এইবার লতা ফারমান কইলো: এইটা তো মানুষের জন্য একটা বিরল রোগ। মনে হয় বহুত টেকা পয়সা লাগবো। তাইলে আমরা বিরল রোগী শহিদ ভায়া'র জন্য ফান্ড জোগাড় করি। পেপারে এড দিমু " বিরল রাণীখেত রোগে আক্রান্ত শহিদ ভায়া'কে বাচাতে এগিয়ে আসুন" চান্দি মানিক কইলো: রাণীখেত রোগ কতাডা কেমুন জানি লাগে। এইটার ইংরেজি নাম দিলে ভালা হয়। কিন্তু রাণীখেত রোগের ইংরেজি নাম কেউ জানেনা। অ্যান্জেল পলাশ কইলো: এইটা আর কঠিন কি? রাণী মানে কুইন, খেত মানে ফিল্ড আর রোগ মানে ডিজিজ। সো পুরাটা করলে দাড়ায় - কুইন ফিল্ড ডিজিজ। ব্যাপারটা সবার খুব পছন্দ হইলো। ড্যান্সিং মোরশেদ কইলো: সব তো ঠিক কিন্তু শহিদ ভায়া'র এই রোগ হইলো কেমতে? গাজি মামা উত্তর দিলো: এই রোগের কারন হইলো অপরিস্কার থাকা। একটা মুরগি থেকে আরেকটাতে হয়। কিন্তু, আমাদের শহিদ ভায়া তো রেগুলার গোসল করে। অমনি মানিক চান্দ কইলো: আরে শহিদ ভায়ার মুরগি থেইক্যা হইসে। একবার সে কইসিলো কনট্রল করতে না পাইরা ছোটোবেলায় সে একবার একটা ডিম পাড়া মুরগি রে ......... ................................

মোর ফান উইথ শহিদ ভায়া (১৮+ কন্টেন্ট থাকার চান্সআছে)

আবার ও শহিদ ভায়া। এইবার কিন্তু সাবধান কিসু মাল কড়া পড়সে, বুজতাসিনা কেমন হইসে। যাই হউক আল্লাহ ভরসা...............।

১। শহিদ ভায়া, গাজি মামারে জিজ্গাইলো, এই মামা তোর আনডার প্যান্টে ফুটা আছে?
গাজি মামা কইলো, নাই।
শহিদ ভায়া কইলো, হালার হালা তাইলে ঠেং ঢুকাস কোন দিক দিয়া??

২। একদিন দেখি শহিদ ভায়া বেশ ভাব নিয়ে বইসা আছে। একটু আদাবের লগে জিগাইলাম, ভায়া কি এত চিন্তান?
শহিদ ভায়া ওই ভাব রাইখ্খাই কইলো: বুঝলি এককান দামি কতা আবিষ্কার করলাম।
আবার জিগাইলাম, কেয়া বাত ভায়া?
শহিদ ভায়া কয়, যখন কুনো পুরুষ বড়লোক হ্য়, তখন সে দুষ্টু হইয়া যায়, আর যখন কুনু মহিলা দুষ্টু হয়; সে বড়লোক হইয়া যায়।

৩। শহিদ ভায়া একদিন রাস্তা দিয়া যাওয়ার সময় দেখে চান্দি মানিক একটা গর্তে হাত দিয়া কি জানি খুজতাসে। শহিদ ভায়া কয়, কিরে চান্দি কিসু হারাইসে নাকি? চান্দি মানিক কয়, হারাই নায়, তে দেখতাসি হারাইলে পামু কিনা।
(অফ টপিক: চান্দি মানিক কিন্তু ইন্জিনিয়ার। সে নামের আগে লেখে ENG তাই আমরা আদর কইরা ডাকি CNG)

৪। এই শহিদ ভায়া একদিন ঢাকা বেড়াতে গিয়া দেখে, এক মাজারের দেয়ালে লেখা আছে "আপনি কি পাপ করে ক্লান্ত? তাহলে ভিতরে আসুন"
এর নিচে কে জানি লিপস্টিক দিয়া লিখা রাখসে " তা না হলে সামনের বাড়িতে আসুন - মিস জুলি"।

৫। শহিদ ভায়া'র ভটভটিটা দেখি একদিন নাই হইয়া গেসে। জিগাইলাম, কি রে ভায়া তুমার ভটভটি কই? সে কইলো, ধুস শালা অফিস থেইক্যা আসার সময় এক লুকে লিফট চাইসে, আর আমি এইখানে নাইম্যা তারে থ্যানকু দিয়া আসছি।

৬। একবার কিসু বাড়তি পয়সার জন্য শহিদ ভায়া আদম শুমারি করার কাম নিসিলো। এক বাসায় গেসে, এক মহিলা দরজা খুলসে। শহিদ ভায়া জিগায়: ম্যাডাম আপনার বাসায় কয়জন আছে?
ম্যাডাম কয়: আমরা আটজন। আমরা হাসব্যান্ড ওয়াইফ দুইজন, আমার বড় দুই মেয়ে জমজ - দিবা আর নিশি, মেঝো দুই ছেলে জমজ - ঈমন আর রিমন আর ছোটো দুই জমজ ছেলে - রনি আর সানি।
চোখ কপালে তুইল্যা শহিদ ভায়া জিগায়: ম্যাডাম, আপনার কি প্রতিবারই জমজ হয়?
ম্যাডাম কয়: না। মাঝে মাঝে এমনও হইসে, কিসুই হয় নাই।

অফটপিক: এইখানে ঘটনা সংগ্রিহীত। কিন্তু, চরিত্র কাল্পনিক নহে। যথা জায়গা বরাবর ফিট করিয়া দেওয়া হইয়াছে।

সেরা পোষাকের বিমানবালা

MSN জরিপে সেরা দশটি পোষাকধারি বিমান যাত্রিদের ভোটের ভিত্তিতে বিমানবালার পোষাকের একটা রেটিং করা হয়েছে। অবশ্য এতে ইউরোপের বিমান যাত্রিরা ভোট প্রদান করেছে বেশি। তাই ইউরোপিয়ান বিমানের আধিক্য বেশি। এই জরিপে পোষাকের রং ও ডিজাইন প্রাধান্য পেয়েছে।

১০. লুতফানসা (Lufthansa):

এটি জামানির বিমান সংস্হা।


৯. জেট এয়ার (Jet Air):

এটি ভারতের বিমান সংস্হা।



৮. এরোফ্লোট (Aeroflot):

এটি রাশিয়ান বিমান সংস্হা।



৭. ডেলটা (Delta):

এটি আমেরিকার বিমান সংস্হা।



৬. সাস অথবা স্যাস (SAS):

এটি সুইডিশ বিমান সংস্হা।


৫. আলইটালিয়া (Alitalia):

এটি ইতালির বিমান সংস্হা। 





৪. আইবেরিয়া (Iberia):

এটি আইবেরিয়ান বিমান সংস্হা।




৩. ব্রিটিশ এয়ার (British Airways):

এটি ইংল্যান্ডের বিমান সংস্হা।



 ২. এয়ার ফ্রান্স (Air France):

এটি ফ্রান্সের বিমান সংস্হা।



১. এবং সবচেয়ে সেরা পোষাকের বিমানবালা:

কাতার এয়ার (Qatar Air):

এটি কাতারের বিমান সংস্হা।

Monday, 4 October 2010

হাফ ডজন ফান উইথ শহিদ ভায়া (পি.জি)

১) শহিদ ভায়া ভর-দুপুরে একটা যুবতি মেয়েকে প্রকাশ্য চোখ মারসে। কিন্তু, মাগার কেউ কিসু বুঝে নাই। কেনো??? কারণ কি??






কারণ শহিদ ভায়া সানগ্লাস পড়া আছিলো।

২) একবার শহিদ ভায়া'র টেকা-পয়সার খুব টানাটানি। মনের দুঃসখে শহিদ ভায়া রাস্তায় গিয়া গান করতাসে "নিশি রাত, বেকা চাদ আকাশে......................"। একজন কইলো: কি রে ভাই চোখে দেখতাসেন না? দিনে-দুপুরে আকাশে নিশি রাত, বেকা চাদ পাইলেন কই? শহিদ ভায়া কইলো: বুঝছেন যখন দেখতাসি না, তাইলে ৫টা টেকা দিয়া যান।

৩) একদিন গাজি মামা অফিস থেইক্ক্যা আইস্যা দেখে শহিদ ভায়া গাজি মামা'র গালফ্রেন্ডের লগে ইটিশ-পিটিশ করতাসে। গাজি মামা তখোন চেইত্যা কয়: ওরে কি করতাসোস? তখোন গাজি মামা'র গালফ্রেন্ড কইলো: কইসিলাম না মালটার মাথায় কিসু নাই। দেখে আবার জিগায়।

৪) শহিদ ভায়া'র কুনু গালফ্রেন্ড ৩ মাসের বেশি টিকেনা। কারণটা কি? একটা ঘটনা কইলে বুঝবেন।

শহিদ ভায়া'র গালফ্রেন্ড তারে কইলো: ওগো আমাকে একটা লিপস্টিক কিইনা দিবা। ঠোট লাল করুম। শহিদ ভায়া একটা মরিচ আইন্যা কইলো: ভালো মতো এইটা ঘইস্যা নাও। এমনণেই লাল হইয়া যাইবো।
এরপরে কি কুনু মাইয়া এর লগে প্রেম করবো?

৫) একদিন শহিদ ভায়া গেলো মোরশেদের বাড়িতে বেড়াতে। মোরশেদ বললো: জানিস আজকে আমাকে একজন গালাগালি করেছে, আমিও তার বাপ-মা তুলে গালাগালি করেছি।
শহিদ ভায়া জিজ্গাসা করলো: যাহ্! তোর তো অনেক সাহস। তা বাবা কোন হারামজাদা গালাগাল দিয়েছে?
মোরশেদ বললো: কে আবার? আমার ছেলে।

৬) শহিদ ভায়া, গাজি মামা'র গালফ্রেন্ডকে বললো: মামি তোমার ঠোটে একটা হামি খাবো, তার বিনিময়ে আমি তোমাকে ৫০০ টাকা দিবো। মামি তো রাজি হয়না। শহিদ ভায়া তখন বললো, ঠিক আছে ১০০০ টাকা দিবো। মামি তাতেও রাজি না। এরপর শহিদ ভায়া রেগে গিয়ে বললো, যাও ৫০০০ টাকা দিবো। মামি বললো, ঠিক আছে। তবে ঠোটে কিন্তু একটার বেশি হামি খাওয়া যাবে না। শহিদ ভায়া করলো কি মামির চোখে, নাকে, গালে, হাতে, কপালে ইচ্ছামতো হামি খেয়ে চলে যাচ্ছে। গাজি মামা'র গালফ্রেন্ড বললো কি ব্যাপার? ঠোটে হামি খাবেন না? শহিদ ভায়া বললো: কি করবো মামি বিস্বাস করো গরিবের ছেলে অত টাকা নাই।

শহীদ ভায়া (গৌরচন্দ্রিকা )

জেম সেন হলের একপাশে জটলা করে যেসব বালক ছেলে আড্ডা দিয়ে যাচ্ছে তাদের মাঝে সবচেয়ে লম্বা ঢেঙ্গা ছেলেটা হলো আমাদের শহীদ ভায়। শুকনা লিকলিকে শরীরে বেডপ বড় মাথাটা প্রথমেই নজর কাড়ে। বয়সের তুলনায় লম্বা হওয়ার কারণেই হইতো একটু কুজো হয়ে থাকে। তাই বালক দলের দলনেতা টুটুন নাম দিয়েছে বেকা। তবে বেকা হোক আর বক্র হোক শহীদ ভায়া'র মাথাটা কিন্তু অনেক পরিষ্কার। বরাবরই পরীক্ষায় ভালো ফল করে আর অঙ্কের খাতায় শতকরা ১০০% পাওয়া তার জন্য একেবারে ডাল-ভাত। কিন্তু এই দুষ্ট ছেলেদের জন্য শহীদ ভায়া একটা বিনোদন। কারো বাড়ির গাছের ফল চুরি করার চেয়ে শহীদ ভায়া কে উত্যেক্ত করাই তাদের কাছে মহা আনন্দের বিষয়। পরীক্ষায় ভালো ফল করলে কি হবে শহীদ ভায়া'র মানিসকতা একেবারে শিশুদের মত। কার্টুন দেখে বাচ্চাদের মতো খিক খিক করে হাসে আবার হাটতে হাটতে কোনো শো-রুমে WWF চলতে দেখলে তো কথায় নাই সঠান দাড়িয়ে যাবে দেখার জন্য। এস.এস.সি পরীক্ষা দেয়া একটা ছেলের এই রকম কান্ড সবাইকে খুব মজা দেয়। তবে শহীদ ভায়ার সব চেয়ে মজার বিষয় হলো কোনো মেয়েকে দেখলে তার সাবেক বলা। কোনো মেয়ে শহীদ ভায়ার দিকে একবার তাকালে পরেরবার শহীদ ভায়ার সাবেক হয়ে যায়। এইনিয়ে বন্ধু মহলে শহীদ ভায়ার বিশাল জনপ্রিয়তা। যদিও শহীদ ভায়া অন্য পাড়ার ছেলে কিন্তু নেতা টুটুনের স্কুলের বন্ধু এবং বিনোদনের পাত্র বলে পাড়ার ছেলেপুলে এমন কি বড় ভাইরাও তাকে বিশেষ পছন্দ করত। তবে ক্রিকেট, ফুটবল যেকোনো খেলায় শহীদ ভায়া অপরিহায্য। মাঠে পানি দিতে লোক লাগবে যে. তবে মাঝে মাঝে অন্যর অনুপস্থিতিতে সেরা দলে সুযোগ পেত না এমন না। সিনিয়র/জুনিয়র সবার সাথে মারামারি করা ছিল তার নিয়মিত কাজ। তবে জুনিয়রদের সাথে মারামারি করাটা তার বন্ধুদের মাঝে মাঝে খুব বিব্রত করত।আর অধিকাংসো মারামারি কিনবা ঝগড়া করত অতি ঠুনকো কারণেই।

এই হলো শহীদ ভায়ার গৌরচন্দ্রিকা. পরবর্তিতে শহীদ ভায়া'র যৌবনের কাহিনী প্রকাশ করা হবে. এই শহীদ ভায়া কিন্তু এখনো ছোট্ট শিশুর মতই. কেরাম নাটকে সবাই যেমন মোশারফ করিম কে নিয়ে মজা করত তেমনি এখনো শহীদ ভায়া কে নিয়ে তার বন্ধুরা মজা করে. যা পরের কাহিনীতে প্রকাশ হবে. আজ এত টুকুই ...................

Thursday, 30 September 2010

বিখ্যাত ব্যক্তিদের রসাল ঘটনা

লেখক প্রেমেন্দ্র মিত্র তখন চলচ্চিত্র নিয়ে কাজ করছেন। তাঁর নতুন একটা ছবি মুক্তি পেয়েছে। কিন্তু ওই ছবির কাহিনী নিয়ে কথা উঠেছে। বুদ্ধদেব গুহ পত্রিকায় বিবৃতি দিয়েছেন যে কাহিনীটি তাঁর, প্রেমেন্দ্র মিত্র যা নিজের নামে চালিয়ে দিয়েছেন। সবাই উদগ্রীব, প্রেমেন্দ্র মিত্র এখন কী বলেন! কিন্তু প্রেমেন্দ্র মিত্র কিছু বলছেন না। কদিন পর প্রেমেন্দ্র মিত্র বিবৃতি দিলেন। তিনি বললেন, ‘চলচ্চিত্রের কাহিনীটি আমার না সেটা সত্যি, তবে বুদ্ধদেব গুহ যেখান থেকে গল্পটি নিয়েছে, আমিও ওই একই জায়গা থেকে নিয়েছি।’

আদার হাজারো গুণ

‘আদাজল খেয়ে লাগা’ বলে একটা প্রবাদ আছে বাংলা ভাষায়। আদার সমৃদ্ধ খাদ্যমানের কারণেই বিজ্ঞজনেরা এই প্রবাদ প্রচলন করেছিলেন, সন্দেহ নেই। আমাদের দৈনন্দিন জীবনের খাদ্যতালিকায় আদা একটি অত্যাবশ্যকীয় নাম। রসুইঘর থেকে শুরু করে খেলার মাঠ—সবখানেই বিভিন্ন প্রয়োজনে আমাদের শরীরের একাধিক চাহিদা পূরণ করে আসছে এই খাদ্য উপকরণটি। একটু ঠান্ডা লেগে গেলে কিংবা খেলার মাঝে হাঁপিয়ে উঠলে আদা চাই। আদা চাই গরম এক কাপ চায়ের মধ্যে অথবা যেকোনো রান্নায়। মাটির নিচে জন্ম নেওয়া এই মসলাজাতীয় খাবারটিতে আছে প্রচুর পরিমাণ পটাশিয়াম। আছে যথেষ্ট পরিমাণ আয়রন, ম্যাগনেশিয়াম, ক্যালসিয়াম ও ফরফরাসের মতো খনিজ পদার্থ। এ ছাড়া সামান্য পরিমাণে হলেও আছে সোডিয়াম, জিংক ও ম্যাঙ্গানিজ।
গবেষণায় দেখা গেছে, প্রতিদিনের খাদ্যতালিকায় আদা থাকলে যেকোনো ধরনের ঠান্ডাসংক্রান্ত রোগবালাই ও হাঁপানির আশঙ্কা থাকে না বললেই চলে। এ ছাড়া কোষ্ঠকাঠিন্য ও পাকস্থলীর অনেক সমস্যা থেকেও রেহাই মেলে আদা সেবনে। এ ছাড়া সকালে উঠলে অনেকেরই শরীর ম্যাজম্যাজ করে, কিংবা দুর্বল বোধ করেন। এ ক্ষেত্রেও আদা বেশ কার্যকর ভূমিকা রাখতে পারে। আর্থ্রাইটিসের মতো রোগের ক্ষেত্রেও ব্যথানাশক হিসেবে কাজ করে আদা। এ ছাড়া চুল পড়া রোধেও তা বেশ কাজে দেয়। ভিটামিন ‘ই’, ‘এ’, ‘বি৬’ এবং ‘সি’র পরিমাণও কম নয় আদার মধ্যে। এ ছাড়া রক্তের প্লাটিলেট ও কার্ডিওভাসকুলার কার্যক্রম ঠিক রাখতেও তা দারুণ কার্যকর।
মাহফুজ রহমান

আকাশে ২৬ ঘণ্টা উড়ল সৌরশক্তি-চালিত বিমান

সেদিন আর দূরে নেই, যেদিন রাস্তায় গাড়ি চালাতে, আকাশে বিমান ওড়াতে কোনো জ্বালানি তেল লাগবে না। জ্বালানি তেল ছাড়াই দিব্যি দেখা যাবে, পাখা মেলে আকাশে উড়ছে উড়োজাহাজ, রাস্তায় চলছে মোটরগাড়ি। ইতিমধ্যেই সেই স্বপ্নের প্রাথমিক মহড়া সেরে ফেলেছে সুইজারল্যান্ডের একটি বিমান সংস্থা।
কিছুদিন আগে জ্বালানি ছাড়াই ২৬ ঘণ্টা আকাশে উড়েছে সুইজারল্যান্ডের একটি সৌরবিমান। এটি ২৬ ঘণ্টা সফলভাবে আকাশে ওড়ার পর মাটিতে অবতরণ করেছে। গুরুত্বপূর্ণ ব্যাপার হলো, ওই বিমানটির ২৬ ঘণ্টার যাত্রায় একফোঁটা জ্বালানি তেলও ব্যবহার করার প্রয়োজন হয়নি। বিমানটিতে মাত্র একজনের বসার জায়গা ছিল।
তবে এর উদ্ভাবকেরা বলছেন, এখানে পূর্ণ ব্যবহারযোগ্য জ্বালানি এবং বিমান তৈরির জন্য খুবই হালকা পদার্থ ব্যবহার করা হয়েছে, যা বিমানের পরিবহনব্যবস্থায় আমূল পরিবর্তন নিয়ে আসতে পারে। যে বিমানটির কথা এতক্ষণ বলছিলাম, তার নাম সোলার এমপাল। কীভাবে কাজ করে এটি?
বিমানটির ওজন সাধারণ একটি মোটরগাড়ির সমান। ডানাজোড়া অবশ্য জাম্বো জেটের সমান—আকারে ৬০ মিটার, যেগুলো সৌর প্যানেল দ্বারা আবৃত। একটি-দুটি নয়, ১২ হাজার সৌরকোষ দিয়ে মুড়ে দেওয়া হয়েছে একে, যেগুলো সূর্যের আলো থেকে প্রয়োজনীয় শক্তি সঞ্চয় করে এবং বিমানটি আকাশে ভেসে থাকার প্রয়োজনীয় শক্তি জোগায়। একটি স্কুটারের সমান শক্তি নিয়ে চলছে বিমানটি। বিবিসির পরিবেশবিষয়ক সাংবাদিক রজার হারমিন বলেন, বিমানটি সফলভাবে উড়ে নেমে আসতে পেরেছে। গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো, এটি উড়তে শুরু করার আগে ব্যাটারিতে যে পরিমাণ শক্তি ছিল, এরচেয়ে বেশি শক্তি সঞ্চয় করে ফেরত এসেছে। আর সে কারণে এর উদ্ভাবকেরা বলছেন, আক্ষরিক অর্থে এটি পৃথিবীর মধ্যে প্রথম, যেখানে একটি সৌরবিমান সবচেয়ে বেশি দূরত্ব অতিক্রম করেছে। সৌরবিমান হিসেবে এটি সবচেয়ে বেশি উঁচুতে উঠেছে এবং বেশি সময় ধরে উড়েছে—প্রায় ২৬ ঘণ্টা।
বিমানটি সূর্যের আলোর শক্তিতে চলে। রাতের বেলায় বা মেঘলা দিনে এটি কীভাবে চলে? যে বিমানের কথা লেখা হচ্ছে, সেটি একটি সপ্তাহের বুধবার থেকে উড়তে শুরু করে সূর্যের সঙ্গে সঙ্গে উড়েছে। এর আগে গত এপ্রিল মাসে বিমানটি সারা দিন উড়ে রেকর্ড করে। তবে এবার বিমানটির সামনে যে চ্যালেঞ্জ ছিল, তা হলো উড়তে উড়তে রাতের জ্বালানি সংগ্রহ করা এবং অন্তত ২৪ ঘণ্টার জ্বালানি সংগ্রহে রাখা। নামার পরে এটিকে আবার উড়তে হবে, এই পরিমাণ জ্বালানি মজুদ রাখতে হবে। এটি তা করতে পেরেছে। বলা যায়, একটু বেশিই পেরেছে। অন্যদিকে বিমানের চালককে কিন্তু জেগে থাকতে হয়েছে পুরো ২৬ ঘণ্টা।
বৈমানিকের জন্য এটি ছিল ঝামেলার ব্যাপার। কারণ তাঁকে ২৬ ঘণ্টার বেশি জেগে থাকতে হয়েছে। যদি তিনি সেটা না করতে পারতেন, তাহলে তাঁর মৃত্যুর ঝুঁকি ছিল। কন্ট্রোল রুম থেকে বিভিন্নভাবে বৈমানিকের ওপর নজর রাখতে হয়েছে। টেলিমিটারি ও ইনফ্রারেড ক্যামেরা দিয়ে যেমন তাঁর ওপর নজর রাখা হচ্ছিল, তেমনি প্রতি মুহূর্তে দেখা হয়েছে, তিনি কী পরিমাণ অক্সিজেন গ্রহণ করেছেন। পুরো ব্যাপারটি ছিল এমন, যা পুরোপুরি মহাকাশ অভিযাত্রার মতো এবং এটি খুবই বিস্তারিত ও গুরুত্বপূর্ণভাবে করা হয়েছে। এদিকে বিমানটি যখন নামার প্রস্তুতি নিয়ে ফেলেছে, রানওয়ের চারপাশে উশখুশ করা মানুষেরা উল্লাস করেছে এবং করতালি দিয়ে স্বাগত জানিয়েছে।
তাহলে কি বিমানযাত্রার নতুন ইতিহাস লেখার সময় হলো? সেটি বলা যায় বটে! তাই বলে খুব তাড়াতাড়ি আপনি ওই বিমানে একটি টিকিট কেটে চড়ে বসতে পারছেন এমন নয়। এই বিমান যাঁরা তৈরি করেছেন, তাঁরা এটি প্রমাণ করেছেন যে একাগ্রতা, নিষ্ঠা ও স্বপ্ন থাকলে অসম্ভবকে সম্ভব করা যায়।
এই প্রকল্পের স্বপ্নদ্রষ্টা ব্যাটকান পিটার বলেন, ‘এই পৃথিবীকে আরও সুন্দর করতে আমরা বিকল্প জ্বালানির ব্যবহার করতে পারি।’
তিনি বলেন, ‘এই সফলতা আমাদের অর্থনৈতিক ক্ষেত্রে কাজে লাগাতে হবে। আমরা যদি একটি লাভজনক প্রতিষ্ঠান তৈরি করতে চাই, আমরা যদি একটি স্থিতিশীল অর্থনীতি তৈরি করতে চাই, আমরা যদি একটি স্থিতিশীল বিশ্ব তৈরি করতে চাই এবং আমরা যদি ভবিষ্যতের পৃথিবীর মানুষকে কাজ দিতে চাই, তাহলে উচিত হবে এই পরিবেশবান্ধব বিষয়গুলো কাজে লাগানো। জীবাশ্ম জ্বালানির ওপর আমাদের যে নির্ভরশীলতা আছে তা কমিয়ে আনতে এসব প্রদ্ধতি সাহায্য করবে। আর এ জন্যই আমাদের এতকিছু করা।’

সামনের দিনগুলো
এই বিমানের সঙ্গে যাঁরা কাজ করছেন তাঁরা বলছেন, এরপর তাঁরা আটলান্টিকের ওপর দিয়ে চালাতে চান এই বিমান। আর আগামী তিন বছর পর যখন সৌরশক্তি আরও নিখুঁতভাবে কাজে লাগানোর সুযোগ পাওয়া যাবে, তখন তাঁরা এমন একটি বিমানে চড়ে সারা পৃথিবী ভ্রমণের পরিকল্পনা করছেন।

বিবিসি বাংলা

 অহেতুক কৌতুক

 চিকিৎসক তাঁর রোগীকে হার্টের পরীক্ষা করাতে দিয়েছেন প্রায় গোটা পাঁচেক। রোগী সব পরীক্ষা সেরে রিপোর্ট নিয়ে এল চিকিৎসকের সঙ্গে দেখা করতে। চিকিৎসক রিপোর্ট দেখে বললেন, ‘নিশ্চিন্ত থাকুন, আপনি যত দিন বাঁচবেন, আপনার হার্ট তত দিন ঠিকঠাক কাজ করে যাবে।’

 প্রথম বন্ধু: তোর বউ শেষ পর্যন্ত ড্রাইভারের সঙ্গে চলে গেল? ভাবতেই খারাপ লাগছে!
দ্বিতীয় বন্ধু: আরে তাতে কী? বিপদের কথা ভেবে আমি আগেভাগেই ড্রাইভারের কাছ থেকে গাড়ি চালানোটা শিখে রেখেছি।

 প্রথম বন্ধু: পা খোঁড়া কুকুরকে কী বলে ডাকা যায়?
দ্বিতীয় বন্ধু: যা খুশি ডাক, তাতে কিছু যায়-আসে না, ডাক শুনে ও তো আর চার পায়ে দৌড়ে চলে আসবে না।

# উকিল: গাড়িটা যখন অ্যাকসিডেন্ট করল, তখন আপনি কত দূরে ছিলেন?
সাক্ষী: ৩০ ফুট ১১ ইঞ্চি দূরে ছিলাম।
উকিল: এত নিখুঁত মাপ বলছেন কী করে?
সাক্ষী: জানতাম, কোনো একটা বেকুব আমাকে এই প্রশ্নটা করবেই।

# পুলিশ সার্জেন্ট: আপনাদের গাড়ির কোনো হেডলাইট নেই, দুই পাশের আয়না ভাঙা, হর্ন নেই, জানালার কাচ ভাঙা, ব্যাকলাইট নষ্ট, ব্রেক ধরে না, আপনারা কেউই সিটবেল্ট বাঁধেননি, তার পরও এত জোরে গাড়ি চালাচ্ছেন... বিষয়টা কী?
ড্রাইভার: স্যার, আমার কোনো দোষ নেই, সব দোষ এই ব্যাটার। ওরে আমি আগেই কইছিলাম, এই ভাঙাচোরা গাড়ি চুরি করার কোনো দরকার নেই।

 # বাড়ির মালিক: তোমাকে যে নাইটগার্ডের চাকরি দেব, তোমার যোগ্যতাটা কী, শুনি?
নাইটগার্ড: আমি, স্যার, সামান্য গোলমালেই জেগে উঠি।

লুই আই কানের কিছু বিখ্যাত কাজ


# ইয়েল বিশ্ববিদ্যালয় আর্ট গ্যালারি—নিউ হ্যাভেন, কানেকটিকাট (১৯৫১—৫৩)
# রিচার্ড মেডিকেল রিসার্চ ল্যাবরেটরি— পেনসিলভানিয়া বিশ্ববিদ্যালয়, ফিলাডেলফিয়া (১৯৫৭—৬৫)
# সল্ক ইনস্টিটিউট—লা জোলা, ক্যালিফোর্নিয়া (১৯৫৯—৬৫)
# প্রথম ইউনিটারিয়ান চার্চ—রোচেস্টার, নিউইয়র্ক (১৯৫৯—৬৯)
# ইন্ডিয়ান ইনস্টিটিউট অব ম্যানেজমেন্ট— আহমেদাবাদ, ইন্ডিয়া (১৯৬২)
# ফিলিপ্স একাডেমি লাইব্রেরি—এক্সিটর, নিউ হ্যাম্পশায়ার (১৯৬৫—৭২)
# কিম্বেল আর্ট জাদুঘর—ফোর্ট ওয়ার্থ, টেক্সাস (১৯৬৬—৭২)
# ইয়েল সেন্টার ফর ব্রিটিশ আর্ট—ইয়েল বিশ্ববিদ্যালয়, নিউ হ্যাভেন, কানেকটিকাট (১৯৬৯—৭৪)

 স্থপতি লুই কান ও সংসদ ভবন


আমাদের জাতীয় সংসদ ভবন। স্থাপত্যের ভাষায় যাকে বলা হয় ‘মাস্টার পিস’—বিশ্বের সেরা কয়েকটি স্থাপত্যের একটি। এটি আমদের গর্ব। আমাদের অহংকার ধারণ করে দাঁড়িয়ে আছে মাথা উঁচু করে। আর এই বিশ্বসেরা স্থাপত্য যাঁর হাত ধরে সৃষ্টি, তিনি হলেন বিশ্বখ্যাত স্থপতি লুইস আই কান বা লুই আই কান। লুই কানের জন্ম ১৯০১ সালের ২০ ফেব্রুয়ারি তৎকালীন রাশিয়ার এস্তোনিয়ায়।
১৯২৪ সালে পেনসিলভানিয়া বিশ্ববিদ্যালয় থেকে লুই কান স্নাতক ডিগ্রি নেন। তারপর ঘুরে বেড়ান পৃথিবীর নানা প্রান্তে। কাজ করেন জন মলিটর, জর্জ হুই, অস্কার স্টনোরোভর মতো তৎকালীন নামকরা স্থপতিদের সঙ্গে। প্রথম দিকে লুই কান আন্তর্জাতিক মানের কাজ করলেও তাঁর নিজস্ব কোনো স্টাইল ছিল না। বয়স ৫০ পেরোনোর পর তিনি শুরু করেন সম্পূর্ণ নিজের ধরনের কাজ। জন্ম দেন একের পর এক নামকরা স্থাপত্য, যার শেষের দিকের নিদর্শন আমাদের সংসদ ভবন। যে স্থাপত্য লুই কানকে স্থান দিয়েছে ইতিহাসের পাতায়। বাংলাদেশের তো বটেই, বিশ্বেরও।
জাতীয় সংসদ ভবনের নির্মাণকাজ শুরু হয় ১৯৬১ সালে। এটিকে তখন পূর্ব পাকিস্তানের সংসদ ভবন হিসেবে ভাবা হয়েছিল। স্বাধীনতার পর তা পরিণত হয় বাংলাদেশের জাতীয় সংসদ ভবনে। ১৯৮২ সালের ২৮ জানুয়ারি শেষ হয় এর নির্মাণকাজ। একই বছরের ১৫ ফেব্রুয়ারি দ্বিতীয় সংসদের অষ্টম ও শেষ অধিবেশনে হয় এর উদ্বোধন। লুই কান এই বিশ্বসেরা স্থাপত্যের স্থপতি হলেও সর্বপ্রথম এই জাতীয় সংসদ ভবনের নকশা তৈরির দায়িত্ব পেয়েছিলেন বাংলাদেশের কিংবদন্তি স্থপতি মাজহারুল ইসলাম। বড় মাপের মানুষের মনও যে বড় হয়, স্থপতি মাজহারুল ইসলাম তা আবারও প্রমাণ করেছেন। তিনি ছিলেন লুই কানের প্রিয় ছাত্রদের একজন। তিনিই লুই কানকে এ দেশে এনেছিলেন এবং সংসদ ভবনের নকশা তৈরির দায়িত্ব নিতে বলেছিলেন। তাঁর প্রিয় শিক্ষকই পারবেন বাংলাদেশের ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য কিছু করতে—এই বিশ্বাস থেকেই জন্ম নিয়েছে জাতীয় সংসদ ভবনের মতো একটি বিশ্বসেরা স্থাপত্য।
সংসদ ভবনের পুরো কমপ্লেক্সের নকশাটিই লুই কানের করা। কমপ্লেক্সের ঠিক মাঝখানে স্থাপিত মূল ভবনটি। এ ছাড়া কমপ্লেক্সজুড়ে আছে লন, লেক ও এমপি হোস্টেল। কমপ্লেক্সটির চারপাশ দিয়ে গেছে চারটি প্রধান সড়ক। মূল ভবনটি তিনটি প্রধান ভাগে বিভক্ত—প্রধান প্লাজা, দক্ষিণ প্লাজা ও রাষ্ট্রীয় প্লাজা। লেকটি যাতে নদীমাতৃক বাংলাদেশের পরিচয় বহন করে, সেই দিকটি বিবেচনা করেছেন লুই কান। এটি লুই কানের এমনি এক সৃষ্টি, যা কোনো নির্দিষ্ট সময়ের জন্য নয়। এটি আধুনিক ও কালোতীর্ণ। লুই কান তাঁর এই অমর সৃষ্টিতে প্রাকৃতিক আলোর ব্যবহার করেছেন বিস্ময়করভাবে। তিনি এই ভবনে বৃত্ত, অর্ধবৃত্ত, বর্গ, ত্রিভুজের কাঠামোগুলো দিয়ে একটি নতুন স্বাধীনতার আদর্শের আত্মপ্রকাশ ঘটাতে চেয়েছিলেন। তিনি পেরেছেনও। তাঁর হাত ধরেই জন্ম নিয়েছে একটি স্বাধীন দেশের নতুন দিনের আশার আলোকরেখা।
১৯৭৪ সালে পেনসিলভানিয়ার এক রেলস্টেশনে হার্ট অ্যাটাকে মারা যান লুই কান। তিনি বেঁচে নেই ঠিকই, কিন্তু তিনি তাঁর কাজের মাধ্যমে বেঁচে থাকবেন চিরকাল। যত দিন বাংলাদেশ থাকবে, তত দিন থাকবে জাতীয় সংসদ ভবন। আর সংসদ ভবন ধারণ করে রাখবে তার স্থপতির নাম।
তথ্যসূত্র: ইন্টারনেট

যশোর রোড: আন্দোলনের অনন্ত প্রেরণা

আমার ইচ্ছা ছিল, বব ডিলানকে চমকে দিয়ে একটা গান লিখব। অনেকটা উইলিয়াম কার্লোস উইলিয়ামসের ‘স্যাড-আইড লেডি অব দ্য লো ল্যান্ডস’-এর মতো লম্বা কোনো গান, যা প্রকৃতির সৌন্দর্য আর মানবিক আকুতি জাগাবে, যা ডিলানকে ভাবাবে, কাঁদাবে। আমি তা-ই লিখতে চেষ্টা কলাম। সম্প্রতি কলকাতা ঘুরে লাখ লাখ মানুষের সীমাহীন দুঃখ-কষ্ট দেখে আমার যে অনুভূতি তৈরি হয়েছে, তা-ই লিখলাম। কলকাতার ভাষা আর সংগীতের মিশ্রণে সেটাকে গানে রূপ দিলাম ভারতীয় হারমোনিয়াম সহযোগে। সে সময়ে দেখা মানুষগুলোর অন্তহীন যাতনা আমাকে নির্বাক করেছিল। সব বয়সের মানুষের বেঁচে থাকার কষ্ট আমার বুকে চেপে বসে ছিল। সেই যাতনা হূদয়ে নিয়েই আমি লিখেছিলাম ‘যশোর রোড’ কবিতা। আমি মূলত ভারতীয় বজ্র গুরু মন্ত্র নামের বৌদ্ধ সুরের সঙ্গে ‘ব্ল্যাক’-এর গাওয়া ‘ওয়ান অ্যানাদারস সরো’র অন্ত্যমিলের সমন্বয়ে যশোর গাওয়ার চেষ্টা করলাম। ডিলান আমার এই লেখা পড়ে দেখার জন্য নিলেন। পরদিন তিনি যখন সেটি ফেরত দিলেন তখন বললেন, ‘আমি না কেঁদে পারিনি।’ আমরা পরে এ গানের সুর ও সংগীত প্রযোজনার উদ্যোগ নিলাম। কিন্তু বব প্রথম দিকে কিছুতেই পাশ্চাত্যের হারমোনিয়ামের সঙ্গে গিটারের সমন্বয় করতে পারছিলেন না। আমি অবশ্য তাঁকে বলেছিলাম, এ গান বোধহয় ব্লুজের সুরে হবে, যদিও তাঁর কাছ থেকে ব্লুজ সম্পর্কে তখনো আমি শিখছিলাম। বব বারবার তাঁর গিটার টিউন করছিলেন। কিন্তু কিছুতেই কিছু হচ্ছিল না। অনেকবার চেষ্টা করেও ব্যর্থ হচ্ছিলেন, আর এদিকে আমি একটানা গানটি গেয়েই যাচ্ছিলাম। বব একটানা গিটারে সুর তোলার চেষ্টা করেই গেলেন যতক্ষণ না তাঁর হাত ব্যথা হয়। পরে ডিলান অন্য একটি গিটার আনলেন, পিয়ানো বাদ দিলেন এবং গানের বিভিন্ন অন্তরায় ড্রাম বাজাতে শুরু করলেন। কিন্তু গুরুত্বপূর্ণ ছিল দশ আঙুলে ডিলানের জাদুকরী গিটার বাজানো। সময় সময় তিনি থামছিলেন ঠিক যেখানে থামা উচিত; আবার শুরু করছিলেন। শেষমেশ গানটি দাঁড়াল। পরে ১৯৭১ সালের ডিসেম্বর মাসে ডেট্রয়েটে আমরা কবি ‘জন সিনক্লেয়ারের মুক্তি চাই’—এ দাবিতে আয়োজিত শোভাযাত্রায় যশোর রোড গানটি গাই। জন সিনক্লেয়ার ছিলেন মার্কিন কবি ও সাংবাদিক। বিকল্প রাজনৈতিক-সাংস্কৃতিক আন্দোলন গড়ে তোলার চেষ্টা করছিলেন তিনি। তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়। তাঁর মুক্তির দাবিতে আয়োজিত এ শোভাযাত্রার মূল উদ্যোক্তা ছিলেন জন লেনন ও তাঁর স্ত্রী ইয়োকো ওনো। আমরা শোভাযাত্রায় পুরো গানটিই গাই এবং আমাদের সঙ্গে সেদিন গিটার বাজিয়েছিলেন গ্রে গেটজ। আমাদের গান গাওয়ার সময়ে লেনন ছিলেন ড্রেসিং রুমে। এ কারণে তিনি গানটি শুনতে পারেননি। পরে যখন আমরা তাঁর সঙ্গে হোটেলে দেখা করি, তখন গ্রেটজ ও আমি তাঁকে গানটি গেয়ে শোনাই। লেনন মুগ্ধ হয়েছিলেন।

আখতার জামান
সূত্র: ডিলান ১০, বসন্ত সংখ্যা (কবিতা ও গানের খবরাখবর নিয়ে বব ডিলানের প্রকাশনা)

যা কিছু প্রথম

সবচেয়ে বড়, সবচেয়ে শক্তিশালী, সবচেয়ে দ্রুতগামী—এ রকম যাবতীয় রেকর্ডধারীরই একটা সাধারণ পরিণতি হচ্ছে একসময় পেছনে পড়ে যাওয়া। কারণ, আজ হোক, কাল হোক, কেউ না কেউ এই রেকর্ডধারীদের পেছনে ফেলবেই। কিন্তু যা কিছু প্রথম, তা সব সময়ই প্রথম। হতে পারে, প্রথম আবিষ্কৃত তথ্যটা হয়তো পরে দেখা গেল প্রথম নয়, তারও আগে কিছু আছে। কিন্তু সেটিও হবে প্রথম, কাজেই প্রথম চিরকালই প্রথম।

চলচ্চিত্রের সংগীত
ইংরেজি ধারাবাহিক দ্য স্যালভেশন আর্মিতে প্রথমবারের মতো সুর সংযোজন করা হয়। যিশু খ্রিষ্টের জীবন ও প্রাচীন যোদ্ধাদের বীরত্বগাথা নিয়ে ধারাবাহিকটি তৈরি হয়েছিল। এতে মূলত সুরারোপ করেছিলেন আর এম এম সি ন্যালি। ১৯০০ সালের সেপ্টেম্বরে প্রথমবারের মতো ধারাবাহিকটি প্রদর্শিত হয় মেলবোর্ন টাউন হলে।

স্টেরিও সাউন্ড সিস্টেম
ফরাসি টেলিযোগাযোগ বিশেষজ্ঞ ক্লেমেন্টকে স্টেরিও শব্দব্যবস্থার প্রথম প্রবক্তা বলা যায়। টেলিযোগাযোগ ব্যবস্থা নিয়ে কাজ করতে করতে তিনি গানের অনুষ্ঠান সরাসরি সম্প্রচারের কাজে ব্যবহূত ‘থিয়াট্রিফোন’ তৈরি করে ফেলেন। তাঁর এই শব্দব্যবস্থায় মঞ্চের ডানে ও বাঁয়ে দুটি মাইক্রোফোন বসানো হতো। এসব মাইক্রোফোনের সঙ্গে টেলিফোনের তার জোড়া দেওয়া হতো। তারের অন্য প্রান্তে হেডফোন লাগিয়ে অনুষ্ঠানে উপস্থিত না থেকেও দূর থেকে শ্রোতারা রেকর্ড বাজানোর যন্ত্রে মঞ্চের অনুষ্ঠান সরাসরি শুনতে পারত।

শব্দ ধারণ
টমাস আলভা এডিসনের আবিষ্কৃত ফোনোগ্রাফই ছিল শব্দ ধারণ করার প্রাথমিক যন্ত্র। এডিসন (১৮৪৭-১৯৩১) যুক্তরাষ্ট্রের মেনলো পার্কের গবেষণাগারে বসে ফোনোগ্রাফ তৈরি করেন (১৮৭৬)। পরের বছর জন ক্রিউসি নামের এডিসনের এক সহযোগী ফোনোগ্রাফকে শব্দ ধারণ করার উপযোগী করে তোলেন।

দীর্ঘ সময় চলা রেকর্ড
১৯৪৪ সালের কোনো এক সন্ধ্যায় হাঙ্গেরির ড. পিটার গোল্ডমার্কের বাড়িতে এক অনুষ্ঠান চলছিল। গানও বাজছিল। কিন্তু সে সময়কার রেকর্ডগুলো ছিল সবই চার মিনিটের। ফলে একটু পরপরই গান বন্ধ হয়ে যাচ্ছিল। এতে বিগড়ে যায় পিটারের মেজাজ। এর পরই তিনি নেমে পড়েন কীভাবে রেকর্ডগুলো আরও দীর্ঘ সময় ধরে বাজানোর উপযোগী করা যায়, সেই সাধনায়। এ কাজে তাঁকে সহযোগিতা করে কলম্বিয়ার ব্রডকাস্টিং সিস্টেম (সিবিএস)। চার বছর চেষ্টার পর ড. পিটার এলপি রেকর্ড বা লং প্লেয়িং রেকর্ড প্রস্তুত করতে সক্ষম হন। প্রথম এলপি রেকর্ডের দুই পিঠই ২৩ মিনিট করে চলার উপযোগী ছিল। নিউইয়র্কের বাজারে প্রথম এলপি রেকর্ড ছাড়া হয় ১৯৪৮ সালে।

কমপ্যাক্ট ডিস্ক
প্রথম কমপ্যাক্ট ডিস্ক ছিল জাপানি সনি ও ডাচ ফিলিপস কোম্পানির একটি যৌথ প্রকল্পের ফসল। ১৯৭৮ সালে প্রথমবারের মতো এ প্রযুক্তি আবিষ্কৃত হয়। কিন্তু বাণিজ্যিক উদ্দেশ্যে ১৯৮২ সালে জাপানে প্রথম কমপ্যাক্ট ডিস্কে গানের রেকর্ড বাজারে ছাড়া হয়।

ভাষান্তর: ইসরাত জাহান
সূত্র: দ্য পেঙ্গুইন বুক অব ফার্স্ট

বার্ধক্যে খ্যাতি

# যশ-খ্যাতি যা কামানোর, অধিকাংশ লোক তা তরুণ বয়সেই কামান। ব্যতিক্রমও আছে। বেশি বয়সেও অনেকে সাফল্যের দেখা পান, পান খ্যাতির স্বাদ। ভেতরে শিল্পীসত্তা আর উদ্যমী একটা মন থাকলে সাফল্য ধরা দেবেই দেবে; বয়সে আপনি নবীন হোন আর প্রবীণই হোন। কাজটাই মুখ্য। সেই কাজের গুণে লোকে আপনাকে চিনবে, আপনার নামডাক হবে। তেমনই কজন প্রবীণ খ্যাতিমান মানুষের সংক্ষিপ্ত জীবনী তুলে ধরা হলো। তাঁরা বেশি বয়সেও এমন সব কাজ করে গেছেন, যে কাজের জন্য মৃত্যুর পরও তাঁরা অমর হয়ে আছেন, থাকবেন।
# গেঁটেবাতে আক্রান্ত আনা মোসেস একরকম পঙ্গু হয়ে ঘরে বসে ছিলেন। তখন তাঁর বয়স ৭৬ বছর। রং-তুলি ছুঁয়েও দেখেননি কখনো। নিঃসঙ্গ সময় কাটাতে সেই আনা হাতে তুলে নেন তুলি। ক্যানভাসে এঁকে চলেন একের পর এক ছবি। সেই ছবির খ্যাতি একটু একটু করে চারদিকে ছড়িয়ে পড়ল। যুক্তরাষ্ট্র এমনকি অন্যান্য দেশেও তাঁর আঁকা ছবির কদর বাড়তে লাগল। দেখতে দেখতে রীতিমতো সেলিব্রিটি বনে গেলেন। এরপর জীবনের ২৫টি বছর ছবি এঁকেই কাটিয়েছেন তিনি। ১০১ বছর বয়সে মারা যান আনা মোসেস।
# ফাস্ট ফুড সংস্কৃতিতে যারা অভ্যস্ত, তাদের কাছে ম্যাকডোনাল্ডসের কদর আলাদা। ম্যাকডোনাল্ডস অভিজাত একটি ব্র্যান্ডের নাম, যার তৈরি হ্যামবার্গারের খ্যাতি বিশ্বজোড়া। রে ক্রোক নামের এক ব্যক্তি সেই হ্যামবার্গার বানিয়েছিলেন ৫২ বছর বয়সে। স্বাদে ও গুণে অনন্য হ্যামবার্গারের খ্যাতি ধীরে ধীরে ছড়িয়ে পড়ে। প্রতিষ্ঠা পায় ম্যাকডোনাল্ডস নামের একটি ব্র্যান্ড। ১৯৬৩ সালের মধ্যে ১০০ কোটিরও বেশি হ্যামবার্গার বিক্রি হয়ে যায়। অথচ এই রে ক্রোক তাঁর তারুণ্যের ১৭টি বসন্ত কাটিয়েছেন সেলসম্যানের কাজ করে। পরের ১৭ বছর তিনি দুধের সঙ্গে আইসক্রিম মিশিয়ে এক ধরনের পানীয় তৈরির কাজ করেছেন।
# ৬১ বছর বয়সে চিকিৎসা পেশা থেকে অবসর নেন রোজেট। এরপর মন দেন ভাষার কাজে। বিজ্ঞানসম্মত উপায়ে অভিধান তৈরির কাজটা তিনিই প্রথম করেন। ৭৩ বছর বয়সে অভিধানের কাজ শেষ করেন এবং রোজেট-অভিধান প্রকাশিত হয়। ৯০ বছর বয়সে মারা যাওয়ার আগপর্যন্ত ওই অভিধানে যত পরিবর্তন-পরিবর্ধন হয়েছে, সবকিছুর সঙ্গে তিনি ওতপ্রোতভাবে জড়িত ছিলেন।
# রান্নাবাটি সম্পর্কে বেজায় ঔদাসীন্য ছিলেন জুলিয়া চাইল্ড। বয়স যখন ৩০, তখন তিনি ফ্রান্সে যান। সেখানে গিয়ে ফরাসি রান্নার এমনই ভক্ত বনে যান যে ফরাসি রন্ধনরীতি আয়ত্ত করা শুরু করেন তিনি। উদরপূর্তির জন্য উনুনে হাঁড়ি চড়িয়েই ক্ষান্ত হননি জুলিয়া। রান্নার বিন্দু-বিসর্গ পর্যন্ত জানলেন। একসময় ফরাসি কেতার রান্নাকে শিল্পের পর্যায়ে নিয়ে গেলেন। এক দশকের মাথায় রান্নাবান্নার ওপর তাঁর প্রথম বই প্রকাশিত হয়। আর ৫১ বছর বয়সে তাঁর রান্নাবাটির কায়দা-কানুন নিয়ে ফরাসি একটি টেলিভিশন চ্যানেল সিরিজ-অনুষ্ঠান প্রচার শুরু করে।
 
 আবুল হাসনাত
সূত্র: রিডার্স ডাইজেস্ট

সৌরশক্তিচালিত জাহাজে বিশ্বভ্রমণ

সৌরশক্তি ব্যবহারের অনেক সুযোগ রয়েছে। কিন্তু আমরা নাকি এর যথোপযুক্ত ব্যবহার করছি না। এ রকমটিই মনে করছেন সুইজারল্যান্ডের সোলার অভিযাত্রী রাফায়েল ডোমইয়ান। সে কথা প্রমাণ করতেই একজন সহকর্মীকে নিয়ে নৌকায় চড়ে এরই মধ্যে বিশ্বভ্রমণে বেড়িয়ে পড়েছেন তিনি। হ্যাঁ, নৌকাটি অবশ্যই চলছে সৌরশক্তিতে। ৩১ মিটার লম্বা, ১৫ মিটার চওড়া। ওজন ৬০ টন এবং বহন করছে ১৩ টন ব্যাটারি। সৌরশক্তিতে চালিত এত বড় নৌকা এর আগে কখনও দেখা যায়নি। সুইজারল্যান্ডের অভিযাত্রী রাফায়েল ডোমইয়ান এ নৌকাটির নাম দিয়েছেন ‘টুরানর’। গত সোমবার মরক্কোর এক নৌবন্দর থেকে রওনা হয়েছে সৌরশক্তি চালিত তার এ নৌকাটি। তিনি আশা করছেন, ১৪০ দিনের মধ্যেই নৌকাটি দিয়ে পাড়ি দিতে পারবেন ৪০ হাজারেরও বেশি কিলোমিটার পথ। আর এর মধ্য দিয়ে রাফায়েল দেখাতে চান, প্রকৃতিতে এখনও এমন সব শক্তি রয়েছে, যার মাধ্যমে প্রযুক্তিগত উন্নয়ন সম্ভব।
রাফায়েল ডয়চে ভেলেকে বলেছেন, ‘বিশ্বে পরিবর্তন ঘটাতে পারে এমন সব প্রযুক্তি আমাদের কাছেই আছে। আমরা আশা করছি, তা প্রয়োগ করে দেখাতে পারব। নৌকাটি তৈরি করা হয়েছে জার্মানির কিল বন্দরে। এটি তৈরিতে খরচ হয়েছে ১২ দশমিক ৫ মিলিয়ন ইউরো। আর এটি তৈরি করা তখনই সম্ভব হয়েছে, যখন সোলার ব্যবসায়ী ইমো স্ট্র্যোয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন, যে তিনি এ নৌকাটি কিনে নেবেন এবং যখন তিনি এর নির্মাণ খরচ দিয়েছিলেন। রাফায়েল ডোমইয়ান ও তার সমুদ্রযাত্রার সঙ্গী ফরাসি জেরার দাবোভিল পরিকল্পনা করেছেন, ৭ দশমিক ৫ নট গতিতে বিষুবরেখা বরাবর তারা নৌ-তরীটি নিয়ে ভাসবেন। তাদের প্রথম লক্ষ্য অ্যাটলান্টিক মহাসাগর পাড়ি দেয়া। তারপর পানামা খাল হয়ে প্রশান্ত মহাসাগরে যাওয়া। সেখান থেকে তারা যাবেন ভারত মহাসাগরে। সুয়েজ খাল হয়ে ভূমধ্যসাগরে ফিরে আসার ইচ্ছা রয়েছে তাদের। শুধু সাগর পাড়ি দেয়া নয়, নৌকায় চড়ে সৌরশক্তি ব্যবহারের প্রচার চালানোর ইচ্ছাও রয়েছে তাদের। বিশেষ করে এটি যখন মিয়ামি, কানকুন, সানফ্রান্সিসকো, সিডনি, সিঙ্গাপুর এবং আবুধাবির মতো বড় বড় বন্দরে গিয়ে ভিড়বে।

Tuesday, 21 September 2010

মশা দিয়ে মশা নিধন!!!

মশার অত্যাচারে বা মশার কামড়ে অতিষ্ঠ হয়নি বাংলাদেশে এমন লোক খুঁজে পাওয়া যাবে না। মশার কামড় বা অত্যাচার সহ্য করার পাশাপাশি মশার কামড়ে বিভিন্ন রোগ-ব্যাধিতে আক্রান্ত হওয়া আজ জনগণের একটি সাধারণ বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে। ক্ষতিকর মশা নিধনে সম্প্র্রতি ‘টক্সোরিনকাইটিস স্প্লেন্ডেস’ (Toxorhynchites splendens) বা উপকারী মশা নামের এক জাতের মশা দ্বারা ক্ষতিকর মশা নিধনকল্পে গবেষণা চালিয়ে সফল হয়েছেন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষণা প্রতিষ্ঠান ইনস্টিটিউট অব বায়োলজিক্যাল সায়েন্সেসের (আইবিএসসি) গবেষক মোরশীদুল হাসান। ২০০৬ সালে তিনি রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাণিবিদ্যা বিভাগের অধ্যাপক সোহরাব আলীর তত্ত্বাবধানে ‘টক্সোরিনকাইটিস স্প্লেন্ডেস অব বাংলাদেশ অ্যান্ড ইটস ইফিকেসি টু কন্ট্রোল আদার মসকিউটও’ (Toxorhynchites Splendens of Bangladesh and its efficacy to control other Mosquito) বিষয়ে অর্থাৎ উপকারী মশা দ্বারা ক্ষতিকর মশা নিয়ন্ত্রণ বিষয়ে গবেষণা শুরু করেন। উপকারী মশা ডেঙ্গুজ্বর ও গোদরোগের উৎস এডিস ও কিউলেক্স মশার লার্ভা খেয়ে ফেলে। ফলে মানুষকে ক্ষতি করে বা কামড়ায় এমন মশা আর জন্ম নিতে পারে না। তাই এ মশার নাম দেওয়া হয়েছে উপকারী মশা।
গবেষক মোরশীদুল হাসান জানান, দৈহিক আকৃতিতে উপকারী মশা ক্ষতিকর মশার চেয়ে কয়েক গুণ বড়, পূর্ণাঙ্গ স্ত্রী বা পুরুষ মশা প্রায় এক সেন্টিমিটার, ডিম সাদাটে। লার্ভা থেকে পিউপায় পরিণত হওয়ার সময় এরা কোনো খাবার গ্রহণ করে না। তিনি বলেন, লার্ভা অবস্থায় এরা থাকে মাংসাশী। এ অবস্থায় এরা ক্ষতিকর ও রোগ বহনকারী মশার লার্ভা খেয়ে ওই সব মশার বিস্তার রোধ করে। এ প্রজাতির মশা গাছের কোটর, কাটা বাঁশের কোটর, ডাবের খোসা, গাছের তিন ডালের সংযোগ, প্লাস্টিক ও মাটির পাত্রের জমা পানিতে ডিম পাড়ে। গবেষক মোরশীদুল হাসান জানান, শেরপুর অঞ্চল থেকে উপকারী মশা সংগ্রহ করে গবেষণাগারে এনে এদের লালন-পালন ও প্রজনন করা হচ্ছে। ডিম ফুটে লার্ভা বের হওয়ার পর ওটাকে ক্ষতিকর মশার লার্ভা খাদ্য হিসেবে দেওয়া হয়। পূর্ণাঙ্গ মশাগুলো মশারির খাঁচায় রেখে চক্রাকারে বংশ প্রজননের মাধ্যমে উপকারী মশার সংখ্যা বাড়ানো হচ্ছে বলে তিনি উল্লেখ করেন। উপকারী মশা লার্ভা অবস্থায় যেমন ক্ষতিকর মশার লার্ভা খেয়ে থাকে, তেমনি পূর্ণাঙ্গ মশাকেও ক্ষতিকর মশা নিধনে বিভিন্ন গবেষণার কাজে ব্যবহার করা যায়। একটি পূর্ণাঙ্গ উপকারী মশার আয়ু সাধারণত প্রায় চার মাস হয়ে থাকে বলে তিনি জানান।
টক্সোরিনকাইটিস স্প্লেন্ডেস স্ত্রী বা পুরুষ মশা মানুষ বা অন্য কোনো প্রাণীকে কামড়াতে পারে না। আবার স্ত্রী মশার ডিম বৃদ্ধির জন্য অন্যান্য ক্ষতিকর মশার মতো মানুষ বা অন্য কোনো প্রাণীর রক্ত শোষণেরও প্রয়োজন হয় না। এরা ফুলের মধু, ফলের বা কাণ্ডের রস ও অন্যান্য মশার লার্ভা খায়। গত বছর রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে আনুষ্ঠানিকভাবে প্রায় দুই হাজার এই উপকারী মশা ছাড়া হয়েছে। জানা গেছে, উপকারী মশা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইবিএসসির গবেষণা মাঠের আশপাশের এলাকায় আনুষ্ঠানিকভাবে ছেড়ে দেওয়ার পর ওই এলাকায় ক্ষতিকর মশার উপদ্রব ক্যাম্পাসের অন্যান্য এলাকার ক্ষতিকর মশার উপদ্রব থেকে অনেকাংশে কমে এসেছে।
সম্প্র্রতি সরেজমিনে বিশ্ববিদ্যালয়ের আইবিএসসির গবেষণা মাঠে গিয়ে দেখা যায়, সেখানে মাটির বিভিন্ন বড় বড় পাত্রে, গাছের খোলে ও বিভিন্ন কোটরে রাখা আছে ক্ষতিকর মশার লার্ভা। আর সেসব পাত্র, খোল ও কোটরে উপকারী মশা ও উপকারী মশার লার্ভাও ছেড়ে দেওয়া আছে। ক্ষতিকর মশার লার্ভা তথা ক্ষতিকর মশা যদি একসময় শেষ হয়ে যায়, তখন এ উপকারী মশা কি খেয়ে বেঁচে থাকবে—এমন প্রশ্নের জবাবে গবেষক মোরশীদুল হাসান জানান, উপকারী মশার দ্বারা ক্ষতিকর মশা বা ক্ষতিকর মশার লার্ভা যদি একসময় শেষ হয়ে যায়, তবে উপকারী এ মশা মাছি বা অন্যান্য কীটপতঙ্গের লার্ভা বা গাছপালার পাতার রস খেয়ে বেঁচে থাকবে। উপকারী মশা নিয়ে ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা কী—এ প্রশ্নের জবাবে গবেষক মোরশীদুল হাসান বলেন, ঢাকা শহরসহ দেশের যেসব জায়গায় মশার উপদ্রব বেশি, সেসব জায়গায় প্রচুর পরিমাণে এ মশা ছেড়ে দেওয়ার ইচ্ছা রয়েছে তাঁর। তিনি বলেন, গবেষণা শেষে অধিকমাত্রায় এ মশার প্রজনন ঘটিয়ে তথা বংশবৃদ্ধি ঘটিয়ে সারা দেশে এ জাতের মশা ছেড়ে দেওয়ার ব্যবস্থা করতে পারলে দেশের আপামর জনগণ যেমন একদিকে ক্ষতিকর মশার কামড় বা অত্যাচার থেকে রক্ষা পাবে, তেমনি অন্যদিকে জনগণ ক্ষতিকর মশার কামড়জনিত রোগ যেমন ডেঙ্গু, ম্যালেরিয়া, গোদ ইত্যাদি থেকেও সহজেই পরিত্রাণ পাবে। আর এ ব্যবস্থা কার্যকর করতে পারলেই তাঁর গবেষণার উদ্দেশ্য সার্থক হয়ে উঠবে বলে তিনি মনে করেন। ক্ষতিকর মশা নিধনের এই প্রক্রিয়াটি সারা দেশে ছড়িয়ে দিতে পারলে মশার উপদ্রব কিছুটা হলেও কমতে পারে।
 
কুদরাত-ই-খুদা 
তারিখ: ০৫-০৯-২০১০
Prothom-Alo 

ওরা স্বপ্ন ফেরি করে

১৭ শতকের দিকে জাপানের টোকিও ও ওসাকা শহরে নৃত্য ও সংগীতশিল্পী-রূপে গেইশাদের আবির্ভাব। প্রথমদিকে পেশাটিতে পুরুষেরা থাকলেও ১৮ শতকের মাঝামাঝি থেকে নারীরা এ ক্ষেত্রে প্রাধান্য বিস্তার করতে থাকে। এ ধারা এখনো বজায় আছে। পুরুষের ইন্দ্রীয় সুখের জন্য গেইশা-নারীরা কাজ করলেও এরা সাধারণত শয্যাসঙ্গী হয় না।

‘আমি মানুষের চোখ দেখে দেখে ক্লান্ত। আমি যা নই, তা হওয়ার ভান করে ক্লান্ত, তোষামোদ পেতে পেতে ক্লান্ত। আমি নিজেকে একজন দিলখোলা সৎ মানুষ হিসেবে দেখতে চাই, যা অনুভব করি তা করতে চাই। কিন্তু পেশার কারণে তা কোনো দিনও হবে না।’ জাপানের কিয়োটো শহরের জীবন নিয়ে ক্লান্ত এক গেইশা-নারীর বয়ান এটি। ওই দেশের সবচেয়ে ক্ষমতাধর ও সম্পদশালী ভোগী পুরুষের মনোরঞ্জনে নিয়োজিত নারীদের গেইশা নামে আখ্যায়িত করা হয়। এসব নারী জীবিকার জন্য ওই সব পুরুষের কাছে ফেরি করে ফেরে তাদের শিল্পীসত্তা।
কঠোর বিধিনিষেধ আর গোপনীয়তার বেড়াজালে বাঁধা গেইশাদের জীবন। ১৭ শতকের দিকে জাপানের টোকিও ও ওসাকা শহরে নৃত্য ও সংগীতশিল্পী-রূপে এদের আবির্ভাব। প্রথমদিকে পেশাটিতে পুরুষেরা থাকলেও ১৮ শতকের মাঝামাঝি থেকে নারীরা এ ক্ষেত্রে প্রাধান্য বিস্তার করতে থাকে। এ ধারা এখনো বজায় আছে। পুরুষের ইন্দ্রীয় সুখের জন্য গেইশা-নারীরা কাজ করলেও এরা সাধারণত শয্যাসঙ্গী হয় না। কেউ যদি হয়, তবে সেটা তার একান্তই ব্যক্তিগত, সেখানে তার ইচ্ছা ও প্রেমই থাকে মুখ্য। গেইশারা পতিতা নয়, বরং বলা যায় এরা ক্ষমতাবান পুরুষের মাঝে স্বপ্ন, বিলাস, রোমান্স ও স্বাতন্ত্র্য জাগিয়ে তুলতে নিজেদের মেধা-মননের পসরা নিয়ে হাজির থাকে।
এখনকার দিনে জাপানে হাতেগোনা যেসব নারী এ পেশায় আসে, তাদের মূলত রোমান্স ও ভালোবাসার প্রতিমূর্তি হিসেবেই দেখা হয়। তবে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের আগের সময় জন্মসূত্রে ও টিকে থাকার জন্য এ পেশায় আসতে বাধ্য হতো নারীরা। গেইশারা সাধারণত ঐতিহ্যবাহী সিল্কের কিমোনো পরে, আর তাদের চেহারা ঢাকা থাকে পুরু মেকআপে। সেই সঙ্গে মার্জিত ব্যবহার হয় তাদের আরেক আকর্ষণ। এসব নারীকে জাপানের ঐতিহ্যবাহী চা পানের অনুষ্ঠান সম্পর্কে রীতিমতো প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়। এ ছাড়া ‘সামিসেন’ নামের বাদ্যযন্ত্র বাজানো ও নাচের ওপরও বিশেষ প্রশিক্ষণ দেওয়া হয় তাদের। নাচই হলো লোকসম্মুখে এসব নারীর মেধা প্রকাশের মূল মাধ্যম। তবে এদের মেধার সত্যিকার পরিচয় পাওয়া যায় নৈশ পার্টিগুলোতে। এসব পার্টিতে পুরুষেরা ডিনার করতে বসলে তাদের হাতে হাসিমুখে সুরার পাত্র তুলে দেয় মোহময়ী গেইশারা। তবে পুরুষেরা যাতে মাতাল না হয়, সে দিকেও কঠোর নজর থাকে এসব মোহিনীর। আকণ্ঠ পানের পর ক্ষমতাধরেরা আয়েশ করে বসলে গেইশারা হালকা তানে কণ্ঠে তুলে নেয় সুর। চারদিকে ছড়িয়ে দেয় সুরের মায়াজাল। তবে জাপানি পুরুষেরা এসব নারীকে সবচেয়ে বেশি কদর করে গুরুত্বপূর্ণ ও গুরুগম্ভীর আলাপে তাদের স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণের জন্য। গেইশাদের অংশগ্রহণে ক্লান্তিকর কথাবার্তাও তখন হয়ে ওঠে আনন্দের। তাই গুরুত্বপূর্ণ বৈঠকগুলোতে অংশ নিতে গেইশাদের সাম্প্রতিক খবরাখবর থেকে শুরু করে নাটক-সিনেমা-সুমো জগতের নানা গুজব সম্পর্কেও খুব ভালোভাবে ওয়াকিবহাল থাকতে হয়।
গুরুত্বপূর্ণ নানা বৈঠকে অংশ নেওয়া গেইশারা গোপনীয়তা রক্ষার ক্ষেত্রেও ভীষণ পারঙ্গম। মেকআপে ঢাকা তাদের মুখমণ্ডলে খুব কমই আবেগ খেলে। মক্কেলের গোপন তথ্য গোপন রাখতে নীরবতাকে তারা বর্ম হিসেবে ব্যবহার করে। কঠোর শৃঙ্খলা আর মেধা দিয়ে তারা জীবনের জন্য নির্মাণ করে চলে সুন্দরকে। এরা নিজেকে পুরুষের চোখে আদর্শ নারী করে তোলে। হয়ে ওঠে জীবন্ত শিল্প।
কিন্তু রংতুলির আঁচড় আর নিয়মশৃঙ্খলা, নীরবতার বর্মে ঢাকা পড়ে থাকে এসব নারীর ব্যক্তিজীবনের সব রং, মাধুরী, চাওয়া-পাওয়া। পুরুষের চোখে, জাপানি সমাজের চোখে এরা কেবলই গেইশা। তাই কিয়োটোর প্রভাবশালী এক পুরুষ জীবনের দীর্ঘ সময় গেইশাদের সঙ্গে কাটিয়েও খুবই নির্মোহভাবে বলতে পারেন, ‘আমি রোমাঞ্চ ভালোবাসি, বাস্তব নয়। মোহিনী জাল সৃষ্টিতে গেইশারা কী কৌশল খাটায়, তা আমার জানার দরকার নেই। আমি তাদের সঙ্গ পছন্দ করি। কিন্তু তাদের জীবনের দুঃখের কাসুন্দি শুনতে চাই না। আমি তাদের স্বপ্ন হিসেবেই দেখতে চাই। আমার জন্য স্বপ্ন জিইয়ে রাখা তাদের জন্যও জরুরি। এটাই আমাদের দুই পক্ষের সম্পর্ক—ব্যস, শেষ।’

সুমাইয়া তাজারিন
সূত্র: ন্যাশনাল জিওগ্রাফিক 

সোনাদানার কাহিনি

অষ্টম শতাব্দীতে জাপানের প্রথম রাজধানী নারার ডোদাই-জি বৌদ্ধ মঠে একটা বিশাল (৫৩ ফুট উঁচু) ঢালাই ব্রোঞ্জের বুদ্ধমূর্তি রাখার জন্য বড় একটা হল নির্মাণ করা হয়। মূর্তিটির ওজন ছিল এক মিলিয়ন পাউন্ডেরও বেশি এবং এটা কোয়ার্টার টন সোনায় মোড়ানো ছিল।

এখন পর্যন্ত আবিষ্কৃত সবচেয়ে বড় স্বর্ণপিণ্ডের নাম হলো ‘ওয়েলকাম স্ট্রেঞ্জার’, ওজন প্রায় ২০০ পাউন্ড। ১৮৬৯ সালে অস্ট্রেলিয়ার বালারাটের কাছে জন ডিমন এবং রিচার্ড ওটেস পিণ্ডটি আবিষ্কার করেন।

ইংরেজ অভিযাত্রী মার্টিন ফ্রবিশার ১৫৭৮ সালে ইংল্যান্ডে রীতিমতো গোল্ড ফিভার তৈরি করে ফেলেন, তিনি বাফিন দ্বীপ থেকে ২০০ টন চকচকে সোনার আকরিক নিয়ে ফিরে আসেন। আরও সোনা পাওয়ার আশায় ব্যাপক প্রস্তুতি নেওয়া হয়, কিন্তু শেষ পর্যন্ত আকরিকটা ছিল শুধু আয়ন পাইরাইট (বোকার স্বর্ণ)। শেষ পর্যন্ত ওটাকে ভেঙে টুকরো টুকরো করে রাস্তার কাজে ব্যবহার করা হয়।
 
মধ্যযুগীয় আলকেমিস্টরা সস্তা ধাতু থেকে সোনা তৈরির পথ খুঁজছিলেন। তাঁরা ব্যর্থ হন আর এর ফলে তাঁরা অবজ্ঞার শিকারও হন। যা হোক, এই খোঁজাখুঁজির ফলে তাঁরা শক্তিশালী এসিড আবিষ্কার করে ফেলেন: সালফিউরিক এসিড, নাইট্রিক এসিড এবং হাইড্রোক্লোরিক এসিড—এই পদার্থগুলো আধুনিক শিল্পে সোনার চেয়েও দামি। এর জন্য তাঁরা কোনো কৃতিত্ব পান না।

প্রতি আউন্স সোনা পাওয়ার জন্য খনিশ্রমিকদের ২ দশমিক ৫ মাইল পর্যন্ত খনন করতে হয়।

মার্থা ওয়াশিংটনের সিলভার সার্ভিস ছিল রুপার প্রথম উৎস, যে রুপা প্রথম ইউএস মুদ্রায় ব্যবহূত হয়।

উইলিয়াম হাইড ওলেস্টনের মৃত্যুর আগ পর্যন্ত প্লাটিনাম নিয়ে কাজ করেছেন, বাণিজ্যিকভাবে ব্যবহারের জন্য একে নমনীয় করার চেষ্টা করেছেন, অত্যন্ত গোপনীয়তা বজায় রেখে গবেষণা করেছেন তিনি, তাঁর পরীক্ষাগারে কারও ঢোকার অনুমতি ছিল না। ১৮০০ সালের দিকে ধাতুটি নিয়ে কাজ করে ওলেস্টন বেশ অর্থ উপার্জন করেছিলেন। প্লাটিনাম এমনিতে খুব ভারী, দুর্লভ এবং সোনার চেয়েও নিষ্ক্রিয়।

সাগরে থাকা সোনার পরিমাণ নয় মিলিয়ন টন, মানুষের ইতিহাসে খনি থেকে মোট যে পরিমাণ স্বর্ণ উত্তোলন করা হয়েছে, তার প্রায় ১৮০ গুণ। সাগরে সোনা এমনভাবে ছড়ানো যে সেখান থেকে নিষ্কাশন করাটা লাভজনক নয়।

হীরা হলো একমাত্র রত্ন, যার মাত্র একটি মৌল কার্বন দিয়ে গঠিত। যদিও স্ফটিক স্বচ্ছ, কিন্তু গুঁড়ো করার পর ওটা হয়ে যায় কালো। রত্নের কাঠিন্যের ওপর নির্ভর করে হীরাকে ১৪০০ থেকে ১৬৭০ ডিগ্রি ফারেনহাইটের মাঝে সম্পূর্ণরূপে দহন করা যায়।

স্প্যানিশদের দক্ষিণ আমেরিকা জয়ের আগে ইন্ডিয়ানদের (ইনকা) কাছে কোনো লোহা ছিল না। তার বদলে তাদের কাছে ছিল প্রচুর পরিমাণে সোনা। ওই সোনা শুধু সাজসজ্জা বা অলংকারেই ব্যবহূত হতো তা নয়, বরং প্রতিদিনকার নিত্য ব্যবহার্য বস্তু যেমন—পেরেক, খাবারের তৈজসপত্র, চিরুনি তৈরিতেও ব্যবহূত হতো।

মিসরীয়রা তাদের নেতাদের সমাধিস্থ করার সময় মরদেহের সঙ্গে প্রচুর পরিমাণ সোনা-রুপা দিয়ে দিত। কারণ তাদের ধারণা ছিল, মৃত নেতারা পরকালে ওসব ব্যবহার করবে, যা তাদের অর্থনীতিকে পঙ্গু করে দিচ্ছিল। কবরচোরেরা কবর থেকে, তাদের উদ্দেশ্য যা-ই থাকুক না কেন, অর্থনৈতিক ব্যবস্থায় সোনা ও রুপা ফিরিয়ে দেওয়ার মাধ্যমে মিসরীয় সমাজের চাকা সচল করতে সাহায্য করে।

মিসরীয় ইতিহাসের প্রথম দিকে রুপার মূল্য ছিল সোনার চেয়েও বেশি। কারণ, রুপাকে পিণ্ড আকারে খুব কমই পাওয়া যেত।

বছরে ৪০০ টন সোনা লাভের জন্য দক্ষিণ আফ্রিকার র্যান্ড গ্রুপকে তাদের খনিগুলো থেকে ৬০ মিলিয়ন টন আকরিক উত্তোলন ও চূর্ণ করতে হয়।

অ্যাডমিরাল স্যার ক্লাউডসলি শোভেল, ব্রিটিশ নৌবহরের কমান্ডার-ইন-চিফ, ১৭০৭ সালে একজন বৃদ্ধ মহিলার হাতে নিহত হন। সিসিলি দ্বীপপুঞ্জের পাথরে ধাক্কা লেগে জাহাজ হারিয়ে তিনি বহু কষ্টে তীরে পৌঁছে ছিলেন। কিন্তু বৃদ্ধা তাঁকে এই বিশ্বাসে (উপকূলীয় অধিবাসীদের মধ্যে তখন এর প্রচলন ছিল) হত্যা করে, যে দেহ ভেসে আসে, সেটা পরিত্যক্ত। সে অ্যাডমিরালের আঙুলের পান্নার আংটিটির বৈধ দাবিদার বলেও মনে করে।
 
ভাষান্তর: হাসান খুরশীদ

পৃথিবী বদলে দেওয়া সাত দাওয়াই

আফিম
আফিমের নাম শোনেননি এমন কে আছেন? রাজনীতি, অর্থনীতি এবং সাংস্কৃতিক দৃষ্টিকোণ থেকে আফিম একটি গুরুত্বপূর্ণ ওষুধ হিসেবে পরিচিত। মানসিক অস্থিরতা ও বেদনানাশক ওষুধ হিসেবে এখনও বহুলভাবে ব্যবহার হচ্ছে।

গুটিবসন্ত টিকা
অ্যাডওয়ার্ড জেনার ১৭৯৮ সালে স্যাঁতসেঁতে অঞ্চলের গো-বসন্ত দূর করার জন্য প্রথম টিকা তৈরি করেন। পরে এই টিকা গুটিবসন্তের প্রতিষেধক হিসেবে ব্যবহার শুরু হয়। ১৮৮৫ সালে মন্ট্রিয়েলে হঠাৎ ট্রেন-ভ্রমণকারীদের মধ্যে গুটিবসন্ত মহামারীরূপে দেখা দিলে আক্রান্ত যাত্রীদের দ্রুত এই প্রতিষেধক দেওয়া হয়।

স্যালভারসান
১৯১০ সালে পাওয়েল হারলিস সিফিলিস রোগের সংক্রমণের প্রতিরোধে স্যালভারসন প্রতিষেধক হিসেবে প্রথম পরিচয় করিয়ে দেন। তাঁর এই বৈপ্লবিক উদ্ভাবনের জন্য এখন তাঁকে কেমোথেরাপির জনক বলা হয়।

ইনসুলিন
১৯২০ সালের শুরুর দিকের কথা। ফ্রেডরিক বেন্টিং এবং তাঁর সহকর্মীরা না খেয়ে থাকা বহুমূত্র রোগীদের শরীর থেকে ইনসুলিন হরমোন আলাদা করেন। তার আগে অল্প কিছু ওষুধ ছিল, যা কি না অনেক রোগীরই উপশমে কাজে লেগেছিল। ইনসুলিন এখন ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণের প্রধান ওষুধ।

পেনিসিলিন
পেনিসিলিন আবিষ্কৃত হয় ১৯২৮ সালে কিন্তু তখন এটিকে হেলাফেলা করা হয়েছিল। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় আবার নতুন করে এই প্রতিষেধকটি রোগসংক্রমিত একটি রেঞ্জের সেনাসদস্যদের চিকিৎসায় ব্যবহূত হয়। তারপর থেকে পেনিসিলিন ব্যবহার হচ্ছে নানা রোগের চিকিৎসায়।

ইনোভিড
১৯৬০ সালে যুক্তরাষ্ট্রে ইনোভিড নামের একটি জন্মনিরোধক ওষুধ আবিষ্কৃত হয়েছিল। আর এই বড়ির উদ্ভাবনের ফলে ঘটে যায় এক বিপ্লব। যার প্রভাবে কোটি কোটি মানুষ বেঁচে যায়। ১৯৭০ সালে এটা যুক্তরাষ্ট্রের জনসংখ্যা সমস্যা দূর করার কাজে ব্যবহার করা হয়। কিন্তু সে সময় অনেক স্বাস্থ্য-বিশেষজ্ঞ এটির বিরোধিতা করেছিলেন। বর্তমান সময়ে জন্মনিয়ন্ত্রণের জন্য এটিই সবচেয়ে উন্নত পদ্ধতি।

থ্যালিডোমাইড
মানসিক অস্থিরতা দমনের এই ওষুধ আবিষ্কৃত হয় ১৯৫০ সালের শেষ ও ১৯৬০ সালের শুরুর দিকে। গর্ভধারণকালীন সময়ে অনেকে ওষুধটি সেবন করেছিলেন। ফলে তাঁদের শিশুরা মৃত্যুর দুয়ার থেকে ফিরে এসেছিল কল্পনাতীতভাবে। চিকিৎসাবিদ্যার যখন চরম দুর্যোগ, তখন এটি একটি আমূল পরিবর্তন এনেছিল পৃথিবীতে। ১৯৯০ সালে থ্যালিডোমাইডকে নতুনভাবে কুষ্ঠ ও অন্যান্য রোগের চিকিৎসার জটিলতা দূর করার কাজে ব্যবহার করা শুরু হয়।
 
 মোছাব্বের হোসেন
সূত্র: ন্যাশনাল জিওগ্রাফিক

Monday, 6 September 2010

বিশ্ববিখ্যাত গাড়ি

মার্সিডিজ

জার্মানির বিলাসবহুল গাড়ি মার্সিডিজ ১৯০১ সাল থেকে তৈরি হচ্ছে। ডেইমলার গাড়ি কোম্পানির পরিচালক এমিল জেলেনিকের মেয়ের নামে এ গাড়ির নামকরণ করা হয়।

রোলস রয়েস

১৯০৬ সালে বিলাসবহুল গাড়ির জগতে এক নতুন মাত্রা যোগ করে রোলস রয়েস। হেনরি রয়েস ও চার্লস রোলের মিলিত আগ্রহে ব্রিটিশ গাড়ির জগতে বিলাসবহুল এই যানের সূচনা ঘটে। এ কোম্পানির ইঞ্জিন পৃথিবীর বিভিন্ন দেশের উড়োজাহাজেও ব্যবহূত হয়।

বুগাত্তি রয়েল

এযাবত্কালের সবচেয়ে বড় গাড়ি হিসেবে পরিচিত বুগাত্তি রয়েল মাত্র ছয়টি তৈরি করা হয়েছে। রাজকীয় এই গাড়ির নকশা করেন ইতালীয় ইত্তোর বুগাত্তি। এটি লম্বায় ৬.৭ মিটার এবং এর ইঞ্জিন ১২.৭ লিটারের, যা বিশেষভাবে উড়োজাহাজের জন্য নকশা করা হয়েছিল। ১৯৮০ সালে এর একটি গাড়ি রেকর্ড পরিমাণে ১৫ মিলিয়ন ডলারে (৯.১ মিলিয়ন পাউন্ড) বিক্রি করা হয়।

ফক্সভাগেন বিটল

১৯৩৭ সালে জার্মানিতে সর্বপ্রথম ফক্সভাগেন বিটল তৈরি হয় এবং এর নকশা করেন ফার্দিনান্দ পর্কি। ২০০৩ সালে যখন এর উত্পাদন শেষ হয়, তখন পর্যন্ত ২১ কোটি ৫২ লাখ নয় হাজার ৪৬৪টি গাড়ি তৈরি হয়। ১৯৯৮ সালে বিটলের নতুন সংস্করণ বাজারে আসে।

মিনি

ব্রিটেনে ১৯৫৯ সালের আগস্টে মিনি গাড়ির যাত্রা শুরু হয়। এ গাড়ির দাম ছিল ৫০০ পাউন্ডের কম। ২০০০ সাল পর্যন্ত ৫.৩ মিলিয়নেরও বেশি মিনি তৈরি করা হয়েছে। এ গাড়ির নকশা করেছিলেন এলিক আইসিগোনিস। ব্রিটিশ গাড়ির মধ্যে মিনিই কেবল এক মিলিয়নের বেশি বিক্রি হয়েছে। নতুন মিনি ২০০১ সালে আবারও যাত্রা শুরু করে।

 মিনহুন নাহার



সূত্র: দ্য ওয়ান্ডার ফ্যাক্টস

Tuesday, 31 August 2010

ঝড় কেড়ে নিল আনা ফ্রাঙ্কের সেই কাঠবাদাম গাছ


‘ফুলে ফুলে ছেয়ে গিয়েছিল আমাদের কাঠবাদাম গাছটি। পাতায় পাতায় ভরে উঠেছিল সারা গাছ। গত বছরের চেয়ে আরও সুন্দর হয়ে উঠেছিল এটি।’ হূদয়স্পর্শী ডায়েরি লিখে দুনিয়াজুড়ে নাম কেনা কিশোরী আনা ফ্রাঙ্ক তার প্রিয় কাঠবাদাম গাছ সম্পর্কে এই বর্ণনা দিয়েছিল।

 
নেদারল্যান্ডের রাজধানী আমস্টারডামে আনা ফ্রাঙ্কের স্মৃতিবিজড়িত বাড়িতে এত দিন দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের নীরব সাক্ষী হয়ে দাঁড়িয়েছিল গাছটি। সম্প্রতি ঝড়ের আঘাতে ভেঙে পড়েছে প্রায় ১৫০ বছরের পুরোনো এই গাছটি।

আমস্টারডামে যে বাড়িতে আনা ফ্রাঙ্ক থাকত, তা এখন জাদুঘর হিসেবে সংরক্ষিত। ওই জাদুঘরের একজন মুখপাত্র জানান, প্রচণ্ড বৃষ্টি ও ঝোড়ো বাতাসে ঐতিহাসিক কাঠবাদাম গাছটি দেশলাই কাঠির মতো ভেঙে পড়েছে। মাটি থেকে এক মিটার উঁচুতে কাণ্ডটি দুই টুকরো হয়েছে। গাছটির ভাঙা অংশ পাশের একটি দেয়ালের ওপর পড়লেও আনা ফ্রাঙ্কের বাড়িটি রক্ষা পেয়েছে।

আনা ও তার পরিবারের সদস্যরা নাৎসি সদস্যদের কবল থেকে রক্ষা পেতে বেশ কয়েকবার এই গাছের তলে আশ্রয় নেয় বলে তার ডায়েরিতে উল্লেখ রয়েছে। প্রতি বছর প্রায় ১০ লাখ দর্শনার্থী গাছটি দেখতে আসত।

দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় হিটলারের নাৎসি বাহিনী ইহুদি নিধন শুরু করলে ইউরোপের ইহুদিরা সংকটে পড়ে। ওই সময় আনা ফ্রাঙ্ক নামের এক ইহুদি কিশোরী তার প্রাত্যহিক ঘটনাবলি লিপিবদ্ধ করে, যা পরবর্তী সময়ে ‘আনা ফ্রাঙ্কের ডায়েরি’ নামে খ্যাতি লাভ করে।

জাদুঘর কর্তৃপক্ষ জানায়, গাছটির কাণ্ডে ছত্রাকের সংক্রমণ দেখা দিলে ২০০৭ সালে এটি ভেঙে পড়তে যাচ্ছিল। এরপর কাণ্ডের চারপাশে ইস্পাতের কাঠামো দিয়ে গাছটিকে বাঁচিয়ে রাখার চেষ্টা চালানো হয়।

জাদুঘর কর্তৃপক্ষ জানায়, নিলামকারীরা এর মধ্যে গাছটি কিনে নেওয়ার প্রস্তাব দিয়েছে। এ পর্যন্ত সর্বোচ্চ দাম উঠেছে এক কোটি ২০ লাখ ৭২ হাজার মার্কিন ডলার। রয়টার্স।

Prothom-alo
তারিখ: ৩১-০৮-২০১০

উইকিলিকসের খ্যাপা সাংবাদিক

উইকিলিকসের প্রতিষ্ঠাতা জুলিয়ান অ্যাসাঞ্জের চেয়ারটা নরম চামড়ায় তৈরি। ব্যাপারটা তাঁর পছন্দ নয়। কারণ রাগ বা জেদ প্রকাশের জন্য জোরে ঘুষি মারার মতো যথেষ্ট শক্ত নয় এর হাতলটা। কীভাবে তাঁর ওয়েবসাইট আফগান যুদ্ধের ৯০ হাজারেরও বেশি গোপন প্রতিবেদন প্রকাশ করতে পারল সে কাহিনি বলার জন্য চেয়ারে বসতে বসতে টাইম সাময়িকীর সাংবাদিককে কথাটা জানালেন অ্যাসাঞ্জ। ‘আমি চাই দড়াম করে একটা ঘুষি মেরে বলব, “শালার বাস্টার্ড সব! সবগুলোকে গুঁড়িয়ে দেব”!’


হাসিমুখে কথাটা বললেও অ্যাসাঞ্জের হাবভাব দেখে বোঝা মুশকিল, তিনি রসিকতা করছেন কি না। দীর্ঘদেহী, কিছুটা ম্রিয়মাণ, শুভ্রকেশধারী অ্যাসাঞ্জের গলার স্বর খুবই মৃদু। এতটাই যে মাঝেমধ্যে তাঁর কথা শোনাই মুশকিল। অথচ এর মাত্র এক দিন আগে এই ব্যক্তি তাঁর ওয়েবসাইটে আফগান যুদ্ধের গোপন কাগজগুলো প্রকাশ করে হইচই ফেলে দিয়েছেন।


আর কোনো বিষয়ই ক্ষমতাধর ব্যক্তিদের বিব্রত করার মতো আনন্দ দিতে পারে না অ্যাসাঞ্জকে। গোপন নথি প্রকাশ করতে সবাইকে সহায়তা করার জন্য ২০০৬ সালে উইকিলিকস প্রতিষ্ঠা করেন তিনি। নাম না প্রকাশের শর্তে যে কেউ সেখানে সরকার বা বড় প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে তথ্য ফাঁস করে দিতে পারে।


উইকিলিকসে সম্প্রতি তুলে ধরা হয়েছে আফগান যুদ্ধের ছয় বছরের বিস্তারিত বর্ণনা। বেসামরিক লোকজনের হতাহত হওয়া ও পাকিস্তানি গোয়েন্দা সংস্থা আইএসআই এবং তালেবানের সম্ভাব্য আঁতাত-সম্পর্কিত নানা প্রতিবেদনসহ বহু নথিপত্র প্রকাশ করা হয়েছে ওয়েবসাইটটিতে। আফগান যুদ্ধের এই দলিলপত্র এখন পর্যন্ত উইকিলিকসের সবচেয়ে বড় স্কুপ।


নিজেকে একাধারে সাংবাদিক, প্রকাশক ও উদ্ভাবক মনে করেন অ্যাসাঞ্জ। তিনি বলেন, ‘আমি এমন একটি পদ্ধতি উদ্ভাবনের চেষ্টা করছি যা গণমাধ্যমের ওপর সেনসরশিপ সমস্যার সমাধান করবে।’


উইকিলিকসে কাজ করেন ছয়জন পূর্ণকালীন স্বেচ্ছাসেবী। ওয়েবসাইটটির রয়েছে প্রায় এক হাজার এনক্রিপশন বিশেষজ্ঞ। সাইটটির প্রধান সার্ভার সুইডেনে। তবে তারা কাজ করে বিশ্বজুড়ে। গত কয়েক বছরে অনেক গুরুত্বপূর্ণ নথি প্রকাশ করা হয়েছে ওয়েবসাইটটিতে। এর মধ্যে রয়েছে গুয়ানতানামো বে-র ক্যাম্প ডেলটায় বন্দীদের ওপর যে বিধিনিষেধ তার ম্যানুয়াল ও লন্ডনভিত্তিক কোম্পানি ট্রাফিগুরার একটি অভ্যন্তরীণ প্রতিবেদন। ট্রাফিগুরার ওই প্রতিবেদনে আফ্রিকার উপকূলে সম্ভাব্য বিষাক্ত দ্রব্য ফেলে আসার বিষয়ে বিস্তারিত বর্ণনা রয়েছে। এ ছাড়া ২০০৭ সালে ইরাকের রাজধানী বাগদাদে মার্কিন বাহিনীর হেলিকপ্টার থেকে চালানো হামলায় বার্তা সংস্থা রয়টার্স-এর দুই সাংবাদিকের নিহত হওয়ার ভিডিওচিত্র প্রকাশ করা হয়।


কেনিয়ার দুর্নীতিসংক্রান্ত নথিপত্র প্রকাশ করে আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংস্থা অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনালের পুরস্কার জিতেছে উইকিলিকস।


অ্যাসাঞ্জ বলেন, ক্ষতিগ্রস্তদের রক্ষা করার তাড়নাই তাঁর প্রেরণা হিসেবে কাজ করে। তাঁর ওয়েবসাইটে বলা হয়েছে, ‘সরকারের স্বচ্ছতা দুর্নীতি হ্রাস করে।’ যেসব সরকার তথ্য গোপন করে তাদের বিরুদ্ধে লড়াই করতে পছন্দ করেন তিনি। অ্যাসাঞ্জ বলেন, তিনি ‘বুদ্ধিবৃত্তিক লড়াই’ পছন্দ করেন।


তবে অ্যাসাঞ্জ আসলেই কতটা সাংবাদিকতা করছেন, তা নিয়ে প্রশ্ন আছে। ক্রমবর্ধমান সুখ্যাতি ও কুখ্যাতি সত্ত্বেও উইকিলিকসের মুখপাত্র শুধু তিনি নিজে। আর যাঁরা কাজ করছেন তাঁদের দায়বদ্ধতার বিষয়টি স্পষ্ট নয়। ওয়েবসাইটটিতে যেসব নথিপত্র প্রকাশ করা হয়, তা সব সময় হুবহু প্রকাশ করা হয় না। ২০০৭ সালে বাগদাদে মার্কিন হেলিকপ্টার হামলায় প্রাণহানির যে ভিডিওচিত্র প্রকাশ করা হয়েছিল তা ছিল কিছুটা সম্পাদিত। ওই ভিডিওচিত্রটি সমালোচনার মুখে পড়েছিল। কারণ, হেলিকপ্টার থেকে যাদের ওপর হামলা চালানো হয় তাদের একজনের হাতে ছিল রকেটচালিত গ্রেনেড লঞ্চার। উইকিলিকসে প্রকাশিত চিত্রে ওই লোকের ছবি বাদ দেওয়া হয়।


অনেকেই অ্যাসাঞ্জের কাজের পদ্ধতি নিয়ে উদ্বিগ্ন। রিপোর্টার্স কমিটি ফর ফ্রিডম অব দ্য প্রেসের নির্বাহী পরিচালক লুসি ডালগ্লিশ বলেন, ‘এটা সাংবাদিকতা নয়, এটা হচ্ছে তথ্য বিতরণ। এতে আমি উদ্বিগ্ন।’ তিনি আরও বলেন, কোনো স্পর্শকাতর তথ্য প্রকাশ করার আগে সাংবাদিকেরা ব্যাপক আলাপ-আলোচনার মধ্য দিয়ে যান। যদিও উইকিলিকস বলছে, তারাও একই কাজ করছে।


নাগরিকত্বে অস্ট্রেলিয়ান ৩৯ বছর বয়সী অ্যাসাঞ্জ ঘুরেফিরে চারটি জায়গায় থাকেন। নিরাপত্তাজনিত উদ্বেগের কথা উল্লেখ করে জায়গাগুলোর নাম নির্দিষ্ট করে জানাননি তিনি। ইউনিভার্সিটি অব মেলবোর্নে পদার্থবিজ্ঞানে পড়াশোনা করেছেন অ্যাসাঞ্জ। তরুণতর বয়সে তিনি ছিলেন হ্যাকার।


১৯৯১ সালে ২০ বছর বয়সে কানাডিয়ান টেলিকম কোম্পানি নরটেলের মাস্টার টার্মিনাল হ্যাক করেন অ্যাসাঞ্জ। এ ঘটনার পর তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়। ২৬টি অভিযোগ স্বীকার করে নেন অ্যাসাঞ্জ। আরও ছয়টি অভিযোগ প্রত্যাহার করে নেওয়া হয়। বিচারক অ্যাসাঞ্জের ‘বুদ্ধিদীপ্ত কৌতূহলের’ প্রশংসা করেন। শেষ পর্যন্ত তাঁকে সামান্য জরিমানা করা হয়।


সেই হ্যাকারের স্বভাব একেবারে ত্যাগ করেননি অ্যাসাঞ্জ। গোপন আস্তানা থেকে কাজ করেন। তিনি নিশ্চিত সরকারি গোয়েন্দা সংস্থাগুলোর নজরদারির মধ্যে রয়েছেন। ভ্রমণের সময় তাঁর পেছনে নাকি গোয়েন্দা লেগে থাকে।


আফগানিস্তান-সংক্রান্ত তথ্য ফাঁস করার যুক্তি তুলে ধরে অ্যাসাঞ্জ বলেন, অন্যের সঙ্গে তথ্য আদান-প্রদানের অধিকার প্রত্যেকেরই রয়েছে। তিনি আরও বলেন, মার্কিন সংবিধানের প্রথম সংশোধনী এ বিষয়টি পরিষ্কার করেছে যে যা ঘটছে জনগণের সামনে তা তুলে ধরার অধিকার রয়েছে প্রকাশকদের।

সূত্র : টাইম
আরিফ মোহাম্মদ তারিক হাবিব

তারিখ: ২৭-০৮-২০১০
Prothom-alo

কেজো কয়েকটি ওয়েবসাইট

হাতের নাগালে ইন্টারনেট থাকলে অনেক কাজই সহজ হয়ে যায়। দেশে বসে নিজেদের দরকারি এমন অনেক কিছুই মেলে ই-দুনিয়ায়। কৃষিকাজ, ব্যবসার খবর থেকে শুরু করে যুদ্ধাপরাধীদের বিভিন্ন তথ্য, জেলাভিত্তিক তথ্য ছাড়াও নানা ধরনের সুবিধা নিয়ে ইন্টারনেটে আছে দেশি বেশ কিছু ওয়েবসাইট। দরকারি এবং কাজে লাগে এমন কিছু ওয়েবসাইট সম্প্রতি জাতীয় ই-কনটেন্ট ও উন্নয়নের জন্য তথ্যপ্রযুক্তি পুরস্কারও পেয়েছে। পুরস্কৃত ও প্রশংসিত এমন কয়েকটি কেজো ওয়েবসাইট নিয়ে এ প্রতিবেদন।

ওয়েবসাইটে কাজের তথ্য

কৃষিপ্রধান দেশের সাধারণ কৃষকদের প্রতিনিয়ত প্রয়োজন হয় নানা তথ্যের। সমস্যাসহ সমাধানের বিভিন্ন বিষয় রয়েছে কৃষিভিত্তিক ওয়েবসাইট রুরাল ইনফো বিডিতে (www.ruralinfobd.com)। উইন ইনকরপোরেটেডের তৈরি এ সাইটে কৃষিবিষয়ক নানা তথ্য পাওয়া যাবে। ‘গ্রামীণ মানুষের জন্য নির্ভরযোগ্য তথ্যভান্ডার’ স্লোগানে চালু হওয়া এ ওয়েবসাইটে রয়েছে কৃষিবিষয়ক তথ্য, যার মধ্যে পাওয়া যাবে বিভিন্ন ফসল সম্পর্কে নানা তথ্য। এ ছাড়া রয়েছে নতুন ব্যবসায়িক ভাবনাসহ নাগরিক সেবাবিষয়ক নানা তথ্য। কৃষিতে সফল ব্যক্তিদের কথা ছাড়াও কৃষি খাতে কাজ করা নানা সমস্যার সমাধানও জানা যাবে। এসবের পাশাপাশি কৃষিবিষয়ক সর্বশেষ তথ্যাদিও জানা যাবে এ ওয়েবসাইট থেকে। উইন ইনকরপোরেটেডের প্রধান নির্বাহী কাশফিয়া আহমেদ জানান, ২০০৬ সালে চালু হওয়া এ সাইটে সাধারণ কৃষিভিত্তিক তথ্যের পাশাপাশি রয়েছে বিভিন্ন অঞ্চলের কৃষকদের কৃষিবিষয়ক সমস্যার সমাধান। কৃষিবিষয়ক পূর্ণাঙ্গ এ সাইটটিতে শিগগিরই নতুন বেশ কিছু বৈশিষ্ট্য যুক্ত হবে বলে জানিয়েছেন তিনি।

কৃষি বিষয়ে আরেকটি তথ্যসমৃদ্ধ ওয়েবসাইট হচ্ছে ই-কৃষক (www.ekrishok.com)। ‘কৃষি তথ্য নেয় যারা, কৃষিকাজে সফল তারা’ স্লোগানে তৈরি এ সাইটটির উদ্দেশ্য হচ্ছে কৃষকদের কৃষিবিষয়ক নানা তথ্য ও পরামর্শসেবা প্রদান করা। তথ্যকেন্দ্রের তথ্য ও পরামর্শ কৃষিকাজে প্রয়োগ করার মাধ্যমে আধুনিক তথ্যপ্রযুক্তির সুবিধা গ্রহণ করে কৃষিকাজে উপকৃত হচ্ছেন অনেক কৃষক। কৃষিকাজে যেমন রয়েছে নানা সমস্যা, তেমনি রয়েছে সম্ভাবনা। পোকার আক্রমণ, ফসলের রোগসহ নানা সমস্যা সমাধানের সহজ পদ্ধতি হচ্ছে সমস্যাটি আগে চিহ্নিত করা, তারপর এর সমাধান বের করা। সঠিক সময়ে সমস্যাটি চিহ্নিত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে পারলে একজন কৃষক ফসলের তথা আর্থিক ক্ষতি থেকে বাঁচতে পারেন। পাশাপাশি উন্নত বীজ ব্যবহার করে কিংবা সঠিক মাত্রায় পরিবেশবান্ধব সার, কীটনাশক প্রয়োগ করে একজন কৃষক জমির ফলন বৃদ্ধি করতে পারেন। এসব সমস্যা ও এর সমাধান পাওয়া যাবে এ সাইটে। সফল কৃষকদের নানা তথ্যের পাশাপাশি রয়েছে জেলাভিত্তিক বিভিন্ন পণ্যের তথ্যভান্ডার, যেখানে জানা যাবে কৃষি উপকরণসংক্রান্ত বিভিন্ন তথ্য। সাইটটি প্রকাশ করেছে বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব আইসিটি ইন ডেভেলপমেন্ট।

স্বাধীনতা যুদ্ধের নানা তথ্যের সমৃদ্ধ একটি তথ্যভান্ডার হচ্ছে জেনোসাইড বাংলাদেশ (www.genocidebangladesh.org) ওয়েবসাইটটি। বাংলাদেশ জোনোসাইড আর্কাইভ ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের গণহত্যাবিষয়ক একটি অনলাইন মহাফেজখানা।এখানে মুক্তিযুদ্ধের প্রত্যক্ষদর্শীর বিবৃতিসংবলিত দলিল উপস্থাপন করা হয়েছে। যুদ্ধকালীন সময়ের ভিডিওচিত্র, ছবি, যুদ্ধাপরাধীদের অপরাধের সব তথ্য, গুরুত্বপূর্ণ বিভিন্ন দলিলপত্র নিয়ে বিশেষ গ্রন্থাগার, আর্কাইভ, বই, পেপার কাটিংসহ নানা তথ্য পাওয়া যাবে এ সাইটে। সাইটটি ইংরেজি ভাষার পাশাপাশি বাংলায়ও রয়েছে। বাংলাদেশ জেনোসাইড আর্কাইভ এর নির্মাতা।

গুরুত্বপূর্ণ দরকারি তথ্য নিয়ে রয়েছে বাজার বিডি (www.bazzarbd.com) ওয়েবসাইট। সাউথ এশিয়া করপোরেশনের তৈরি এ ওয়েবসাইটে ইন্টারনেটে বিভিন্ন জিনিস কেনাকাটার সুযোগ রয়েছে।এ সাইটে বই, আসবাবপত্র, প্রযুক্তি পণ্যসহ নানা ধরনের প্রয়োজনীয় পণ্য কেনা যাবে। এ সাইটটিতে বিনা মূল্যে সদস্য হয়ে কেনাকাটার জন্য রয়েছে বাজার বিডি নামের বিশেষ কার্ড। বিভিন্ন মূল্যের এ কার্ড দিয়ে কেনাকাটার কাজটি সহজে করা যাবে। পণ্য কেনার পর ক্রেতার কাছে পৌঁছানোর ব্যবস্থাও রয়েছে এ সাইটে।

যোগাযোগের জন্য প্রয়োজনীয় ফোন নম্বর ও ঠিকানা পাওয়ার সুবিধা নিয়েও রয়েছে ওয়েবসাইট। সিলেটের নানা তথ্য দিয়ে চালু হয়েছে তথ্যভিত্তিক ওয়েবসাইট সিলেট ডিরেক্টরি (www.sylhetdirectory.com)। অনলাইন নির্দেশিকার মতো এ ওয়েবসাইটটিতে সিলেট এবং এর আশপাশের জেলাগুলোর ব্যাংক, বীমা প্রতিষ্ঠান, সাইবার ক্যাফে, কম্পিউটার বাজারের তথ্য, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, ব্যবসায় প্রতিষ্ঠান, যোগাযোগব্যবস্থা, হোটেলসহ বিভিন্ন সেবাভিত্তিক প্রতিষ্ঠানের যোগাযোগের খোঁজ পাওয়া যাবে। সিলেটভিত্তিক এ ডিরেক্টরিতে ভিন্ন ভিন্ন বিভাগে পাওয়া যাবে গুরুত্বপূর্ণ ফোন নম্বরসহ যোগাযোগের ঠিকানা।

সাইটটির সিস্টেম অ্যানালিস্ট নাজমুল ইসলাম বলেন, সিলেটভিত্তিক সব ধরনের তথ্য ইন্টারনেটে যাতে সহজে পাওয়া যায় সে জন্যেই এ ওয়েবসাইট তৈরি করা হয়েছে। এখানকার ব্যবসাসহ অন্য কার্যক্রমগুলো সহজে জানার বিষয় তুলে ধরতেই তৈরি এ সাইটের মাধ্যমে সিলেট-সংক্রান্ত বিভিন্ন প্রয়োজনীয় নম্বর ছাড়াও পাওয়া যাবে ঠিকানা।

ব্যবসাসংক্রান্ত নানা তথ্য নিয়ে রয়েছে ওয়েবসাইট ব্যবসার খবর (www.byabsharkhobor.com)। ব্যবসা শুরু করার বুদ্ধি-পরামর্শ থেকে শুরু করে এর জন্য শুরুতে প্রয়োজনীয় মূলধন জোগাড়ের বিভিন্ন পদ্ধতি জানা যাবে এ ওয়েবসাইট থেকে। পণ্য কেনাবেচার বিভিন্ন পরামর্শ ছাড়াও এ সাইটে টাকা জোগাড় করার ভিডিওচিত্রও রয়েছে! ব্যবসা শুরু করতে আগ্রহী যাঁরা এবং ব্যবসার বড় করতে চান, তাঁদের জন্য প্রয়োজনীয় বিভিন্ন তথ্য পাওয়া যাবে এ ওয়েবসাইটে। ব্যবসা শুরুর এবং ব্যবসা পরিচালনার সব রকমের তথ্যভিত্তিক সমাধানের পাশাপাশি এ সাইটে বিভিন্ন ব্যবসার, বিশেষ করে কৃষিভিত্তিক পণ্যের বিস্তারিত পর্যালোচনাও রয়েছে। সাইটটির নির্মাতা প্রতিষ্ঠান বাংলাদেশ টেলিসেন্টার নেটওয়ার্কের সাধারণ সম্পাদক শহীদউদ্দিন আকবর জানান, গত বছরের শেষের দিকে চালু হওয়া এ ওয়েবসাইটটি মূলত ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্প ব্যবসায় আগ্রহী প্রান্তিক অঞ্চলের গ্রামীণ জনপদের কথা ভেবে তৈরি করা। ব্যবসাসংক্রান্ত প্রয়োজনীয় তথ্য ও পরামর্শ সহজে সাধারণ মানুষের কাছে পৌঁছাতেই সাইটটিতে ব্যবসাসংক্রান্ত বিভিন্ন বিষয় যোগ করা হয়েছে।

Prothom-Alo
নুরুন্নবী চৌধুরী

তারিখ: ২৭-০৮-২০১০

যা কিছু প্রথম

সবচেয়ে বড়, সবচেয়ে শক্তিশালী, সবচেয়ে দ্রুতগামী—এ রকম যাবতীয় রেকর্ডধারীরই একটি সাধারণ পরিণতি হচ্ছে একসময় পেছনে পড়ে যাওয়া। কারণ, আজ হোক, কাল হোক, কেউ না কেউ এই রেকর্ডধারীদের পেছনে ফেলবেই। কিন্তু যা কিছু প্রথম, তা সব সময়ই প্রথম। হতে পারে, প্রথম আবিষ্কৃত তথ্যটা হয়তো পরে দেখা গেল প্রথম নয়, তারও আগে কিছু আছে। কিন্তু সেটিও হবে প্রথম, কাজেই প্রথম চিরকালই প্রথম।

সংবাদপত্র

প্রথমদিকের নিয়মিত বের হওয়া সংবাদপত্রগুলো আমাদের এখনকার মতো ছিল না। এগুলো প্যাপিরাস পাতার ওপর হাতে লেখা হতো। তারপর সেগুলো পরিবেশকসহ দেশের গণ্যমান্য ব্যক্তি কিংবা পর্যটক যাঁরা ঘরে বসে খবর জানতে ইচ্ছুক, তাঁদের হাতে পৌঁছে দেওয়া হতো। এ ধরনের সংবাদপত্রের প্রচলন সম্ভবত প্রথম শুরু হয় গ্রিক নগরগুলোতে। যেমন— আলেকজান্দ্রায় এ ধরনের সংবাদপত্র ছিল, গ্রিক ভাষায় লেখা এসব সংবাদপত্র খ্রিষ্টপূর্ব ৩২৩ শতক-পরবর্তী সময়ে প্রকাশিত হতো। খ্রিষ্টপূর্ব প্রথম শতকে লাতিন ভাষায় লিখিত পত্রিকা বিলি হতো পুরো রোম সাম্রাজ্যে।

দৈনিক সংবাদপত্র

পূর্ববর্তী সংবাদপত্রগুলোর ধারাবাহিকতায়ই খ্রিষ্টপূর্ব প্রথম শতক থেকে পঞ্চম খ্রিষ্টাব্দের মধ্যে কোনো এক সময়ে প্রকাশিত হতে শুরু করে বিশ্বের প্রথম দৈনিক সংবাদপত্রটি। এটির নামও ছিল সাদামাটা: Acta Diurna বা ‘দ্য ডেইলি নিউজ। রোম সরকার এটি প্রকাশ করত। এটা অনেকটা এখনকার দৈনিকগুলোর মতোই ছিল। সংবাদ, সিনেটের প্রধান আলোচ্য বিষয়, গুরুত্বপূর্ণ মামলা-মোকদ্দমা, সরকারি ঘোষণা, অর্থনৈতিক সংবাদ, জন্ম-মৃত্যুর ঘোষণা, খেলাধুলা ইত্যাদি ঠাঁই পেত এই পত্রিকায়। সম্পাদক, কেরানি, প্রতিবেদকসহ দৈনিকটির বেশ বড় একটি স্থায়ী কর্মীবাহিনীও ছিল।

ছাপার হরফে প্রথম সংবাদপত্র

হান রাজ শাসনের সময় রাষ্ট্রীয়ভাবে সরকারি কর্মচারীদের জন্য টিপাও নামের একটি সংবাদপত্র প্রকাশিত হতো। চীনের মিঙ রাজত্বের সময় প্রকাশিত হতো দ্য কাইইউয়ান জা বাও নামের সংবাদপত্র, এটি ছাপার হরফে প্রকাশিত প্রথম সংবাদপত্র হিসেবে সবচেয়ে শক্ত দাবিদার। কাইইউয়ান জা বাও-এর প্রকাশনা ৭১৩ থেকে ৭৪১ খিষ্টাব্দ পর্যন্ত বজায় ছিল। হাতে লেখা, সিল্কের ওপর ছাপা এই পত্রিকাটিও সরকারি কর্মচারীদের জন্য বরাদ্দ ছিল কেবল। এই সংবাদপত্রের একটি সংখ্যা এখনো সংরক্ষিত আছে।

সংবাদ সংস্থা

ফ্রান্সে ১৮৩৫ সালে চার্লস হাভাস নামের এক ব্যক্তি প্রথম সংবাদ সংস্থা প্রতিষ্ঠা করেন। বিভিন্ন পত্রিকার প্রতিবেদকেরা তাঁদের সংবাদপত্রের জন্য সংবাদ সংগ্রহ করতেন এই সংবাদ সংস্থা থেকে।

ম্যাগাজিন

বিশ্বের প্রথম ম্যাগাজিনের প্রথম ইস্যুটির নাম ছিল জার্নাল অব দ্য লার্নার্ড। ১৬৬৫ সালের জানুয়ারিতে প্যারিসে এটি প্রকাশিত হয়। এতে বাজারে আসা নতুন বইয়ের বর্ণনা, বিজ্ঞান ও মানবকল্যাণবিষয়ক প্রতিবেদন, আদালত বা বিশ্ববিদ্যালয়সংক্রান্ত বিশেষ বিশেষ লেখা ঠাঁই পেত।


সূত্র : দ্য পেঙ্গুইন বুক অব ফার্স্ট

 ভাষান্তর: ইসরাত জাহান

ধনরত্নের কাহিনি

 দুই টনেরও বেশি ওজনের দক্ষিণ আফ্রিকান খনিজ শিলা থেকে এক আউন্সের মতো সোনা পাওয়া যায়।

 রাজা জেমস অনূদিত বাইবেলে এক হাজার ৭০০ রত্ন ও দামি পাথরের কথা উল্লেখ আছে।


 ক্যালিফোর্নিয়ায় সোনা আবিষ্কৃত হয়েছে—এই খরব আটলান্টিকের উপকূলে পৌঁছাতে ছয় মাসেরও বেশি সময় লেগেছিল। ১৮৪৮ সালে সোনা আবিষ্কৃত হয়েছিল, কিন্তু জন আগাস্টাস শাটার ও জেমস মার্শাল আবিষ্কারের খবর গোপন রাখার চেষ্টা করেন। ’৪৯-এর শুরুতে সোনার জন্য হুড়োহুড়ি পড়ে গেলে ডিসেম্বরে এসে প্রেসিডেন্ট পক সোনা আবিষ্কারের ঘোষণা দেন।


 ব্যক্তিগত মজুদের সবচেয়ে বেশি সোনার পরিমাণ ভারতে। আনুমানিক পাঁচ হাজার টন, যার মূল্য প্রতি আউন্সে ৬০০ ডলার হিসাবে প্রায় ৭২ বিলিয়ন ডলার। এমনিতে অনুমোদিত আমদানির পরিমাণ প্রায় শূন্য, কিন্তু ভারতীয়রা বেআইনিভাবে প্রতিবছর প্রায় ৬০ থেকে ৭০ টন সোনা তাদের ভান্ডারে জমা করে।


 আইজ্যাক নিউটন ফিলোসফারস স্টোন খুঁজে বের করতে যথেষ্ট সময় নষ্ট করেন, তাঁর ধারণা ছিল ওই স্টোন দিয়ে সোনা তৈরি করতে পারবেন।


 ১৯০৫ সালের প্রথম দিকে দক্ষিণ আফ্রিকার প্রিটোরিয়ার কাছে দুই নম্বর প্রিমিয়ার মাইনে পৃথিবীর সবচেয়ে বড় হিরা, যার ওজন ছিল তিন হাজার ১০৬ ক্যারেট। সাধারণ রেজিস্টার্ড মেইলে হিরেটাকে ইংল্যান্ডে পাঠানো হয়। রাজা সপ্তম এডওয়ার্ড এই হিরা দেখে বিস্মিত হয়ে বলেন, ‘আমি যদি ওটাকে রাস্তায় দেখতে পেতাম তাহলে কাচের খণ্ড মনে করে লাথি দিয়ে ফেলে দিতাম।’ কালিনান নামে পরিচিত এই হিরে থেকে পরে পাঁচটি হিরে তৈরি করা হয়। সবচেয়ে বড় দুটি ৫৩০ ক্যারেট স্টার অব আফ্রিকা এবং ৩১৭ ক্যারেটের কালিনান ২, এখন ব্রিটিশ রাণির মুকুটের রত্ন।


 ধাতুর মধ্যে সোনা দুর্লভতম হলেও বিশ্বে সোনাই প্রথম আবিষ্কৃত হয়।


 মধ্যযুগীয় কিছু রসায়নবিদ সিসা থেকে সোনা তৈরির চেষ্টা করেন, তাঁদের এই চেষ্টা যদি সফল হতো তাহলে সেটা হতো একটা অসাধারণ বৈজ্ঞানিক সাফল্য, কিন্তু এটা একই সঙ্গে ডেকে আনত অর্থনৈতিক সংকটও। এছাড়া অতিরিক্ত সোনা সরবরাহের জন্য মূল্যও পড়ে যেত।


 ১৫৩২ সালে ফ্রান্সিসকো পিজারোর পেরু অভিযানের সময় স্প্যানিশ সেনারা কবুতরের ডিমের সমান বড় বড় পান্না খুঁজে পান। সত্যিকার পান্না ভাঙে না—এই ভুল ধারণা থেকে তাঁরা হাতুড়ি দিয়ে ওগুলোতে আঘাত করেন এবং ভেঙে যাওয়ার পর ধরে নেন, তাঁরা যে পাথর পেয়েছেন এগুলো রঙিন কাচ ছাড়া আর কিছুই নয়।


 সোনা এত নমনীয় যে মাত্র এক আউন্স সোনাকে পিটিয়ে একটি পাতলা ফিল্মে (এক ইঞ্চির ২,৮২,০০০ ভাগের এক ভাগ) পরিণত করা যায়, যা ১০০ বর্গফুট জায়গা দখল করবে কিংবা টেনে ৫০ মাইল লম্বা একটি চমত্কার সূক্ষ্ম তারে পরিণত করা যাবে।


 ‘টিস্যু পেপার’-নাম এসেছে এর প্রথম ব্যবহার থেকে। এর আকার এমনভাবে করা হয়েছিল যাতে সূক্ষ্ম সোনায় বোনা কাপড়ের টিস্যু তৈরি হতে পারে।


 মানসা মুস (১৩১২-৩৭) যখন মক্কায় হজের জন্য তাঁর বিশাল আফ্রিকান সাম্রাজ্য মালি ত্যাগ করেন, তখন তাঁর চলার পথে অস্বাভাবিক কিছু সমস্যা সৃষ্টি হয়: তাঁর ৬০ হাজার অনুচরের খাবার সংগ্রহ করাটা প্রায় অসম্ভব হয়ে দাঁড়ায়। তিনি কায়রোতে পৌঁছে কেনাকাটায় এত সোনা ব্যয় করেন যে সেখানকার সোনার মূল্য অস্বাভাবিক কমে যায়, অর্থনীতি প্রায় ধ্বংসের দ্বারপ্রান্তে এসে পৌঁছায়।

 ভাষান্তর: হাসান খুরশীদ

Wednesday, 18 August 2010

পিনাক্লিয়েট ডাক্সন


নির্মাণশৈলীর গুণে সেরা ভবন নির্বাচন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের শিকাগোভিত্তিক কাউন্সিল অন টল বিল্ডিংস অ্যান্ড আরবান হ্যাবিট্যাট।


অবস্থান: সিঙ্গাপুর

উচ্চতা: ৫৩৫ ফুট

নকশাকার: এআরসি স্টুডিও আর্কিটেকচার ও আরবানিজম।

কক্ষ: এক হাজার ৮৪৮টি ।

বিশেষত্ব: এটির ২৬ ও ৫০ তলাজুড়ে ফুলের বাগান রয়েছে।

Monday, 16 August 2010

সাংসদের শিক্ষাগত যোগ্যতা নিয়ে হাইকোর্টের রুল....... লগে কিসু লারেলাপ্পা গান

সাতক্ষীরা-৪ আসনের সাংসদ এইচ এম গোলাম রেজার শিক্ষাগত যোগ্যতার সনদ কেন আদালতে উপস্থাপনের নির্দেশ দেওয়া হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছেন হাইকোর্ট। উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষার সনদ উপস্থাপনে ব্যর্থ হলে তাঁর সদস্য পদ বাতিলেরও কেন নির্দেশ দেওয়া হবে না, আদালত তাও জানতে চেয়েছেন।



চার সপ্তাহের মধ্যে প্রধান নির্বাচন কমিশনার, নির্বাচন কমিশন সচিব, যশোর শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যানসহ ছয়জনকে এই রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।


আজ সোমবার বিচারপতি মামনুন রহমান ও সৈয়দা আফসার জাহান সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এক রিট আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে এই রুল জারি করেন।


নবম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে জাতীয় পার্টি-সমর্থিত মহাজোট প্রার্থী গোলাম রেজা মনোনয়নপত্রে শিক্ষাগত যোগ্যতা নিয়ে মিথ্যা তথ্য দিয়েছেন, এমন অভিযোগে স্থানীয় গাবুরা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান জি এম শফিউল আজম রিট আবেদন করেন। রিটে গোলাম রেজার সংসদের সদস্য পদ বাতিলেরও আবেদন করা হয়।


রিট আবেদনকারীর কৌসুঁলি কাজী আকতার হামিদ প্রথম আলোকে বলেন, নির্বাচনের হলফনামায় গোলাম রেজা মিথ্যা তথ্য দিয়েছেন। তিনি অষ্টম শ্রেণী পাস। কিন্তু হলফনামায় তিনি উচ্চমাধ্যমিক পাস করেছেন এবং সনদ হারিয়ে যাওয়ায় তা উপস্থাপন করা যায়নি বলে হলফনামায় উল্লেখ করেন।


আদালত ওই উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষার সনদ উপস্থাপনের কেন নির্দেশ দেওয়া হবে না এবং তা উপস্থাপনে ব্যর্থ হলে সদস্য পদ বাতিলের কেন নির্দেশ দেওয়া হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছেন।
প্রথম আলো নিজস্ব প্রতিবেদক
তারিখ: ১৬-০৮-২০১০

বাঙাল দেশে সনদপত্র যোগাড় করতে একটা সাংসদএর কয় মিনিট লাগব?

কিন্তু কথা এইটা না কথা হইলো যারা আমাগো আইন বানায় তারা যদি নুন্যতম শিক্ষিত না হয় তাইলে আমরা আর বড় পাশ দিয়া কি করুম? কম পাশ দিয়া যদি সাংসদ হইয়া কোটি কোটি টাকার মালিক হওয়া যায়, ক্ষমতা দুই ঠেন্গের মাঝখান দিয়া দৌড়াদৌড়ি করে. আর বড় পাশ দিয়া আমরা খালি ব্লগাইতে থাকুম। আসলেই দুনিয়াটা লারেলাপ্পা...................