সৌরশক্তি ব্যবহারের অনেক সুযোগ রয়েছে। কিন্তু আমরা নাকি এর যথোপযুক্ত ব্যবহার করছি না। এ রকমটিই মনে করছেন সুইজারল্যান্ডের সোলার অভিযাত্রী রাফায়েল ডোমইয়ান। সে কথা প্রমাণ করতেই একজন সহকর্মীকে নিয়ে নৌকায় চড়ে এরই মধ্যে বিশ্বভ্রমণে বেড়িয়ে পড়েছেন তিনি। হ্যাঁ, নৌকাটি অবশ্যই চলছে সৌরশক্তিতে। ৩১ মিটার লম্বা, ১৫ মিটার চওড়া। ওজন ৬০ টন এবং বহন করছে ১৩ টন ব্যাটারি। সৌরশক্তিতে চালিত এত বড় নৌকা এর আগে কখনও দেখা যায়নি। সুইজারল্যান্ডের অভিযাত্রী রাফায়েল ডোমইয়ান এ নৌকাটির নাম দিয়েছেন ‘টুরানর’। গত সোমবার মরক্কোর এক নৌবন্দর থেকে রওনা হয়েছে সৌরশক্তি চালিত তার এ নৌকাটি। তিনি আশা করছেন, ১৪০ দিনের মধ্যেই নৌকাটি দিয়ে পাড়ি দিতে পারবেন ৪০ হাজারেরও বেশি কিলোমিটার পথ। আর এর মধ্য দিয়ে রাফায়েল দেখাতে চান, প্রকৃতিতে এখনও এমন সব শক্তি রয়েছে, যার মাধ্যমে প্রযুক্তিগত উন্নয়ন সম্ভব।
রাফায়েল ডয়চে ভেলেকে বলেছেন, ‘বিশ্বে পরিবর্তন ঘটাতে পারে এমন সব প্রযুক্তি আমাদের কাছেই আছে। আমরা আশা করছি, তা প্রয়োগ করে দেখাতে পারব। নৌকাটি তৈরি করা হয়েছে জার্মানির কিল বন্দরে। এটি তৈরিতে খরচ হয়েছে ১২ দশমিক ৫ মিলিয়ন ইউরো। আর এটি তৈরি করা তখনই সম্ভব হয়েছে, যখন সোলার ব্যবসায়ী ইমো স্ট্র্যোয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন, যে তিনি এ নৌকাটি কিনে নেবেন এবং যখন তিনি এর নির্মাণ খরচ দিয়েছিলেন। রাফায়েল ডোমইয়ান ও তার সমুদ্রযাত্রার সঙ্গী ফরাসি জেরার দাবোভিল পরিকল্পনা করেছেন, ৭ দশমিক ৫ নট গতিতে বিষুবরেখা বরাবর তারা নৌ-তরীটি নিয়ে ভাসবেন। তাদের প্রথম লক্ষ্য অ্যাটলান্টিক মহাসাগর পাড়ি দেয়া। তারপর পানামা খাল হয়ে প্রশান্ত মহাসাগরে যাওয়া। সেখান থেকে তারা যাবেন ভারত মহাসাগরে। সুয়েজ খাল হয়ে ভূমধ্যসাগরে ফিরে আসার ইচ্ছা রয়েছে তাদের। শুধু সাগর পাড়ি দেয়া নয়, নৌকায় চড়ে সৌরশক্তি ব্যবহারের প্রচার চালানোর ইচ্ছাও রয়েছে তাদের। বিশেষ করে এটি যখন মিয়ামি, কানকুন, সানফ্রান্সিসকো, সিডনি, সিঙ্গাপুর এবং আবুধাবির মতো বড় বড় বন্দরে গিয়ে ভিড়বে।
Subscribe to:
Post Comments (Atom)
No comments:
Post a Comment