আফিমের নাম শোনেননি এমন কে আছেন? রাজনীতি, অর্থনীতি এবং সাংস্কৃতিক দৃষ্টিকোণ থেকে আফিম একটি গুরুত্বপূর্ণ ওষুধ হিসেবে পরিচিত। মানসিক অস্থিরতা ও বেদনানাশক ওষুধ হিসেবে এখনও বহুলভাবে ব্যবহার হচ্ছে।
গুটিবসন্ত টিকা
অ্যাডওয়ার্ড জেনার ১৭৯৮ সালে স্যাঁতসেঁতে অঞ্চলের গো-বসন্ত দূর করার জন্য প্রথম টিকা তৈরি করেন। পরে এই টিকা গুটিবসন্তের প্রতিষেধক হিসেবে ব্যবহার শুরু হয়। ১৮৮৫ সালে মন্ট্রিয়েলে হঠাৎ ট্রেন-ভ্রমণকারীদের মধ্যে গুটিবসন্ত মহামারীরূপে দেখা দিলে আক্রান্ত যাত্রীদের দ্রুত এই প্রতিষেধক দেওয়া হয়।
স্যালভারসান
১৯১০ সালে পাওয়েল হারলিস সিফিলিস রোগের সংক্রমণের প্রতিরোধে স্যালভারসন প্রতিষেধক হিসেবে প্রথম পরিচয় করিয়ে দেন। তাঁর এই বৈপ্লবিক উদ্ভাবনের জন্য এখন তাঁকে কেমোথেরাপির জনক বলা হয়।
ইনসুলিন
১৯২০ সালের শুরুর দিকের কথা। ফ্রেডরিক বেন্টিং এবং তাঁর সহকর্মীরা না খেয়ে থাকা বহুমূত্র রোগীদের শরীর থেকে ইনসুলিন হরমোন আলাদা করেন। তার আগে অল্প কিছু ওষুধ ছিল, যা কি না অনেক রোগীরই উপশমে কাজে লেগেছিল। ইনসুলিন এখন ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণের প্রধান ওষুধ।
পেনিসিলিন
পেনিসিলিন আবিষ্কৃত হয় ১৯২৮ সালে কিন্তু তখন এটিকে হেলাফেলা করা হয়েছিল। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় আবার নতুন করে এই প্রতিষেধকটি রোগসংক্রমিত একটি রেঞ্জের সেনাসদস্যদের চিকিৎসায় ব্যবহূত হয়। তারপর থেকে পেনিসিলিন ব্যবহার হচ্ছে নানা রোগের চিকিৎসায়।
ইনোভিড
১৯৬০ সালে যুক্তরাষ্ট্রে ইনোভিড নামের একটি জন্মনিরোধক ওষুধ আবিষ্কৃত হয়েছিল। আর এই বড়ির উদ্ভাবনের ফলে ঘটে যায় এক বিপ্লব। যার প্রভাবে কোটি কোটি মানুষ বেঁচে যায়। ১৯৭০ সালে এটা যুক্তরাষ্ট্রের জনসংখ্যা সমস্যা দূর করার কাজে ব্যবহার করা হয়। কিন্তু সে সময় অনেক স্বাস্থ্য-বিশেষজ্ঞ এটির বিরোধিতা করেছিলেন। বর্তমান সময়ে জন্মনিয়ন্ত্রণের জন্য এটিই সবচেয়ে উন্নত পদ্ধতি।
থ্যালিডোমাইড
মানসিক অস্থিরতা দমনের এই ওষুধ আবিষ্কৃত হয় ১৯৫০ সালের শেষ ও ১৯৬০ সালের শুরুর দিকে। গর্ভধারণকালীন সময়ে অনেকে ওষুধটি সেবন করেছিলেন। ফলে তাঁদের শিশুরা মৃত্যুর দুয়ার থেকে ফিরে এসেছিল কল্পনাতীতভাবে। চিকিৎসাবিদ্যার যখন চরম দুর্যোগ, তখন এটি একটি আমূল পরিবর্তন এনেছিল পৃথিবীতে। ১৯৯০ সালে থ্যালিডোমাইডকে নতুনভাবে কুষ্ঠ ও অন্যান্য রোগের চিকিৎসার জটিলতা দূর করার কাজে ব্যবহার করা শুরু হয়।
মোছাব্বের হোসেন
সূত্র: ন্যাশনাল জিওগ্রাফিক
সূত্র: ন্যাশনাল জিওগ্রাফিক
No comments:
Post a Comment