Friday, 30 July 2010
Thursday, 29 July 2010
Wednesday, 28 July 2010
Don't relax. Swine flu not over yet, WHO says
GENEVA — The H1N1 pandemic is not yet over although its most intense activity has passed in many parts of the world, the World Health Organization said on Thursday after a review of the flu outbreak by independent experts.
The WHO emergency committee, composed of 15 external advisers, said it remained critical for countries to maintain vigilance concerning the pandemic, including necessary public health measures for disease control and surveillance, WHO Director-General Margaret Chan said in a statement.
"We're still in the pandemic," WHO spokesman Gregory Hartl told Reuters.
Chan said that pandemic flu activity was expected to continue, and the committee would meet again by mid-July to review the status of the outbreak once more data from the winter influenza season in the southern hemisphere was available.
The panel met on Tuesday, but Chan had delayed the announcement until Thursday as the committee, whose members were spread around the world for the meeting by teleconference, put the final touches to the wording of their recommendation.
Chan's decision, based on the committee's recommendation, means that the outbreak, widely known as swine flu, remains at phase 6 on the WHO's pandemic scale, which has been at the top level of 6 since June 2009.
স্নায়ুকোষ ভবিষ্যতের কম্পিউটারের অণুপ্রেরণা!
মানুষের স্নায়ুকোষ যেভাবে গঠিত হয় এবং স্নায়ুকোষগুলো পরস্পরের সঙ্গে যেভাবে যোগাযোগ করে সেই পদ্ধতি ব্যবহার করে ভবিষ্যতের কম্পিউটার তৈরি হবে বলেমনে করছেন ব্রিটিশ গবেষকেরা। কম্পিউটারে ছবি ও শব্দ ব্যবস্থার আরও উন্নয়নের জন্য গবেষকেরা এ পদ্ধতি বেছে নিচ্ছেন।
৫০ বছরেরও বেশি সময় ধরে চলছে কম্পিউটার নেটওয়ার্কের কাজ। তবে এটি কখনোই আসল স্নায়ুকোষের মতো কাজ করে না। এ অসুবিধা দূর করতে ইউনিভার্সিটি অব প্লাইমাউথের কম্পিউটার বিজ্ঞানী টমাস ওয়েনেকারস স্নায়ুকোষের গঠন পদ্ধতি ও কার্যক্রম অনুকরণ করে কম্পিউটার তৈরির চেষ্টা করছেন। এ জন্য তিনি প্রথমে স্নায়ুকোষ সম্পর্কে প্রচুর তথ্য সংগ্রহ করেন। স্নায়ুকোষ কীভাবে মস্তিষ্কের সঙ্গে সংযুক্ত হয় তা জানার চেষ্টা করেন। ওয়েনেকারস বলেন, তিনি আশা করছেন, স্নায়ুকোষের গঠন পদ্ধতি অনুসরণ করে কম্পিউটার তৈরি করলে সেন্সরি নেটওয়ার্ক আরও শক্তিশালী হবে। ওয়েনেকারের মতো আরেক ব্রিটিশ বিজ্ঞানী স্টিভ ফারবার স্নায়ুকোষের গঠন পদ্ধতি অনুসরণ করে কম্পিউটার হার্ডওয়্যার তৈরির চেষ্টা করছেন। ম্যানচেস্টারের এ বিজ্ঞানী বলেন, আমি চাই অদূর ভবিষ্যতে এমন কম্পিউটার তৈরি করতে, যা আচরণ ও অনুধাবন করবে মানুষের মতো। ভবিষ্যতেও এ ধরনের কম্পিউটারের প্রয়োজন প্রচণ্ডভাবে অনুভূত হবে। তাই আমার এ ধরনের হার্ডওয়্যার তৈরির এ প্রচেষ্টা।
—বিবিসি অবলম্বনে রোকেয়া রহমান
৫০ বছরেরও বেশি সময় ধরে চলছে কম্পিউটার নেটওয়ার্কের কাজ। তবে এটি কখনোই আসল স্নায়ুকোষের মতো কাজ করে না। এ অসুবিধা দূর করতে ইউনিভার্সিটি অব প্লাইমাউথের কম্পিউটার বিজ্ঞানী টমাস ওয়েনেকারস স্নায়ুকোষের গঠন পদ্ধতি ও কার্যক্রম অনুকরণ করে কম্পিউটার তৈরির চেষ্টা করছেন। এ জন্য তিনি প্রথমে স্নায়ুকোষ সম্পর্কে প্রচুর তথ্য সংগ্রহ করেন। স্নায়ুকোষ কীভাবে মস্তিষ্কের সঙ্গে সংযুক্ত হয় তা জানার চেষ্টা করেন। ওয়েনেকারস বলেন, তিনি আশা করছেন, স্নায়ুকোষের গঠন পদ্ধতি অনুসরণ করে কম্পিউটার তৈরি করলে সেন্সরি নেটওয়ার্ক আরও শক্তিশালী হবে। ওয়েনেকারের মতো আরেক ব্রিটিশ বিজ্ঞানী স্টিভ ফারবার স্নায়ুকোষের গঠন পদ্ধতি অনুসরণ করে কম্পিউটার হার্ডওয়্যার তৈরির চেষ্টা করছেন। ম্যানচেস্টারের এ বিজ্ঞানী বলেন, আমি চাই অদূর ভবিষ্যতে এমন কম্পিউটার তৈরি করতে, যা আচরণ ও অনুধাবন করবে মানুষের মতো। ভবিষ্যতেও এ ধরনের কম্পিউটারের প্রয়োজন প্রচণ্ডভাবে অনুভূত হবে। তাই আমার এ ধরনের হার্ডওয়্যার তৈরির এ প্রচেষ্টা।
—বিবিসি অবলম্বনে রোকেয়া রহমান
আপনি কি জানেন?
ব্যতিক্রম গ্রন্থাগার!
সারা বিশ্বে কিছু ব্যতিক্রমধর্মী বহন পদ্ধতির মাধ্যমে বই পড়ার কাজ সম্পন্ন করা হয়ে থাকে, যা শুনে চমকিতই হতে হবে আপনাকে!
এসবের মধ্যে কেনিয়ার একটি গ্রন্থাগার রয়েছে, যা কিনা উট বহন করে। এখানে একটি উট ৫০০টি বই বহন করে এবং অন্য একটি উট তাঁবু বহন করে। এ ছাড়া সেখানে তৃতীয় একটি উট অতিরিক্ত হিসেবে থাকে। এটি একটি উল্লেখযোগ্য ভ্রাম্যমাণ গ্রন্থাগার হিসেবে খ্যাত। বিশ্বের অন্যান্য ভ্রাম্যমাণ গ্রন্থাগারে বই বহন করার কাজে গাধা, নৌকা, সাইকেল, বাস ও ট্রেন ব্যবহূত হয়।
মূল্যবান বই ও পাণ্ডুলিপি
দ্য কোডেক্স হ্যামার (আগের নাম কোডেক্স লিসেসটার) নামের এ বইটি ১৯৯৪ সালে যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্কে বিক্রি হয় পাক্কা দুই কোটি ৮৮ লাখ ডলারে! আর পাউন্ডের পরিমাপে এর অঙ্কটি হলো এক কোটি ৮৬ লাখ ৪৩ হাজার ১৯০ পাউন্ড। সে সময় মোটা অঙ্কের টাকা খরচা করে এ বইটি কিনেছিলেন মাইক্রোসফটের প্রতিষ্ঠাতা বিল গেটস। কোডেক্স ছিল চিত্রশিল্পী লেওনার্দো দা ভিঞ্চির অন্যতম একটি নোটবই, যেখানে লিপিবদ্ধ ছিল তাঁর নানা চিত্রকর্ম।
জন জেমস আডুবনসের লেখা দ্য বার্ডস অব আমেরিকা (১৮২৭-৩৮) বইটি ২০০০ সালে যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্ক শহরে বিক্রি হয় ৮০ লাখ মার্কিন ডলারে বা ৫১ লাখ ৮৭ হাজার ৭৩১ পাউন্ডে। আর ছাপা হওয়া পৃথিবীর সবচেয়ে ব্যয়বহুল বই হিসেবে পরিচিতি পেয়েছে এ বইটি। ঢাউস আকৃতির এই বইয়ের পৃষ্ঠায় পৃষ্ঠায় নানা ধরনের প্রায় ৪০০ রঙিন পাখির ছবি খোদাই করা আছে।
এযাবৎকালের মুদ্রিত বইগুলোর মধ্যে অন্যতম দামি একটি বই হলো জিওফ্রে চসারের দ্য ক্যানটারবারি টেলস (সি ১৪৭৭)। ১৯৯৮ সালে লন্ডনে এ বইয়ের মাত্র একটি সংখ্যা বিক্রি হয়েছিল ৪৬ লাখ ২১ হাজার ৫০০ পাউন্ড দামে, যা মার্কিন ডলারে ৭৫ লাখ ৭০ হাজার ৯৪১ দাম পড়ে।
১৬২৩ সালে উইলিয়াম শেক্সপিয়ারের কাজ করা ফার্স্ট ফলিও ২০০১ সালে লন্ডনে বিক্রি হয়, যার মূল্য ছিল ৪১ লাখ ৫৬ হাজার ৯৪৭ পাউন্ড বা ৬১ লাখ ৬৬ হাজার মার্কিন ডলার।
১৯৮৭ সালে গুটেনবার্গ বিবলিওর মুদ্রিত একটি দুর্লভ বইয়ের সংখ্যা যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্কে বিক্রি হয়েছিল ৫৩ লাখ ৯০ হাজার মার্কিন ডলার বা ৩২ লাখ ৬৪ হাজার ৬৮৮ পাউন্ড।
—মোছাব্বের হোসেন
সূত্র: ওয়ান্ডার ফ্যাক্টস
সারা বিশ্বে কিছু ব্যতিক্রমধর্মী বহন পদ্ধতির মাধ্যমে বই পড়ার কাজ সম্পন্ন করা হয়ে থাকে, যা শুনে চমকিতই হতে হবে আপনাকে!
এসবের মধ্যে কেনিয়ার একটি গ্রন্থাগার রয়েছে, যা কিনা উট বহন করে। এখানে একটি উট ৫০০টি বই বহন করে এবং অন্য একটি উট তাঁবু বহন করে। এ ছাড়া সেখানে তৃতীয় একটি উট অতিরিক্ত হিসেবে থাকে। এটি একটি উল্লেখযোগ্য ভ্রাম্যমাণ গ্রন্থাগার হিসেবে খ্যাত। বিশ্বের অন্যান্য ভ্রাম্যমাণ গ্রন্থাগারে বই বহন করার কাজে গাধা, নৌকা, সাইকেল, বাস ও ট্রেন ব্যবহূত হয়।
মূল্যবান বই ও পাণ্ডুলিপি
দ্য কোডেক্স হ্যামার (আগের নাম কোডেক্স লিসেসটার) নামের এ বইটি ১৯৯৪ সালে যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্কে বিক্রি হয় পাক্কা দুই কোটি ৮৮ লাখ ডলারে! আর পাউন্ডের পরিমাপে এর অঙ্কটি হলো এক কোটি ৮৬ লাখ ৪৩ হাজার ১৯০ পাউন্ড। সে সময় মোটা অঙ্কের টাকা খরচা করে এ বইটি কিনেছিলেন মাইক্রোসফটের প্রতিষ্ঠাতা বিল গেটস। কোডেক্স ছিল চিত্রশিল্পী লেওনার্দো দা ভিঞ্চির অন্যতম একটি নোটবই, যেখানে লিপিবদ্ধ ছিল তাঁর নানা চিত্রকর্ম।
জন জেমস আডুবনসের লেখা দ্য বার্ডস অব আমেরিকা (১৮২৭-৩৮) বইটি ২০০০ সালে যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্ক শহরে বিক্রি হয় ৮০ লাখ মার্কিন ডলারে বা ৫১ লাখ ৮৭ হাজার ৭৩১ পাউন্ডে। আর ছাপা হওয়া পৃথিবীর সবচেয়ে ব্যয়বহুল বই হিসেবে পরিচিতি পেয়েছে এ বইটি। ঢাউস আকৃতির এই বইয়ের পৃষ্ঠায় পৃষ্ঠায় নানা ধরনের প্রায় ৪০০ রঙিন পাখির ছবি খোদাই করা আছে।
এযাবৎকালের মুদ্রিত বইগুলোর মধ্যে অন্যতম দামি একটি বই হলো জিওফ্রে চসারের দ্য ক্যানটারবারি টেলস (সি ১৪৭৭)। ১৯৯৮ সালে লন্ডনে এ বইয়ের মাত্র একটি সংখ্যা বিক্রি হয়েছিল ৪৬ লাখ ২১ হাজার ৫০০ পাউন্ড দামে, যা মার্কিন ডলারে ৭৫ লাখ ৭০ হাজার ৯৪১ দাম পড়ে।
১৬২৩ সালে উইলিয়াম শেক্সপিয়ারের কাজ করা ফার্স্ট ফলিও ২০০১ সালে লন্ডনে বিক্রি হয়, যার মূল্য ছিল ৪১ লাখ ৫৬ হাজার ৯৪৭ পাউন্ড বা ৬১ লাখ ৬৬ হাজার মার্কিন ডলার।
১৯৮৭ সালে গুটেনবার্গ বিবলিওর মুদ্রিত একটি দুর্লভ বইয়ের সংখ্যা যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্কে বিক্রি হয়েছিল ৫৩ লাখ ৯০ হাজার মার্কিন ডলার বা ৩২ লাখ ৬৪ হাজার ৬৮৮ পাউন্ড।
—মোছাব্বের হোসেন
সূত্র: ওয়ান্ডার ফ্যাক্টস
Monday, 26 July 2010
Thursday, 22 July 2010
Top 10 Highest Earning Players
1. Tiger Woods - Golf (£59.527,723)
2. Roger Federer- Tennis (£40,627,103)
3. Phil Mickelson - Golf (£40,556,493)
4. Floyd Mayweather Jr. - Boxing (£39,636,452)
5. LeBron James - Basketball (£30,117,628)
6. Lionel Messi - Football (£28,946,700)
7. David Beckham - Football (£26,640,962)
8. Cristiano Ronaldo - Football (£26,312,100)
9. Manny Pacquiao - Boxing (£24,993,547)
10. Alex Rodriguez - Baseball (£24,335,598)
10. Ichiro Suzuki - Baseball (£24,335,598)
Tuesday, 20 July 2010
পৃথিবীর সব দেশে বর্ষা আসে না
যেখানে পথের শেষ, সেখান থেকে নতুন জীবন শুরু। শাওন এসেছে ফিরে নব জীবনের কথা বলতে। অনেক শাওন কেটে গেলেও এবার শাওন এলো অন্যরকম অনুভূতি নিয়ে। ‘মন খুব বৃষ্টিপ্রবণ/জলের রেখা ধরে হেঁটে যাই নির্জন/পা ছুঁয়ে থাকে উষ্ণ ভুলের কৃষ্ণ শিহরণ/এই নীল বর্ষায় মনে তার বৃষ্টি বাহার/চোখে তার বৃষ্টি বিহার/বৃষ্টি নামছে/বৃষ্টি খেলছে/বৃষ্টি জাগছে/জগৎ মাতছে বৃষ্টি লীলায়/ভেসে যাচ্ছি ডুবে যাচ্ছি অনাকাঙক্ষার মোহ ও মায়ায়/অনেক মেলা ঘুরে এসে দেখছি এখন বৃষ্টিবেলা/সকল খেলা খেলে এসে খেলছি এখন বৃষ্টি খেলা।
[‘বৃষ্টিবেলা’ : শাহনাজ মুন্নী]
প্রায় প্রতিটি মঙ্গলবারকে বেশ উপভোগ করার চেষ্টা থাকে। আর বর্ষা হলে তো কথাই নেই। বর্ষা, বর্ষণ ও পানি, এই তিনটা মিলে বাংলার জনপদের প্রকৃতি ও সমাজ গঠন করে থাকে। ভারতবর্ষের মানচিত্রে দেখা যায়, উত্তর ভারতের হিমালয় পর্বতমালা, পশ্চিমবঙ্গের পশ্চিমে এবং মধ্যপ্রদেশ থেকে দক্ষিণে শুরু হওয়া মালভূমি যা দাক্ষিণাত্য হিসেবে পরিচিত, এতদাঞ্চল বাংলাদেশের সমতল ভূমি থেকে অনেক উঁচুতে। উত্তর ভারতে, নেপাল কিংবা তিব্বতের উৎসমুখে জন্ম নেয়া নদীসমূহ হাজার হাজার মাইল অতিক্রম করে বাংলাদেশের মধ্য দিয়ে বঙ্গোপসাগরে পতিত হয়েছে। নিম্নাঞ্চলে বাংলাদেশের অবস্থান হওয়ায় এটাই স্বাভাবিক। কর্ণফুলী আর বঙ্গোপসাগর যেখানে মিলিত হয়েছে, সেখানে বৃষ্টিতে ভিজে বর্ষা উপভোগ সে এক অন্যরকম দোলা দিয়ে যায় মনে, সাথে কুসুম-যোজিত করেছে ভিন্নমাত্রা। আজ হৃদয় নিংড়ানো প্রতিশ্রুতি চাই। হৃদয়ের স্পর্শ অনুভব যা আছে সব দাও। ভালোবাসা তো নগ্ন কিছু নয়। ভালোবাসা দেবে আর নেবে। প্রাণের সাথে প্রাণ মিলিয়ে আর মিলাবে তবেই আদিম উন্মাদনা পূর্ণতা পাবে। গভীর গহীনে সমুদ্রে অরণ্যে পৃথিবীতে প্রতিষ্ঠিত হবে আমাদের অধিকার।
আমরা সৌভাগ্যবান, এদেশে বর্ষা আসে, আসে গ্রীষ্ম, শরৎ, হেমন্ত, শীত ও বসন্ত। ছয় ঋতুচক্রের বাংলাদেশ। পৃথিবীর সবদেশে বর্ষা আসে না। সেখানে বর্ষা বলে কোনো ঋতু নেই। আকাশ অঝোরে কাঁদলে বর্ষা নামে না। ব্রিটেনে প্রায় সারা বছরই বৃষ্টিপাত হয়। বর্ষণের আরেক ভিন্নরূপ তুষারপাত। সারা বছর তুষারপাত হলেও বর্ষা বলা যায় না। বর্ষায় মাত্রাগত ব্যাপার আছে সাহিত্যে। বর্ষণেরও নানান কিসিমের প্রকারভেদ আছে। ভারী বর্ষণ, ইনশেগুড়ি, ছাগতাড়ুয়া ইত্যাদি বর্ষণের মাত্রাগত প্রভেদ বোঝায়। মাত্রাগত প্রভেদের উপর ভর করে হৃদয়ের নাচন।
নদী আর সাগরের সঙ্গমস্থানে দেখা হলো, কিন্তু যেন জলের ভেতরে/ দেখা হলো; তুমি স্থির ভাসলে অকূলে;/আমি স্পর্শপ্রিয়, তাই আস্তে ধরে...ধরে..ধরে...ধরে/বুঝাতে চাইলাম প্রেম ওষ্ঠে...।’ ওম্ নিলাম তোমার বুকের ভিটা থেকে। উঠালো ঢেউ, ঢেউ সমুদ্রেই আছে, ঢেউয়ে কিন্তু সমুদ্র পাবে না। একমাত্র সমুদ্রই পৃথিবীর আদি ইতিহাস জানে। আদি ইতিহাসবেত্তার কাছে আধিপত্য সে এক অপর মিল।
বর্ষা অনেকের জীবনে জাগতিক কষ্ট নিয়ে এলেও এতে আছে প্রাণ। এর স্বাদ, বৈচিত্র্যই আলাদা। মেঘের পরে মেঘ এসে আকাশ আঁধার হয়ে এসেছে। সন্ধ্যাও বিদায় নিতে শুরু করেছে। চারদিকে ঘোর অন্ধকার, মেঘেরা দ্রুত গলে ভারী হয়ে ঝরছে, আর আমাদের সমুদ্রদর্শন সাঙ্গ হতে চায় না, সমুদ্রের তর্জন-গর্জন সত্ত্বেও। আজ ভিজতেই থাকবো, ঢেউ খেলে যাক যতো, গভীর থেকে গভীরতর হয়ে উঠেছে এই সমুদ্রদর্শন। আজ তোমার মাথায় পড়ে স্বচ্ছ শুভ্র রাতের কণিকা। তোমাকে ঘিরে সকল উৎসব, একটু উষ্ণতার জন্য দিবারাত্রি সমুদ্রদর্শন শেষ হয় না, হয় না শেষ বৃষ্টিতে ভেজা।
মো. রেজাউল করিম
Monday, 19 July 2010
অবিশ্বাস্য সাহিত্যিক জালিয়াতি
নকল শেক্সপিয়ার
১৭৯৫ সালের বসন্ত। পুরাতত্ত্ব সংগ্রাহক স্যামুয়েল আয়ারল্যান্ডের শিল্পকর্ম ভরা বাড়িতে ভিড় করেছেন পণ্ডিত, গণ্যমান্য ব্যক্তি, এক হবু বিশপ ও ইংল্যান্ডের রাজকবি। আয়ারল্যান্ডের ১৯ বছর বয়সী ছেলে উইলিয়াম হেনরির কিছু কাগজপত্র দেখতে এসেছেন তাঁরা। পুরোনো ট্রাঙ্ক হাতড়াতে গিয়ে ফিকে হয়ে আসা হলদে কাগজে লেখা কিছু কাগজ পাওয়ার কথা বলেছে হেনরি। সম্ভবত শেক্সপিয়ারের চিঠি, কবিতা ও রচনা সেগুলো। আইনি দলিলের চারটি স্বাক্ষর বাদে এ পর্যন্ত কবির নিজের হাতের লেখা টিকে থাকার কথা জানা ছিল না। সবচেয়ে বিস্ময়কর ব্যাপার ছিল, শেক্সপিয়ার-রচিত এক অজ্ঞাত নাটকের অংশবিশেষ, যা হবে নাট্যকারের বিশাল রচনাসম্ভারে রোমাঞ্চকর নতুন সংযোজন।
স্যামুয়েল জনসনের সম্মানিত জীবনীকার জেমস বসওয়েল ছিলেন অতিথিদের একজন। দীর্ঘ সময় আলোর সামনে কাগজগুলো ধরে আলংকারিক লেখনী জরিপ করছিলেন। বেশ কয়েকবার এই মহান মানুষটি জরিপে বিরতি দিয়ে ব্র্যান্ডি আর পানি খেয়েছেন। অবশেষে দলিলগুলো টেবিলে রেখে সামনে ঝুঁকে সবচেয়ে ওপরের পৃষ্ঠায় চুমু খেয়ে দম ছেড়ে বললেন, ‘এবার সম্ভবত এত দিন বেঁচে থেকে তৃপ্ত হলাম।’ তিন মাস পরে ৫৪ বছর বয়সে দৃশ্যত তৃপ্ত মনেই মারা যান তিনি ।
শেক্সপিয়ারভক্ত বাবার কাছ থেকে সম্মান পেতে সাজানো নাটক হিসেবে সূচিত ব্যাপারটি খুব দ্রুত ইতিহাসের অবিশ্বাস্যতম ঐতিহাসিক সাহিত্যিক জালিয়াতির ঘটনায় পরিণত হয়েছিল। ১৭৯৫ সালে প্রবল প্রতাপে শেক্সপিয়ারের রচনার স্রোত বইয়ে দিয়েছিলেন তরুণ আইনবিদ। চিঠি, কবিতা, ছবিসহ সবচেয়ে দুঃসাহসী কাজ ছিল শেক্সপিয়ারের সর্বাধিক পরিচিত নাটকের চেয়েও দীর্ঘ একটি নাটক হাজির করা। দ্রুততার সঙ্গে সারা হয়েছিল জালিয়াতির কাজ। যাচাইয়ে প্রথমে বিশ্বাসযোগ্য মনে না হলেও বেশির ভাগ যাচাইকারীই শেষ পর্যন্ত ভ্রান্তি বোঝেননি। প্রাচীন দলিলপত্র বিষয়ে দক্ষতার জন্য খ্যাত কলেজ অব হেরাল্ডের সেক্রেটারি ফ্রান্সিস ওয়েব সদ্য আবিষ্কৃত নাটকটি নিঃসন্দেহে উইলিয়াম শেকিপয়ারেরই রচনা বলে ঘোষণা দিয়েছিলেন। ‘হয় তাঁর কলম থেকে এসেছে, নয়তো স্বর্গ থেকে,’ বলেছেন তিনি।
উইলিয়াম হেনরির শেক্সপিয়ার হওয়ার কোনো সম্ভাবনাই ছিল না। অভিনেতা, কবি কিংবা অন্ততপক্ষে নাট্যকার হওয়ার স্বপ্ন দেখলেও ছাত্র হিসেবে একেবারেই যাচ্ছেতাই ছিলেন তিনি। কোনো শিক্ষাই কাজে লাগায়নি। বাজে আচরণের দোষে বেশ কয়েকবার সাজা পেয়েছে। এমনকি বাবা-মাও ছেলেকে বোকাই জানতেন। এমনকি সামাজিকভাবে উচ্চাভিলাষী বাবা তাঁকে নিজের ছেলে বলে স্বীকার করতে চাননি। ছেলেকে লন্ডনের থিয়েটার এলাকার স্ট্র্যান্ডের নরফোক স্ট্রিটে এক আইনজীবী বন্ধুর প্রতিষ্ঠানে অল্প পরিশ্রমের কাজ জুটিয়ে দিয়েছিলেন বাবা। আইনবিদের চেম্বারে শত বছরের পুরোনো দলিলের মধ্যে ঘেরাও হয়ে মোটামুটি চোখের আড়ালেই দিন কাটাচ্ছিল উইলিয়াম হেনরি।
বাবার প্রাচীন সামগ্রী সংগ্রহের নেশা না থাকলে হয়তো এমন অজ্ঞাতবাসেই কেটে যেত উইলিয়াম হেনরির জীবন। স্যামুয়েলের সংগ্রহে ছিল হোগার্থ ও ভ্যান ডাইকের চিত্রকর্ম, বিরল বইপত্র, একটা টুকরো মমির আচ্ছাদন, মালবারি কাঠ খুদে বানানো রুপার আস্তরণ দেওয়া একটা গামলা, তাতে নাকি শেক্সপিয়ার গাছ লাগিয়েছিলেন।
‘প্রায়ই বাবা বলতেন, কবির নিজের হাতে লেখা কোনো কিছু পেলে অমূল্য রত্নে পরিণত হবে সেটা।’ ১৮৩২ সালে স্মৃতিচারণা করেছে উইলিয়াম হেনরি।
ঠিক কখন জালিয়াতির ভাবনা উইলিয়াম হেনরির মাথায় জায়গা করে নিয়েছিল, সেটা পরিষ্কার নয়। কবি হওয়ার স্বপ্ন দেখলেও তেমন একটা কবিতা লেখা হয়ে ওঠেনি তাঁর। ১৭৯৪ সালের বড়দিনের অল্প আগে নতুন কিছু করার চেষ্টার সিদ্ধান্ত নেন তিনি। বাবার একটা বইয়ে একটা প্রাচীন দলিলে শেক্সপিয়ারের প্যাঁচানো হাতের লেখার অনুলিপি চোখে পড়ে। চুপিসারে বইটা ল চেম্বারে এনে চোখ বুজে হুবহু নকল করতে না পারা পর্যন্ত হাত মকশো করে চলেন তিনি। পুরোনো খাজনার বই থেকে কাটা পার্চমেন্টে বই বাঁধাইকারীর রাসায়নিক পদার্থে কালি পাতলা করে নতুন একটা দলিল লিখে ফেলেন তিনি। আগুনের কাছে ধরে লেখা গাঢ় করে তারপর অফিসের পুরোনো দলিল থেকে কেটে নেওয়া মোমের সিল লাগান তাতে।
কয়েক দিন পর এক সন্ধ্যায় আয়ারল্যান্ডের ড্রয়িংরুমে হাজির হয়ে কোটের পকেট থেকে নতুন দলিল বের করে বাবাকে বলেন, ‘এই যে বাবা, এটা দেখো!’
সিলের দিকে বিশেষ নজর দিয়ে বেশ কয়েক মিনিট নীরবে দলিলটা পরখ করলেন তিনি। তারপর সেটা ভাঁজ করে রেখে কণ্ঠ শান্ত রাখার চেষ্টা করে বললেন, ‘দলিলটা আসলই মনে হচ্ছে।’ কিন্তু কণ্ঠের সন্দেহ পুরো ঢাকতে পারলেন না ছেলের কাছে।
পরদিন সকালে বন্ধু, পুরোনো সিলমোহর বিশেষজ্ঞ স্যার ফ্রেডেরিক এডেনকে দলিলটা দেখালে তিনি সেটাকে কেবল খাঁটি বলেই নিশ্চিত করলেন না, বরং শেক্সপিয়ারের স্বাক্ষরের ঠিক নিচে সিলমোহরের ইমেজটাও শনাক্ত করলেন। এই আবিষ্কারে উত্তেজিত হয়ে পড়েন তাঁরা। নাট্যকারের স্বাক্ষর সত্যি না হয় কীভাবে, যেখানে তাঁর প্রতীকসহ সিল রয়েছে?
এ থেকে গুরুত্বপূর্ণ শিক্ষা পেয়েছিলেন উইলিয়াম হেনরি। লোকে তাদের ইচ্ছাটাকেই দেখতে চায়। জালিয়াতকে কেবল একটা বিশ্বাসযোগ্য গল্প ফাঁদতে হবে, শিকার বাকি অংশ পূরণ করবে। উইলিয়াম হেনরি গল্প ফেঁদেছিলেন: জনৈক ‘এইচ’ নামে এক ভদ্রলোকের পুরোনো ট্রাঙ্ক হাতড়াতে গিয়ে শেক্সপিয়ারের পুরোনো লেখার সন্ধান পেয়েছেন তিনি। বেশ পয়সাওয়ালা এই ‘এইচ’ ভদ্রলোক পরিচয় গোপন রাখার শর্তে যা ইচ্ছে নিতে বলেছেন তাঁকে।
বাবাকে খুশি করতে ট্রাঙ্ক থেকে নতুন রত্ন খুঁজে আনার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন উইলিয়াম হেনরি। প্রাচীন কাগজের প্রয়োজন মেটাতে পুরোনো বইয়ের ফ্লাইলিফ কেটে বেশ কিছু ভুয়া কাগজপত্র বানিয়ে ফেলেন তিনি। বিভিন্ন অভিনেতার সঙ্গে স্বাক্ষরিত চুক্তি, শেক্সপিয়ারের লেখা ও তাঁকে লেখা চিঠিপত্র, এমনকি তাঁর প্রেমিক অ্যানা হ্যাথওয়েকে নিয়ে লেখা একটা কবিতা পর্যন্ত। একগোছা চুল দিয়ে সেটাকে সম্পূর্ণতা দেওয়া হয়েছিল। একটা সুবিদিত নাটকের পাণ্ডুলিপি বানাতে ছাপানো সংস্করণকেই স্রেফ হাতের লেখায় পরিণত করেছিলেন তরুণ জালিয়াত। ব্যস, তাতেই মিলে যায় শেক্সপিয়ারের অনেক আগে হারিয়ে যাওয়া মূল পাণ্ডুলিপি। এলিজাবেথীয় বানান নকল করতে সর্বত্রই ‘ই’ হরফ জুড়ে দিয়েছেন তিনি। নকল করার সময় নাটকের ভাষা পাল্টে দিয়েছেন। কোথাও লাইন বাদ দিয়েছেন। আবার কোথাও নিজের মতো এক-আধটা অনুচ্ছেদ জুড়ে দিয়েছেন। অল্পদিনের ভেতরই কিং লিয়ার-এর প্রথম খসড়া বাবার সামনে হাজির করেন তিনি; এর পর পরই হ্যামলেট-এর অংশবিশেষ।
অতীতের সব জালিয়াতির মতো উইলিয়াম হেনরি লক্ষ করেছিলেন, তাঁর দাবি যত বিরাট হচ্ছে, মানুষ ততই আগ্রহের সঙ্গে বিশ্বাস করছে। তাঁর সবচেয়ে দুঃসাহসী কাজ ছিল, শেক্সপিয়ারের হাতে লেখা অজ্ঞাত নাটক। আগের মতোই ট্রাঙ্কে ওটা পাওয়ার দাবি করেছিলেন তিনি।
বিষয় হিসেবে পঞ্চম শতাব্দীর ভোর্টিগার্ন নামে এক যুদ্ধবাজ সরদারকে বেছে নিয়েছিলেন হেনরি। কিংবদন্তি অনুযায়ী, রোয়েনা নামে এক নারীর প্রেমে পড়েন তিনি। শেক্সপিয়ারের মতো উইলিয়াম হেনরিও বাবার স্টাডি থেকে সরানো হোলিনশেডে’স ক্রনিকল অনুসরণ করেছেন এ নাটক লেখায়।
নতুন নাটকটা ছিল এলোমেলো, অনেক সময় বিভ্রান্তিকর ও গতিসামঞ্জস্যহীন। কবিতা প্রায়শই মামুলি, তবে ভোর্টিগার্ন অ্যান্ড রোয়েনায় কিছু অনুচ্ছেদ ছিল অনস্বীকার্যভাবে আকর্ষণীয়। কিন্তু শেক্সপিয়ারের নতুন আবিষ্কৃত লেখা প্রত্যাশীদের কাছে ওটা মাস্টারপিসের মতোই লেগেছে।
অতিথি ও সমালোচকেরা শেক্সপিয়ার তাঁর সেরা সৃষ্টিটাকে লোকচক্ষুর আড়ালে রেখে যাওয়ার কারণ জানতে চাইলে উইলিয়াম হেনরি একটা জাল চিঠি হাজির করতেন। এই চিঠিতে ইঙ্গিত ছিল যে, নাট্যকার এটিকে তাঁর সেরা সৃষ্টি বিচার করে প্রকাশকের প্রস্তাবিত অর্থের চেয়ে বেশি প্রত্যাশা করেছিলেন।
প্রায় ২০০ বছরের ভেতর প্রথমবারের মতো শেক্সপিয়ারের কোনো নাটকের প্রদর্শনী রাতের পর রাত থিয়েটার ভরে রাখবে, শেক্সপিয়ারের তেমন ভক্ত না হলেও রিচার্ড ব্রিন্সলি শেরিডান এটা জানতেন। সবে প্রায় সাড়ে তিন হাজার দর্শকের বসার উপযোগী করতে ড্রুরি লেন থিয়েটারের সম্প্রসারণের কাজ শেষ করেছিলেন তিনি। এই সম্প্রসারণ ও জুয়ায় টাকা খুইয়ে তিনি ঋণের ভারে ভারাক্রান্ত। একমাত্র শেক্সপিয়ার-চমকই তাঁকে এখন উদ্ধার করতে পারে।
১৭৯৫ সালের বসন্তে ভোর্টিগার্ন যাচাই করতে স্যামুয়েল আয়ারল্যান্ডের বাড়িতে এলেন শেরিডান। স্টাডিতে বসে কয়েক পাতা পড়ার পর অকবিসুলভ, আসলে আনাড়ি মনে হওয়া একটা অনুচ্ছেদে এসে থমকে গেলেন।
‘খুব অদ্ভুত,’ আরও কয়েক পাতা পড়ার পর ফের থেমে মেজবানের দিকে চোখ তুলে তাকালেন তিনি, ‘কিছু কিছু সাহসী ধারণা আছে বটে, কিন্তু খুবই চাঁছাছোলা, ঠিকমতো আত্মস্থ হয়নি। এটা লেখার সময় শেক্সপিয়ার নিশ্চয়ই অল্পবয়সী ছিলেন।’
কিন্তু এর পর পরই আবার যোগ করলেন, ‘কেউই সংগৃহীত দলিলগুলো শেক্সপিয়ারের নয় বলে ভাববে না, কারণ কাগজ দেখে কে বলবে যে এগুলো প্রাচীন নয়?’ শেরিডানের কাছে ভোর্টিগার্ন তেমন ভালো ঠেকেনি, তবু ড্রুরি লেনের জন্য চাইলেন ওটা।
শেক্সপিয়ারের স্বহস্তে লেখা পাণ্ডুলিপির একটা সংকলন প্রকাশের পরিকল্পনার কথা প্রকাশ করলেন স্যামুয়েল। দাম রাখা হবে চার গিনি, যা একজন শ্রমিকের কয়েক মাসের বেতনের সমান। এইচ ভদ্রলোকের অনুমতি নেই, দাবি করে ভীষণভাবে বাধা দিলেন উইলিয়াম হেনরি। ছাপার হরফে সাজানো হলে আরও অচেনা-অজানা লোকজনের পরীক্ষার মুখে পড়বে। ‘ওগুলোর প্রকাশনা প্রত্যক্ষ করার চেয়ে আমি বরং সব রকম তিরস্কার সহ্য করে আসল কথা স্বীকার করার কথা ভেবেছি,’ পরে লেখেন হেনরি ।
১৭৯৫ সালের ক্রিসমাস ইভে শেক্সপিয়ারের রচনা প্রকাশ করলেন স্যামুয়েল। লন্ডনের বেশ কয়েকটি পত্রিকা মহানন্দে হামলে পড়ল। ইংল্যান্ডে শেক্সপিয়ারের সবচেয়ে বড় বিশেষজ্ঞ হিসেবে পরিচিত এডমন্ড ম্যালোনে শেক্সপিয়ারের রচনাগুলো ভুল ও স্ববিরোধিতায় ভরা ‘আনাড়ি ও বেপরোয়া জালিয়াতি’ উল্লেখ করে বেশ বড়সড় নিবন্ধ লেখেন। রানির উদ্দেশে কথিত কবির ধন্যবাদ জানিয়ে লেখা একটি চিঠি সম্পর্কে ম্যালোনে লেখেন, ‘বানানগুলো এলিজাবেথ বা তাঁর আমলের তো নয়ই, বরং কোনো কালের বানানরীতিতেই পড়ে না।’ এত বিচিত্র ধরনের বিষয়বস্তু একটা ট্রাঙ্কে জমা হওয়ার ব্যাপারেও সন্দেহ প্রকাশ করেন তিনি।
ম্যালোনে ভোর্টিগার্ন-এর প্রথম প্রদর্শনীর ঠিক দুই দিন আগে, ৩১ মার্চ ১৭৯৬ তারিখে লেখাটি প্রকাশ করেন।
নাটক শুরু হওয়ার আগেই ম্যালোনের নিবন্ধের সব কপি বিক্রি হয়ে যায়। তুমুল শোরগোল পড়ে যায়। তবে তাঁর যুক্তিগুলো অনেক পণ্ডিতসুলভ ও অনির্দিষ্ট হওয়ায় সবাইকে প্রভাবিত করতে ব্যর্থ হয়।
প্রথম দুটি অঙ্ক ভালোয় ভালোয়ই সেরে গিয়েছিল। শেক্সপিয়ারের চেনা নাটকের রেশ ফসকানো সম্ভব ছিল না। এটা ছিল ম্যাকবেথ-এর সঙ্গে হ্যামলেট-এর মিশেল, সঙ্গে জুলিয়াস সিজার ও রিচার্ড-থার্ডের ছোঁয়া। আসলে বিভিন্ন চরিত্রের এমনি চেনাচেনা ভাবই হয়তো অনেক দর্শককে নিশ্চিত করে এটা শেক্সপিয়ারের রচনা।
ভোর্টিগার্ন নিশ্চিতভাবেই মহান নাটক ছিল না। তৃতীয় অঙ্কের অভিনয়ের সময়ই দেখা দিয়েছিল বিপর্যয়ের প্রথম লক্ষণ। একজন কুশীলব, কিম্বলের মতো একজন নামী অভিনেতা, লোক হাসাতে নিজের সংলাপ নিয়ে অতি-অভিনয় করে ফেলেন। শেষ দৃশ্যে দর্শক আরও অস্থির হয়ে ওঠেন। কিম্বল তখন পরিহাসময় গাম্ভীর্যের সঙ্গে রাজা ভোর্টিগার্নের মৃত্যুকে সম্বোধন করার সংলাপ উচ্চারণ করছিলেন। দর্শকদের হাসাতেই সংলাপের পুনরাবৃত্তি করলেন তিনি। দর্শকেরা হাসিতে ফেটে পড়লেন। এখানেই হয়তো শেষ হয়ে যেত অভিনয়। কিন্তু কিম্বল সামনে গিয়ে দর্শকদের কাছে অভিনয় চলতে দেওয়ার অনুমতি চাইলেন।
শেষ দৃশ্য উৎসাহী প্রশংসা ও প্রলম্বিত টিটকারি ডেকে আনল। একপর্যায়ে বিশ্বাসী-অবিশ্বাসীদের ভেতর শুরু হয়ে গেল মারপিট। ওই গন্ডগোলে প্রদর্শনীতে উপস্থিত উইলিয়াম হেনরি নিজেকে স্বস্তি বোধ করতে দেখে অবাক হয়েছিলেন। দীর্ঘমেয়াদি এই জালিয়াতি তিক্ত-ক্লান্তিতে ভরে তুলেছিল তাঁকে। শেক্সপিয়ারের লেখার সত্যতা নিয়ে বিতর্ক চলেছিল আরও কয়েক মাস।
শেষে সবকিছু স্বীকার করে বিতর্কের ইতি টানেন হেনরি। বাবার মুখোমুখি হতে না পেরে বোন, মা ও বাবার এক পুরাতত্ত্ব সংগ্রাহক বন্ধুকে ব্যাপারটা প্রথম জানান তিনি। তাঁরা স্যামুয়েলকে জানান; কিন্তু তাঁর সরল মনের ছেলে এমন কাণ্ড করতে পারে, এ কথা বিশ্বাস করতে অস্বীকার করেন তিনি।
ক্ষুব্ধ উইলিয়াম হেনরি বাড়ি ছেড়ে চলে যান। এক চিঠিতে বাবাকে লেখেন, ‘লেখাগুলোর লেখককে প্রতিভার জন্য তারিফ করার থাকলে, সেটা আমার প্রাপ্য, কারণ সেই ব্যক্তিটি আমি, তোমার ছেলে।’
শেক্সপিয়ারের রচনা খাঁটি ছিল, বিশ্বাস নিয়েই চার বছর পর স্যামুয়েল কবরে যান। প্রতারণার কাজটি করার সময় নাবালক ছিলেন উইলিয়াম হেনরি। এ কাজ থেকে তেমন কোনো ফায়দা নিতে পারেননি বলে আদালতেও তলব করা হয়নি তাঁকে।
উইলিয়াম হেনরি কখনোই তাঁর কাজের জন্যে অনুতাপ করেননি, বরং গর্ব করেছেন। সব সামাজিক উন্নাসিকতা, অর্থকষ্ট আর ১৮৩৫ সালে ৫৯ বছর বয়সে মারা যাওয়ার আগে সাহিত্যিক হিসেবে প্রত্যাখ্যাত হলেও টানা দেড় বছর সাফল্যের সঙ্গে উইলিয়াম শেক্সপিয়ার হয়ে লোককে বোকা বানাতে পারায় তিনি গর্বিত ছিলেন।
সূত্র: স্মিথসোনিয়ান
শওকত হোসেন
তারিখ: ১৬-০৭-২০১০
জ্যোতিষী পল
ডিয়েগো ফোরলান, টমাস মুলার, ডেভিড ভিয়া...বিশ্বকাপের তারকার তালিকায় পলকে রাখবেন না! ম্যাচের ফল আগাম বলে দিয়ে গুনিন অক্টোপাসও বিশ্বকাপের জ্বলজ্বলে তারকা। ফাইনালসহ আট-আটটি ম্যাচেরই সঠিক ভবিষ্যদ্বাণী করায় প্রাণীটির নাম মানুষের মুখে মুখে। বিশ্বকাপের আগে ২০০৮ ইউরোতেও মাত্র ছয় মাস বয়সে কেরামতি দেখিয়েছিল অক্টোপাসটি। এবারের বিশ্বকাপে কেবল জার্মানির ম্যাচগুলো দিয়ে শুরু হয়েছিল তার ভবিষ্যৎ গণনা। তবে প্রথম সাতবার শুধু জার্মানির ম্যাচেরই ভবিষ্যৎ দেখেছিল সে। তাতে জার্মানির দুটো পরাজয়ের ভবিষ্যদ্বাণীও ছিল। তাই জার্মানদের কাছ থেকে জুটেছিল মৃত্যুর হুমকি আর স্প্যানিশদের কাছ থেকে ভালোবাসা। তবে জার্মানিবিহীন ফাইনালের ফলও আগাম বলে দিয়েই বাজিমাত। ফাইনালের নায়ক ইনিয়েস্তা তো তাকেই নায়ক মানছেন! এরই মধ্যে পশু অধিকার সংস্থা পেটাও সোচ্চার হয়েছিল পলের মুক্তি চাই বলে। মুক্তি অবশ্য একরকম মিলেই গেছে। জ্যোতিষীর কাজ থেকে অবসর নিয়ে ফেলেছে পল।
প্রথম-আলো
তারিখ: ১৮-০৭-২০১০
বিষম বাঁশি
১০ বছর পরও যদি কাউকে ২০১০ বিশ্বকাপের কথা জিজ্ঞেস করা হয়, সবার আগে কী বাজবে কানে? অবশ্যই মৌমাছির মতো আওয়াজ তোলা হাজার হাজার ভুভুজেলার মিলিত গুঞ্জন। ভুভুজেলাই তাই হয়ে উঠেছে ২০১০ বিশ্বকাপের প্রতীক! বিশ্বকাপের আগে দক্ষিণ আফ্রিকায় কনফেডারেশনস কাপ থেকে এর বিরুদ্ধাচরণ শুরু—বন্ধ করো এই বিষম বাঁশি! কান পাতা যে দায়! কিন্তু কে শোনে কার কথা। শুধু আফ্রিকাবাসীই নয়, বিশ্বের লাখ লাখ মানুষ ভুভুজেলা বাজিয়েছে। প্লাস্টিকের রংচঙে এই বাঁশি টিভি দর্শক-খেলোয়াড়দের এত জ্বালিয়েছে, কিন্তু তার পরও বিশ্বকাপ শেষে অনেকেই হয়তো মনের অজান্তে কান পেতে ছিল বেসুরো সুর শুনতে। তবে ভুভুজেলাকে থামিয়ে দেওয়াও হয়েছিল অনেক জায়গায়। নিষিদ্ধ করা হয়েছিল অনেক হোটেলে কিংবা ব্যক্তিগত কোনো চৌহদ্দিতে। ফিল্টারের ব্যবস্থা করা হয়েছিল টিভি চ্যানেলগুলোর জন্য। ভুভুজেলা বেচে যেমন লাখ লাখ টাকা আয় করেছেন অনেক ব্যবসায়ী, তেমনি অনেকে আবার ভুভুজেলার প্যাঁ-পোঁ থেকে রেহাই দিতে কানের ফিল্টার বেচেও আখের গুছিয়েছে।
প্রথম-আলো
তারিখ: ১৮-০৭-২০১০
Saturday, 10 July 2010
Friday, 9 July 2010
একটা কবিতা লিখলাম
শিরোনামহীন
========
ফায়সাল শরীফ
+++++++++++
পিশাচের ডানায় ভর করেছে স্বপ্ন
রক্তের বন্যতায় হয়ে যাই মাতাল
গজবের শিঙ্গায় ফুক দিয়ে চেপে ধরি শয়তানের ঠুটি।
অট্টহাসি করে উঠি হায়েনার মতো
নাগিনীর নীল বিষে চিন্তা হয় নষ্ট।
শয়তান দেহলোভীর প্রলয় নাচনে কেপে উঠে বুকের পিঞ্জিরা
শকুনীরা খাবলে নিচ্ছে মাংস
তবুও একপাশে বসে পদ্য রচনা করি নির্বীর্য পুরুষের মতো।
========
ফায়সাল শরীফ
+++++++++++
পিশাচের ডানায় ভর করেছে স্বপ্ন
রক্তের বন্যতায় হয়ে যাই মাতাল
গজবের শিঙ্গায় ফুক দিয়ে চেপে ধরি শয়তানের ঠুটি।
অট্টহাসি করে উঠি হায়েনার মতো
নাগিনীর নীল বিষে চিন্তা হয় নষ্ট।
শয়তান দেহলোভীর প্রলয় নাচনে কেপে উঠে বুকের পিঞ্জিরা
শকুনীরা খাবলে নিচ্ছে মাংস
তবুও একপাশে বসে পদ্য রচনা করি নির্বীর্য পুরুষের মতো।
Thursday, 8 July 2010
God's Garden; Robert Frost
God made a beatous garden
With lovely flowers strown,
But one straight, narrow pathway
That was not overgrown.
And to this beauteous garden
He brought mankind to live,
And said: 'To you, my children,
These lovely flowers I give.
Prune ye my vines and fig trees,
With care my flowerets tend,
But keep the pathway open
Your home is at the end.'
Then came another master,
Who did not love mankind,
And planted on the pathway
Gold flowers for them to find.
And mankind saw the bright flowers,
That, glitt'ring in the sun,
Quite hid the thorns of av'rice
That poison blood and bone;
And far off many wandered,
And when life's night came on,
They still were seeking gold flowers,
Lost, helpless and alone.
O, cease to heed the glamour
That blinds your foolish eyes,
Look upward to the glitter
Of stars in God's clear skies.
Their ways are pure and harmless
And will not lead astray,
Bid aid your erring footsteps
To keep the narrow way.
And when the sun shines brightly
Tend flowers that God has given
And keep the pathway open
That leads you on to heaven.
Your Ad Here. Click here to view your add.
Wednesday, 7 July 2010
দারিদ্র্য থেকে মুক্তি পেতে |
০৭/০৭/২০১০ তারিখে প্রথম-আলোতে একটা খবর পড়লাম। খবরটি পরার পর মনে হচ্ছিল দুনিয়াতে এমন কেউ কি নেই এদের জন্য কিছু করতে পারে? কতজন কত বিলাসিতা করে। খবরটি ছিল এইরকম:
১৪ বছর বয়সী বিনিশের লক্ষ্য ছিল একজন সেবিকা বা চিকিৎসক হওয়া। এ জন্য সে রাত জেগে পড়াশোনা করত। বিদ্যুৎ না থাকলে বই পড়ত টর্চলাইট জ্বেলে। পরীক্ষায় ফলাফলও ছিল ভালো। কিন্তু রিকশাচালক বাবা আকবর সে স্বপ্ন পূরণ হতে দেননি। এক রাতে মমতা ভুলে নির্মম হয়ে যান তিনি। পরিবারের সব সদস্যকে মেরে ফেলার এক হত্যাযজ্ঞে নামেন। বাবার দেওয়া বিষ পান করে মারা যায় বিনিশ ও তার দুই বোন।
ঘটনাটি ঘটে পাকিস্তানের লাহোর শহরে। বিষ দিয়ে স্ত্রী-সন্তানদের মেরে আত্মহত্যা করার সিদ্ধান্ত নেন আকবর। কিন্তু তাঁর এই ভয়ঙ্কর লক্ষ্য থেকে রক্ষা পান স্ত্রী ও অন্য তিন সন্তান। আকবরের দেওয়া বিষ মুখে দিলেও পান করেননি স্ত্রী। অসুস্থ হয়ে তিনি হাসপাতালে চিকিৎসা নেন। দারিদ্র ও দেনার দায় থেকে চিরতরে মুক্তি পেতে এই নির্মম সিদ্ধান্ত নেন আকবর। বিষপানের আগে তিনি স্ত্রীকে বলেন, সন্তানদের রেখে তাঁরা মারা গেলে তাদের কষ্ট হবে। এই কষ্ট থেকে মুক্তি দিতেই ওদের হত্যা করতে চান তিনি।
আকবরের স্ত্রী মুজাম্মিল বলেন, এই ঘটনার আগে আকবর বিনয়ী ছিলেন। অভাবের কারণে প্রচণ্ড মানসিক কষ্ট করলেও তিনি কখনো কারও ক্ষতি করেননি। তিনি জানান, পারিবারিক ঋণের বোঝা বইতে না পেরে তিনি এমন নিষ্ঠুর হয়ে যান। যেদিন ওই ঘটনা ঘটে, সেদিনও ঋণের বিষয়টি নিয়ে বাবা-মায়ের সঙ্গে আকবরের প্রচণ্ড ঝগড়া হয়। বাড়ি ফিরে তিনি সন্তানদের বিষ পান করান এবং নিজেও করেন।
একসঙ্গে চারটি প্রাণ ঝরে যাওয়ার মূলে রয়েছে ৬০ হাজার রুপির দেনা। পাকিস্তানে দারিদ্র্যের এই করুণ চিত্র বেশির ভাগ সময় আড়ালেই থেকে যায়। আকবর ও তাঁর সন্তানদের মৃত্যুর খবর সংবাদমাধ্যমে প্রচার হলেও আত্মহননের নেপথ্য কারণ আড়ালেই থেকে যায়।
মুজাম্মিলের দেখভালে থাকা চিকিৎসক অধ্যাপক জাভেদ আকরাম জানান, প্রতিদিন এ ধরনের প্রায় ১০ জন বিষ খাওয়া রোগী দেখতে হয় তাঁকে। আগে এ ধরনের রোগী ছিল চার-পাঁচজন। তিনি বলেন, ‘আত্মহননে মানুষ আগে ভবন থেকে লাফিয়ে পড়ত। এখন শুধু বিষ ব্যবহার করে। কারণ এটি খুব সস্তা।’ অধ্যাপক আকরাম বলেন, এ ধরনের মৃত্যুর পেছনে অর্থনৈতিক কারণ জড়িত। আত্মহত্যার চেষ্টাকারীদের বেশির ভাগই দরিদ্র।
পাকিস্তানের মানবাধিকার কর্মী ও আইনজীবী হিনা জিলানি বলেন, পাকিস্তানের সরকার গরিবদের রক্ষায় খুব কম অর্থ ব্যয় করে। সে তুলনায় তাদের সামরিক ব্যয় অনেক বেশি। নিরাপত্তা নিয়ে সরকারের অনেক মাথাব্যথা, সে তুলনায় আর্থ-সামাজিক নিরাপত্তাকে তারা অবজ্ঞা করছে। এটা খুবই লজ্জাজনক যে আমরা পরমাণু অস্ত্রের অধিকারী, অথচ এ দেশের অনেক নাগরিক না খেয়ে থাকে। জাতিসংঘের তথ্যানুযায়ী, পাকিস্তানের প্রায় অর্ধেক জনগোষ্ঠী দিনে মাত্র এক বেলা খাবার পায়। বিবিসি।
Your Ad Here. Click here to view your add.
১৪ বছর বয়সী বিনিশের লক্ষ্য ছিল একজন সেবিকা বা চিকিৎসক হওয়া। এ জন্য সে রাত জেগে পড়াশোনা করত। বিদ্যুৎ না থাকলে বই পড়ত টর্চলাইট জ্বেলে। পরীক্ষায় ফলাফলও ছিল ভালো। কিন্তু রিকশাচালক বাবা আকবর সে স্বপ্ন পূরণ হতে দেননি। এক রাতে মমতা ভুলে নির্মম হয়ে যান তিনি। পরিবারের সব সদস্যকে মেরে ফেলার এক হত্যাযজ্ঞে নামেন। বাবার দেওয়া বিষ পান করে মারা যায় বিনিশ ও তার দুই বোন।
ঘটনাটি ঘটে পাকিস্তানের লাহোর শহরে। বিষ দিয়ে স্ত্রী-সন্তানদের মেরে আত্মহত্যা করার সিদ্ধান্ত নেন আকবর। কিন্তু তাঁর এই ভয়ঙ্কর লক্ষ্য থেকে রক্ষা পান স্ত্রী ও অন্য তিন সন্তান। আকবরের দেওয়া বিষ মুখে দিলেও পান করেননি স্ত্রী। অসুস্থ হয়ে তিনি হাসপাতালে চিকিৎসা নেন। দারিদ্র ও দেনার দায় থেকে চিরতরে মুক্তি পেতে এই নির্মম সিদ্ধান্ত নেন আকবর। বিষপানের আগে তিনি স্ত্রীকে বলেন, সন্তানদের রেখে তাঁরা মারা গেলে তাদের কষ্ট হবে। এই কষ্ট থেকে মুক্তি দিতেই ওদের হত্যা করতে চান তিনি।
আকবরের স্ত্রী মুজাম্মিল বলেন, এই ঘটনার আগে আকবর বিনয়ী ছিলেন। অভাবের কারণে প্রচণ্ড মানসিক কষ্ট করলেও তিনি কখনো কারও ক্ষতি করেননি। তিনি জানান, পারিবারিক ঋণের বোঝা বইতে না পেরে তিনি এমন নিষ্ঠুর হয়ে যান। যেদিন ওই ঘটনা ঘটে, সেদিনও ঋণের বিষয়টি নিয়ে বাবা-মায়ের সঙ্গে আকবরের প্রচণ্ড ঝগড়া হয়। বাড়ি ফিরে তিনি সন্তানদের বিষ পান করান এবং নিজেও করেন।
একসঙ্গে চারটি প্রাণ ঝরে যাওয়ার মূলে রয়েছে ৬০ হাজার রুপির দেনা। পাকিস্তানে দারিদ্র্যের এই করুণ চিত্র বেশির ভাগ সময় আড়ালেই থেকে যায়। আকবর ও তাঁর সন্তানদের মৃত্যুর খবর সংবাদমাধ্যমে প্রচার হলেও আত্মহননের নেপথ্য কারণ আড়ালেই থেকে যায়।
মুজাম্মিলের দেখভালে থাকা চিকিৎসক অধ্যাপক জাভেদ আকরাম জানান, প্রতিদিন এ ধরনের প্রায় ১০ জন বিষ খাওয়া রোগী দেখতে হয় তাঁকে। আগে এ ধরনের রোগী ছিল চার-পাঁচজন। তিনি বলেন, ‘আত্মহননে মানুষ আগে ভবন থেকে লাফিয়ে পড়ত। এখন শুধু বিষ ব্যবহার করে। কারণ এটি খুব সস্তা।’ অধ্যাপক আকরাম বলেন, এ ধরনের মৃত্যুর পেছনে অর্থনৈতিক কারণ জড়িত। আত্মহত্যার চেষ্টাকারীদের বেশির ভাগই দরিদ্র।
পাকিস্তানের মানবাধিকার কর্মী ও আইনজীবী হিনা জিলানি বলেন, পাকিস্তানের সরকার গরিবদের রক্ষায় খুব কম অর্থ ব্যয় করে। সে তুলনায় তাদের সামরিক ব্যয় অনেক বেশি। নিরাপত্তা নিয়ে সরকারের অনেক মাথাব্যথা, সে তুলনায় আর্থ-সামাজিক নিরাপত্তাকে তারা অবজ্ঞা করছে। এটা খুবই লজ্জাজনক যে আমরা পরমাণু অস্ত্রের অধিকারী, অথচ এ দেশের অনেক নাগরিক না খেয়ে থাকে। জাতিসংঘের তথ্যানুযায়ী, পাকিস্তানের প্রায় অর্ধেক জনগোষ্ঠী দিনে মাত্র এক বেলা খাবার পায়। বিবিসি।
Your Ad Here. Click here to view your add.
বিশ্বকাপ ইতিহাস
বিশ্বের সবচেয়ে জনপ্রিয় খেলা হচ্ছে ফুটবল। জনপ্রিয় খেলা, সুন্দরতম খেলা, আর বিশ্বকাপ হলো এই খেলার অলঙ্কার- ‘দ্য গ্রেটেস্ট শো অন আর্থ।’ বিশ্বকাপ না হলে এই ফুটবলের উন্মাদনাই টের পাওয়া যেত না। তবে খুব সহজে এই বিশ্বকাপ আজকের অবস্থানে আসেনি। এজন্য পার হতে হয়েছে অনেক চড়াই-উতরাই। প্রথমদিকে শুধু শখের বসেই এই খেলাটি খেলা হতো, যা আন্তর্জাতিক রূপ ধারণ করে ১৮৭২ সালে। গ্লাসকোতে স্কটল্যান্ড ও ইংল্যান্ডের মধ্যকার ম্যাচটিই ছিল প্রথম আন্তর্জাতিক ম্যাচ।
একটা সময় ফুটবলের গন্ডি ছিল শুধুই অলিম্পিক। তবে এর জনপ্রিয়তা দিন দিন এভাবে বাড়তে থাকলো যে ফুটবল সংস্থা অলিম্পিকের বাইরেও একটি টুর্নামেন্ট আয়োজনের কথা চিন্তা করে। সেই লক্ষ্যে ১৯০৬ সালে সুইজারল্যান্ডে আয়োজন করা হয় একটি প্রতিযোগিতার। তবে আন্তর্জাতিক ফুটবলের বয়স খুব কম বলে ফিফা সেই প্রতিযোগিতাকে ব্যর্থ বলে ঘোষণা দেয়।
তার দুবছর পরই ১৯০৮ সালে লন্ডনে, গ্রীষ্মকালীন অলিম্পিকে ফুটবল প্রতিযোগিতা আনুষ্ঠানিকভাবে যাত্রা শুরু করে। ফুটবল অ্যাসোসিয়েশন এফএ ছিল এর প্রধান পৃষ্ঠপোষক। তবে এই প্রতিযোগিতা আয়োজন করা হয় শুধুমাত্র অপেশাদার ফুটবলারদের জন্য। যেখানে গ্রেট ব্রিটেন স্বর্ণ পদক পায়। ঠিক এক বছর পরই ১৯০৯ সালে, স্যার থমাস লিপটন তুরিনে ‘স্যার থমাস লিপটন ট্রফি’ প্রতিযোগিতার আয়োজন করেন। সেখানে কোনো জাতীয় দল অংশগ্রহণ না করলেও বিভিন্ন দেশের কাবগুলো তাদের নিজ নিজ দেশের প্রতিনিধিত্ব করে। এজন্য এই প্রতিযোগিতাকে অনেকেই প্রথম বিশ্বকাপ বলে থাকেন। আর এতে অংশগ্রহণ করে ইতালি, জার্মানি, সুইজারল্যান্ডসহ বিভিন্ন দেশের খ্যাতনামা পেশাদার দল।
প্রথমে রাজি না হলেও ১৯১৪ সালে ফিফা, অলিম্পিক প্রতিযোগিতায় ফুটবলকে ‘অপেশাদার বিশ্ব ফুটবল চ্যাম্পিয়নশিপ’ হিসেবে স্বীকৃতি দিতে রাজি হয় এবং এই প্রতিযোগিতা পরিচালনার দায়িত্ব তারা নিজেরাই নেয়। এটাই দ্বার খুলে দেয় বিশ্বের প্রথম আন্তঃমহাদেশীয় ফুটবল প্রতিযোগিতা আয়োজনের। যেটা অনুষ্ঠিত হয় ১৯২০ সালের গ্রীষ্ম অলিম্পিকে। এতে অংশ নেয় মিসর ও ১৩টি ইউরোপিয়ান দল। এরপর ১৯২৪ সাল থেকে ফিফা পেশাদার ফুটবল খেলা শুরু করে।
১৯২৮ সালে ফিফা, অলিম্পিকের বাইরে আলাদাভাবে একটি বিশ্বকাপ আয়োজনের সিদ্ধান্ত নেয়। ইতালি, সুইডেন, নেদারল্যান্ডস, স্পেন ও উরুগুয়ে এই বিশ্বকাপ আয়োজনের ইচ্ছা প্রকাশ করে। তবে ফিফা ১৯২৯ সালে বার্সেলোনায়- একটি সেমিনারে উরুগুয়েকে বিশ্বকাপ আয়োজনের দায়িত্ব দেয়। কেননা সে বছর উরুগুয়ে স্বাধীনতার শতবর্ষে পা দিয়েছিল এবং তারা সফলভাবে ১৯২৮ গ্রীষ্ম অলিম্পিকের আয়োজন করে।
১৯৩০ সালে ‘ফিফা বিশ্বকাপ’ ছিল প্রথম অনুষ্ঠিত কোনো ফুটবল বিশ্বকাপ। এবং এটাই একমাত্র বিশ্বকাপ যেখানে কোনো বাছাইপর্ব ছিল না। ফিফা তার সহযোগী সব দেশকেই অংশগ্রহণের জন্য আহ্বান জানায়। ১৯৩০ সালের ২৮ ফেব্রুয়ারি আমন্ত্রণ গ্রহণের শেষ দিন ধার্য করা হয়। ব্রাজিল, আর্জেন্টিনা, পেরু, প্যারাগুয়ে, চিলি, বলিভিয়া, যুক্তরাষ্ট্র ও মেঙিকো এতে অংশগ্রহণ করে। তবে বাকি ইউরোপীয় দলগুলো প্রতিযোগিতার প্রতি আকৃষ্ট হয়নি। কারণ উরুগুয়ে যেতে হলে আটলান্টিক মহাসাগর পাড়ি দিয়ে যেতে হতো, যা ছিল দীর্ঘ ও ব্যয়বহুল। যদিও উরুগুয়ের ফুটবল অ্যাসোসিয়েশন ইংল্যান্ডের ফুটবল অ্যাসোসিয়েশনকেও অংশগ্রহণের আমন্ত্রণ জানিয়েছিল। ১৯২৯ সালের ১৮ নভেম্বর ফুটবল অ্যাসোসিয়েশন কমিটি সেই প্রস্তাব নাকচ করে দেয়, প্রতিযোগিতা শুরুর দুমাস আগ পর্যন্ত ইউরোপের কোনো দেশই আনুষ্ঠানিকভাবে অংশগ্রহণের ঘোষণা দেয়নি। অবশেষে ফিফা প্রেসিডেন্ট জুলে রিমে ও উরুগুয়ের সরকার শেষ চেষ্টা হিসেবে অংশগ্রহণের বিনিময়ে ইউরোপীয় দলগুলোকে যাবতীয় ব্যয়ভার বহনের প্রস্তাব দেয়। শেষ পর্যন্ত তেরটি দল প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করে। এর মধ্যে আমেরিকা অঞ্চলের ৯টি এবং ইউরোপের ৪টি।
১৯৩০ সালে বেলজিয়াম, ফ্রান্স, রোমানিয়া ও যুগোস্লাভিয়া দলের খেলোয়াড়রা জাহাজে করে রওনা দেন। একই জাহাজে জুলে রিমে ট্রফিসহ তিনজন ইউরোপীয় রেফারিকেও নেয়া হয়।
১৯৩০ সালের ২৯ জুন রিউ দি জানেইরু থেকে ব্রাজিল দলকে নৌকাতে ওঠানো হয় এবং তারা ১৯৩০ সালের ৪ জুলাই উরুগুয়েতে পৌঁছায়। মার্সেই থেকে যুগোস্লাভিয়া দল বাষ্পীয় জাহাজ ফোরিডাতে করে উরুগুয়েতে পৌঁছায়। তাদের সঙ্গে অলিম্পিকের জায়ান্ট কিলার মিসর, দলের সাথে আসার কথা থাকলেও জাহাজ ধরতে পারেনি। ফলে আটটি দলই অংশগ্রহণ করে।
বিশ্বকাপের প্রথম দুটি ম্যাচ একই সময়ে ফ্রান্স ও মেঙিকোর মধ্যে অনুষ্ঠিত হয়, যাতে ৪-১ গোলে ফ্রান্স জয়ী হয়। অন্য খেলায় যুক্তরাষ্ট্র বেলজিয়ামকে ৩-০ গোলে পরাজিত করে।
বিশ্বকাপের প্রথম গোল করেন ফ্রান্সের লুসিয়েন লরেন্ত। ফাইনালে ওঠে প্রতিযোগিতার ফেভারিট উরুগুয়ে ও আর্জেন্টিনা এবং ৯৩,০০০ দর্শকের সামনে উরুগুয়ে আর্জেন্টিনাকে ৪-২ গোলে পরাজিত করে প্রথম বিশ্বকাপ শিরোপা লাভের গৌরব অর্জন করে। জুলাই ১৩ থেকে জুলাই ৩০ পর্যন্ত এই প্রতিযোগিতা উরুগুয়েতে অনুষ্ঠিত হয়।
প্রথম বিশ্বকাপের কথা
তেরটি দলকে চারটি গ্রুপে ভাগ করা হয়। ৪টি গ্রুপে রাখা হয় উরুগুয়ে, আর্জেন্টিনা, ব্রাজিল ও যুক্তরাষ্ট্রকে। সব খেলা অনুষ্ঠিত হয় উরুগুয়ের রাজধানী মোন্তেবিদেওতে। উদ্বোধনী দিনে দুটি খেলা অনুষ্ঠিত হয়। প্রথম খেলায় ফ্রান্স মেঙিকোকে ৪-১ গোলে এবং দ্বিতীয় খেলায় যুক্তরাষ্ট্র বেলজিয়ামকে ৩-০ গোলে পরাস্ত করে। মেঙিকোর বিরুদ্ধে ফ্রান্সের লুসিয়েনের দেয়া গোলটিই ছিল বিশ্বকাপের প্রথম গোল।
গ্রুপ ১-এ ছিল আর্জেন্টিনা, চিলি, ফ্রান্স ও মেঙিকো। প্রথম খেলায় ফ্রান্স মেঙিকোর বিরুদ্ধে জয়লাভ করে। দ্বিতীয় খেলায় আর্জেন্টিনার সঙ্গে হেরে যায় ১-০ গোলে। সেই খেলাকে কেন্দ্র একটি বিতর্কের জন্ম নিয়েছিল। রেফারি আলমেদিয়া রেগো ভুল করে ছয় মিনিট বাকি থাকতেই খেলা শেষের বাঁশি বাজিয়ে দেন। পরে ফরাসি খেলোয়াড়দের চাপের মুখে খেলা আবার চালু হয়। আর্জেন্টিনা তাদের দ্বিতীয় খেলায় মেঙিকোর বিপক্ষে ৬-৩ গোলে জয়লাভ করে। এই খেলায় মোট পাঁচটি পেনাল্টি হয়। যার তিনটিই ছিল বিতর্কিত। আর্জেন্টিনা ও চিলির মধ্যকার ম্যাচটিতে আর্জেন্টিনা ৩-১ গোলে জেতে। তবে খেলার মাঝখানে দুদলের মধ্যে বাদানুবাদ হয় যখন মন্টি আর্টারো, টোরেসকে ফাউল করেন। তবে শেষ পর্যন্ত আর্জেন্টিনা ৩-১ গোলে জিতে সেমিফাইনালে ওঠে।
দ্বিতীয় গ্রুপে ছিল ব্রাজিল, বলিভিয়া ও যুগোশ্লাভিয়া। অভ্যন্তরীণ কলহের কারণে ব্রাজিল মূলত রিউ দি জানেইরু থেকেই তাদের খেলোয়াড়দের এই প্রতিযোগিতা পাঠিয়েছিল। গ্রুপের উদ্বোধনী খেলায় তারা ২-১ ব্যবধানে যুগোশ্লাভিয়াকে হারিয়ে দেয়। উভয় দলই স্বাচ্ছন্দ্যে বলিভিয়াকে হারায়। তবে ব্রাজিল ও বলিভিয়ার মধ্যকার খেলায় উভয় দলের পোশাকের রঙ প্রায় একই থাকায় অনেক সমস্যা দেখা দিয়েছিল। পরে মধ্যবিরতিতে বলিভিয়া তাদের পোশাক পরিবর্তন করে। যুগোশ্লাভিয়া সেমিফাইনালে উত্তীর্ণ হয়
গ্রুপ ৩-এ ছিল আয়োজক উরুগুয়ে, পেরু ও রোমানিয়া। উদ্বোধনী খেলায় পেরু ও রোমানিয়া মুখোমুখি হয়। এই খেলাতেই প্রতিযোগিতার প্রথম লালকার্ড দেখানো হয়। লালকার্ড দেখেন পেরুর প্লাসিদো গালিন্দো। রোমানিয়া এই খেলায় শেষের দিকে ২ গোল করে ৩-১ ব্যবধানে বিজয়ী হয়। পরের খেলায় পেরুর বিপক্ষে উরুগুয়ে ১-০ ব্যবধানে জেতে। সেমিফাইনালে যাওয়ার পথে উরুগুয়ে রোমানিয়ার বিপক্ষে জেতে ৪-০ গোলে।
চতুর্থ গ্রুপে ছিল যুক্তরাষ্ট্র, বেলজিয়াম ও প্যারাগুয়ে । যুক্তরাষ্ট্রের দলটিতে ছিল প্রাক্তন পেশাদার ব্রিটিশ ফুটবলার ও অভিবাসী খেলোয়াড়। প্রথম খেলায় যুক্তরাষ্ট্র বেলজিয়ামের বিপক্ষে ৩-০ গোলে জেতে। গ্রুপে দ্বিতীয় ম্যাচে যুক্তরাষ্ট্র বার্ট প্যাটেন্ডের হ্যাটট্রিকে প্যারাগুয়ের বিপক্ষে জয়লাভ করে। এই হ্যাটট্রিকই ছিল বিশ্বকাপের প্রথম হ্যাটট্রিক। প্রথম সেমিফাইনালে মুখোমুখি হয় আর্জেন্টিনা ও যুক্তরাষ্ট্র। প্রথমার্ধে মন্টির গোলে আর্জেন্টিনা ১-০ গোলে এগিয়ে যায়। তবে দ্বিতীয়ার্ধে যুক্তরাষ্ট্রকে দাঁড়াতেই দেয়নি আর্জেন্টিনা। অবশেষে ৬-১ গোলে জয় নিয়ে মাঠ ছাড়ে তারা। দ্বিতীয় সেমিফাইনালে মুখোমুখি হয় যুগোশ্লাভিয়া ও উরুগুয়ে। যুগোশ্লাভিয়া প্রথমে গোল করে এগিয়ে গেলেও পেদ্রো সির হ্যাটট্রিকে যুক্তরাষ্ট্র যুগোশ্লাভিয়ার বিপক্ষে ৬-১ গোলে জেতে।
১৯২৮ সালের অলিম্পিকের ফাইনালের মতো এই বিশ্বকাপের ফাইনালেও ওঠে আর্জেন্টিনা ও উরুগুয়ে। এস্তাদিও সেন্তেনারিওতে ফাইনাল খেলা অনুষ্ঠিত হয় জুলাইয়ের ৩০ তারিখে। খেলা শুরুর ৬ ঘণ্টা আগে স্টেডিয়াম খুলে দেয়া হয়। দুপুরের আগেই স্টেডিয়াম পূর্ণ হয়ে যায়। প্রায় ৯৩,০০০ দর্শক স্টেডিয়ামে খেলা দেখতে আসে। খেলা শুরুর পূর্বেই কার বল দিয়ে খেলা হবে সে বিষয়ে ঝগড়া বেধে যায়। শেষ পর্যন্ত ফিফা সিদ্ধান্ত নেয় প্রথমার্ধে আর্জেন্টিনার বল ও দ্বিতীয়ার্ধে উরুগুয়ের বল দিয়ে খেলা হবে। প্রথমার্ধে উরুগুয়ে ২-১ ব্যবধানে পিছিয়ে থাকলেও শেষ পর্যন্ত ৪-২ গোলে ম্যাচ জেতে এবং প্রথম বিশ্বকাপ বিজয়ী হিসেবে আত্মপ্রকাশ করে। জুলে রিমে ‘বিশ্বকাপ ট্রফি’ প্রদান করেন। পরে তার নামানুসারেই এই ট্রফির নাম রাখা হয় ‘জুলে রিমে ট্রফি’।
Your Ad Here. Click here to view your add.
Tuesday, 6 July 2010
ইংরেজি সপ্তাহের নাম কিভাবে এলো জানেন কি?
প্রাচীন ব্যাবিলিয়ন ও রোমানরাই আকাশের বিভিন্ন গ্রহপঞ্জি ও অন্যান্য জিনিসের সঙ্গে মিলিয়ে সপ্তাহের দিনগুলোর নামকরণ করেছে। বাংলায়ও এর সঙ্গে মিল পাওয়া যায়।
সোমবার (Monday)
সোমবার (Monday)
বাংলা সোম অর্থ চন্দ্র। তেমনি ইংরেজির Monday এসেছে Moon’s day থেকে।
মঙ্গলবার (Tuesday)
মঙ্গলবার (Tuesday)
রোমান দেবতা মার্স (Mars)-এর নামানুসারে হয়েছে মঙ্গল গ্রহের নাম। ওই মঙ্গল গ্রহ থেকে হয়েছে বারের নাম মঙ্গলবার। স্ক্যান্ডেনেভিয়ান মিথে যুদ্ধের দেবতা টিউ (Tieu) অথবা টুই (Tiw) থেকে হয়েছে ইংরেজির টুয়েসডে।
বুধবার
রোমান দেবতা মারকিউরি থেকে নামকরণ হয়েছে বুধ গ্রহ, ইংরেজিতে মারকিউরি মানে বুধ। আর বাংলায় বুধ থেকেই বুধবার। মারকিউরি দেবতা স্ক্যানডেনেভিয়ান অঞ্চলে পরিচিত হয়েছেন ওডেন নামে। সেখান থেকে ইংরেজি Wednesday
বৃহস্পতিবার
রোমান দেবতা Jupiter-এর নামে বৃহস্পতি গ্রহ। বৃহস্পতি গ্রহের নামানুসারে বৃহস্পতিবার। থর হচ্ছে বর্জ্রের দেবতা, এই থর থেকে ইংরেজিতে থার্সডে।
শুক্রবার
শুক্র গ্রহের নামকরণ করা হয়েছে রোমান সৌন্দর্যের দেবী ভেনাসের নামে। ভেনাস অর্থ শুক্র। তাই শুক্র থেকে শুক্রবার।
রবিবার
সূর্য—রবি থেকে রবিবার। ইংরেজিতে ফ্রেইরা (Freyja) রোমান প্রেমের দেবী, এই ফ্রেইরা থেকে এসেছে ফ্রাইডে।
Your Ad Here. Click here to view your add.
বুধবার
রোমান দেবতা মারকিউরি থেকে নামকরণ হয়েছে বুধ গ্রহ, ইংরেজিতে মারকিউরি মানে বুধ। আর বাংলায় বুধ থেকেই বুধবার। মারকিউরি দেবতা স্ক্যানডেনেভিয়ান অঞ্চলে পরিচিত হয়েছেন ওডেন নামে। সেখান থেকে ইংরেজি Wednesday
বৃহস্পতিবার
রোমান দেবতা Jupiter-এর নামে বৃহস্পতি গ্রহ। বৃহস্পতি গ্রহের নামানুসারে বৃহস্পতিবার। থর হচ্ছে বর্জ্রের দেবতা, এই থর থেকে ইংরেজিতে থার্সডে।
শুক্রবার
শুক্র গ্রহের নামকরণ করা হয়েছে রোমান সৌন্দর্যের দেবী ভেনাসের নামে। ভেনাস অর্থ শুক্র। তাই শুক্র থেকে শুক্রবার।
রবিবার
সূর্য—রবি থেকে রবিবার। ইংরেজিতে ফ্রেইরা (Freyja) রোমান প্রেমের দেবী, এই ফ্রেইরা থেকে এসেছে ফ্রাইডে।
Your Ad Here. Click here to view your add.
গুগল থেকে জানুন সূর্যাস্ত ও সূর্যোদয়ের সময়। রোজার দিনে কাজে লাগবে।
সম্প্রতি গুগল নতুন একটি সেবা চালু করেছে। যেটি ব্যবহারের মাধ্যমে নির্দিষ্ট শহর বা এলাকার সূর্যোদয় ও সূর্যাস্তের সময় জানা যাবে। গুগল সার্চ বক্সে sunset এবং sunrise শব্দ ব্যবহার করে এ কাজটি করা যাবে। যেমন, sunset Dhaka লেখা হয়, তবে ওই দিন কখন ঢাকার সূর্য অস্ত যাবে তা জানা যাবে। সে সঙ্গে এখন থেকে ঠিক কত সময় বাকি আছে, সেটিও উল্লেখ করা হয়। গুগলের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে বিশ্বের প্রায় সব জায়গার জন্য এই সুবিধাটি ব্যবহার করা যাবে। নির্দিষ্ট স্থানের অক্ষাংশ এবং দ্রাঘিমাংশ এবং স্থানীয় সময় গণনা করে এটি প্রকাশ করা হয়। তাই এটি সবসময়ই সঠিক ফলাফল দেখাবে। প্রাতঃভ্রমণে বের হওয়ার আগে অথবা দিনের শেষে কোনো নির্দিষ্ট কাজ করার পরিকল্পনা করার জন্য এটি বিশেষ কার্যকরী ভূমিকা পালন করবে।
Your Ad Here. Click here to view your add.
Your Ad Here. Click here to view your add.
Monday, 5 July 2010
জনপ্রিয় কিছু ওয়েব সাইট এর ঠিকানা.........
Your Ad Here. Click here to view your add.
ফ্রি ইংলিশ গান downloadকরার কিছু ওয়েব সাইট এর ঠিকানা.....
http://www.www.mag4you.com/music
http://www.sunncity.com/music
http://www.mp3000.net
http://www.mp3fusion.net
http://www.freecdmusic.com
http://www.music.aol.comwww.mp3-songs.net
ফ্রি বাংলা গান DOWNLOAD করার কিছু ওয়েব সাইট এর ঠিকানা.....
http://www.ferdous.org
http://www.banglamusic.com
http://www.music.com.bd
http://www.polapain.com
http://www.murchona.com
ফ্রি hindi গান download করার কিছু ওয়েব সাইট এর ঠিকানা.....
http://www.masti4india.com
http://www.hindisongs.net
http://www.downloadhindisongs.blogspot.com
http://www.dhingana.com
ফ্রি ছোট খাট সাইট বানানোর কিছু সাইট এর ঠিকানা.....
http://www.blogspot.com
http://www.multiply.com
http://www.wetpaint.com
http://www.own-free-website.com/
ফ্রি যেকোনো ভিডিও দেখার কিছু সাইট এর ঠিকানা.....
http://www.youtube.com
http://www.metacafe.com
ফ্রি টম ও জেরি এবং কারটুন download করার ১টি সাইট এর ঠিকানা......।
http://www.sonamoni.com
ফ্রি flash games download করার কিছু সাইট এর ঠিকানা....।
http://www.miniclip.com
http://www.onlineflashgames.org
http://www.armorgames.com
http://www.flash-game.net
সবচেয়ে জনপ্রিয় সাইট এর ঠিকানা.....।
http://www.facebook.com
http://www.hi5.com
http://www.multiply.com
http://www.orkut.com
http://www.myspace.com
Sports এর কিছু সাইট এর ঠিকানা...
http://www.cricinfo.com
http://www.fifa.com
http://www.soccerworld.multiply.com
http://www.pcboard.com.pk
ইসলামিক কিছু সাইট এর ঠিকানা.....।
http://www.islamicduniya.multiply.com
http://www.islamicity.com
http://www.jannah.org
http://www.jannah.com
ফ্রি ইংলিশ গান downloadকরার কিছু ওয়েব সাইট এর ঠিকানা.....
http://www.www.mag4you.com/music
http://www.sunncity.com/music
http://www.mp3000.net
http://www.mp3fusion.net
http://www.freecdmusic.com
http://www.music.aol.comwww.mp3-songs.net
ফ্রি বাংলা গান DOWNLOAD করার কিছু ওয়েব সাইট এর ঠিকানা.....
http://www.ferdous.org
http://www.banglamusic.com
http://www.music.com.bd
http://www.polapain.com
http://www.murchona.com
ফ্রি hindi গান download করার কিছু ওয়েব সাইট এর ঠিকানা.....
http://www.masti4india.com
http://www.hindisongs.net
http://www.downloadhindisongs.blogspot.com
http://www.dhingana.com
ফ্রি ছোট খাট সাইট বানানোর কিছু সাইট এর ঠিকানা.....
http://www.blogspot.com
http://www.multiply.com
http://www.wetpaint.com
http://www.own-free-website.com/
ফ্রি যেকোনো ভিডিও দেখার কিছু সাইট এর ঠিকানা.....
http://www.youtube.com
http://www.metacafe.com
ফ্রি টম ও জেরি এবং কারটুন download করার ১টি সাইট এর ঠিকানা......।
http://www.sonamoni.com
ফ্রি flash games download করার কিছু সাইট এর ঠিকানা....।
http://www.miniclip.com
http://www.onlineflashgames.org
http://www.armorgames.com
http://www.flash-game.net
সবচেয়ে জনপ্রিয় সাইট এর ঠিকানা.....।
http://www.facebook.com
http://www.hi5.com
http://www.multiply.com
http://www.orkut.com
http://www.myspace.com
Sports এর কিছু সাইট এর ঠিকানা...
http://www.cricinfo.com
http://www.fifa.com
http://www.soccerworld.multiply.com
http://www.pcboard.com.pk
ইসলামিক কিছু সাইট এর ঠিকানা.....।
http://www.islamicduniya.multiply.com
http://www.islamicity.com
http://www.jannah.org
http://www.jannah.com
Subscribe to:
Posts (Atom)