জবর জীবজগৎ
কে বেশি বিচক্ষণ, তা নিয়ে তর্ক চলছে বানর আর তোতাপাখির মধ্যে। বানর বলল, ‘অবশ্যই আমি বেশি বিচক্ষণ। লক্ষ করে দেখো, দেখতে আমি প্রায় মানুষের মতো। মানুষের মতো হাঁটতেও পারি। সবচেয়ে বড় কথা, মানুষের উৎপত্তি হয়েছে আমাদের থেকে।’
‘তা না হয় বুঝলাম,’ বলল তোতাপাখি, ‘কিন্তু আমি তো মানুষের মতো কথা বলতে পারি। তুমি পারো?’
‘পারি না মানে! এতক্ষণ ধরে আমি কী করলাম?’
নেকড়ের সঙ্গে দেখা খরগোশের। খরগোশ বলল, ‘তোমার বউটা যা সুন্দরী!’
নেকড়ে বলল, ‘তোমার বউটা যা সুস্বাদু!’
টেলিফোন বেজে উঠল পুলিশ অফিসে। রিসিভার তুলতেই শোনা গেল, ‘বাঁচান! বাঁচান!’
‘এক্ষুনি রওনা হচ্ছি। কী হয়েছে, বলুন।’
‘ঘরে বেড়াল ঢুকেছে,’ উত্তর এল অপর প্রান্ত থেকে।
‘এই ফালতু কারণে পুলিশকে কেউ জ্বালাতন করে! কে আপনি?’
‘তোতাপাখি।’
শেয়াল ধরেছে মুরগিছানাকে। বেচারা কেঁদে-কেটে একাকার। খুব অনুনয়-বিনয় করে সে বলল, ‘আমাকে ছেড়ে দাও, শেয়াল ভায়া। আমি আমার বাবা-মাকে ভুলিয়ে ভালিয়ে তোমার কাছে নিয়ে আসব।’
শেয়াল হিসাব করে দেখল, পুঁচকে এই মুরগিছানাকে খাওয়ার চেয়ে বড় দুখানা মোরগ-মুরগি খাওয়া ঢের লাভজনক। সে ছেড়ে দিল মুরগিছানাকে। ছাড়া পেয়ে একছুটে দূরে গিয়ে বলল সে, ‘শেয়াল ভায়া, আমি তোমাকে ঠকিয়েছি। আমার বাবা-মা নেই। আমার জন্ম ইনকিউবেটরে।’
সংকলন ও অনুবাদ মাসুদ মাহমুদ
Wednesday, 23 June 2010
Subscribe to:
Post Comments (Atom)
No comments:
Post a Comment