সবচেয়ে বড়, সবচেয়ে শক্তিশালী, সবচেয়ে দ্রুতগামী এ রকম যাবতীয় রেকর্ডধারীরই একটি সাধারণ পরিণতি হচ্ছে একসময় পেছনে পড়ে যাওয়া। কারণ, আজ হোক, কাল হোক, কেউ না কেউ এ রেকর্ডধারীদের পেছনে ফেলবেই। কিন্তু যা কিছু প্রথম, তা প্রথমই থেকে যায়। হতে পারে প্রথম আবিষ্কৃত তথ্যটা হয়তো পরে দেখা গেল প্রথম না, তারও আগে কিছু আছে। কিন্তু সেটিও হবে প্রথম, কাজেই প্রথম চিরকালই প্রথম।
এনসাইক্লোপিডিয়া
মারকাস টেরেনটিয়াস ভ্যারো (১১৬—২৭ খ্রিষ্টপূর্ব) ছিলেন সে সময়কার রোমের সবচেয়ে যোগ্য ও প্রাজ্ঞ ব্যক্তি। তিনি প্রথম দুটি পূর্ণাঙ্গ এনসাইক্লোপিডিয়া রচনা করেন। এর একটি ছিল এন্টিকুইটিস অব থিংস হিউম্যান অ্যান্ড ডিভাইন। এটি তিনি রচনা করেন ৪৭ খ্রিষ্টপূর্বাব্দে। এই এনসাইক্লোপিডিয়া ছয়টি বিষয়ের ওপর ভিত্তি করে রচিত হয়। এগুলো হলো: গীর্জা, পুরোহিত, উৎসব, ক্রীড়া, দেবদেবী এবং শাস্ত্রীয় ধর্ম
তাঁর অন্য এনসাইক্লোপিডিয়াটির নাম ছিল ডিসিপ্লানিরিয়ান। এটির বিষয় ছিল: ব্যাকরণ, দ্বান্দ্বিকতা, ভাষা, জ্যামিতি, গণিত, জীববিজ্ঞান, সংগীত, চিকিৎসা ও স্থাপত্যবিদ্যা।
বুক অব রেকর্ডস
৪০০ খ্রিষ্টপূর্বাব্দের শেষের দিকে গ্রিক ক্রীড়াবিদ হিপ্পাস অলিম্পিক গেমসে বিজয়ীদের নিয়ে একটি সংকলন প্রকাশ করেন। এতে অলিম্পিকের সূচনালগ্ন থেকে হিপ্পাসের সময়কাল পর্যন্ত রেকর্ডধারী ক্রীড়ামোদীরা ঠাঁই পেয়েছেন। তবে এ সংকলনটি আর খুঁজে পাওয়া যায় না। বইটিতে ওসব খেলার মৌলিক দিকগুলো ছাড়া আরও কিছু নথিভুক্ত হয়েছিল কি না -জানা যায়নি।
কৌতুক-বিষয়ক বই
ছাপার অক্ষরে প্রথম কৌতুক মুদ্রিত হয় চীন দেশে। খ্রিষ্টপূর্ব ২০০ শতাব্দীতে ফরেস্ট অব জোকস নামের কৌতুক নিয়ে প্রথম বইটি বের হয়। এর রচয়িতা ছিলেন হার্ন দার্ন জান।
যৌনতা-বিষয়ক বই
একজন চীনা গ্রন্থাকার খ্রিষ্টপূর্ব ১০০ শতকে এ বিষয়ে রচিত ছয়টি বইয়ের একটি তালিকা করেন। এর মধ্যে একটির নামওয়ে অব ইয়িন। এসব গ্রন্থের রচয়িতা হিসেবে রাঙ চেঙ্গ ও উ চেঙ্গ-এর নাম পাওয়া যায়। তবে চায়নিজ এ বইগুলো সম্পর্কে বিশেষ কিছু জানা যায়নি। এগুলো আর পাওয়াও যায়নি
তবে সময়ের গ্রাস থেকে রক্ষা পাওয়া যৌনতা-বিষয়ক প্রাচীনতম গ্রন্থটি হচ্ছে ভারতীয় কামশাস্ত্র। এটি রচনা করেন বৎসায়ন। এর রচনাকাল সম্ভবত ১০০ খ্রিষ্টাব্দ। বইটিকে আগে প্রকাশিত এ সম্পর্কিত বইয়ের সারসংক্ষেপ বলা যেতে পারে।
সূত্র: দ্য পেঙ্গুইন বুক অব ফার্স্টস
No comments:
Post a Comment