ভোরে ঘুম থেকে উঠে জানালার পর্দা সরাতেই দেখি উঠানে দুটি ম্যাগপাই পাখি ঘুরে বেড়াচ্ছে। বাংলাদেশে জোড়া শালিককে যেমন শুভ ধরা হয় তেমনি বিলাতে ম্যাগপাই। শীতের আগমনি বার্তা জানান দিচ্ছিল ভোরের কুয়াশাছন্ন আকাশ। তাপমাত্রা ছিলো ৪ ডিগ্রিরও কম। যদিও কিছু সময় পরে উজ্জ্বল সূর্যকিরণে চারপাশ রক্তিম হয়ে উঠে। আজকের দিনটি আমাদের জন্য শুভ। কারণ ২০০৬ সালের ২০শে অক্টোবর শবে কদরের রাতে আমার মেয়ে তেহ্বজিব শরীফ জন্ম গ্রহন করে। আমাদের সন্তান। অনেক আখাংকার, অনেক প্রতিক্ষার।
আজ সকালে ঘুম থেকে জাগিয়েছি You Tube থেকে Beatles-এর Happy Birthday গান শুনিয়ে। কাল গভীর রাত পর্যন্ত আমি আর তার মা মিলে স্কুলের জন্য কেক বানিয়েছি। সকালে উঠে সেইটা আবার সুন্দর করে সাজিয়ে দিয়ে স্কুলে দিয়ে এসেছি। মেয়ে আমার কত খুশী! আগেই বলেছিলো বন্ধুদের সাথে কেক কাটবে। আবার স্কুলে যাওয়ার সময় পাশের বাসার ভারতীয় ডাঃ বিশাল ও তার স্ত্রী যখন উইশ করে তখন লজ্জায় মুখ লুকায়। বড় একটা পিয়ানো কিনে লুকিয়ে রেখেছি। সন্ধ্যায় তার মা হাসপাতাল থেকে বাড়ী ফিরে আসলেই দিবো। মেয়ের জন্মদিনে তারচেয়ে আমাদের খুশী আরো বেশী। নিঃস্বন্গ আর জেলো প্রবাস জীবনে খুশীর উপলক্ষ খুব কম আসে। তাই আজ শুধু আমার ব্লগ বাড়িতেই নয় সবখানেই খুশির ছটা।
এই আনন্দ ব্লগীয় বন্ধুদের সাথে শেয়ার করার প্রয়াসে এই পোস্ট।
Wednesday, 20 October 2010
ক্রিকেটকে জাতীয় খেলা করার দাবি লগে গাজি মামার ফিচলামি আর তালিবালি কিসু কতা
কাইলকা একটা পোস্টাইসিলাম। ক্রিকেটকে জাতীয় খেলা ঘোষনা দেয়া হউক এইখানে দেখুন। যেনো জোকের মুখে নুন পড়সে। সক্কালে ফেসবুকে যাইয়া দেখি গাজি মামা মেসেজ দিসে - " আমারে আর শহিদরে লইয়া তুই সুখে থাকতে পারলি না? কি অমন ভূতে কিলাইসে তুই ক্রিকেটরে জাতীয় খেলা করতে কইলি? সামুতে তো তরে মাইনাসের বন্যায় ভাসাই দিসে। খুব ভালা হইসে। আমাগোরে গুতানোর সময় মনে থাকে না। এক্কন মজা বুঝ।"
যাওগ্গা মামার যা বুঝনরে তা বুজছে আর আমার যা কওনের আমি কইসি। হ্য়ত হুজুগে লেখাটা লিখসিলাম মাগার আমার চাইতে বড় হুজুগে পাবলিক আসে তারও প্রমান বিয়াফক মাইনাস। মাইনাস পাইসি কুনু দুসঃকু নাই। কিন্তু কিসু পাবলিক যেই কমেনটাইসে তাতে জ্বালা বাড়সে। কেউ কইসে পাগলা আর কেউ কইসে মাতাল। যারা বাজে কমেনটাইসে তাগোরে জিগাই : কাবাডি খেলার নিয়ম জানেন নি না হুদাই চিল্লাইসেন?
কাবাডি ঐতিহ্যমন্ডিত জাতীয় খেলা এতে কুনু সন্দেহ নাই। কিন্তু এই জাতীয় খেলারে আমরা কতটুকু মর্যাদা দিতাসি? জাতীয় খেলার জাতীয় দলের খেলোয়াড়ের নাম কয় জনে কইতে পারবো? আইচ্ছা ঐটা বাদ। জাতীয় খেলার জাতীয় দলের অধিনায়কের নাম কয়জনে জানে? টিভি চ্যানেলে খেলার সংবাদের আগে ক্য়টা টিভি চ্যানেলে কাবাডি খেলার ক্লিপিং দেখায়? জাতীয় খেলারে যদি মর্যাদাই দিতে না পারি তাইলে নাম কা ওয়াস্তে রাইক্কা লাভ কি???
আমরা হইলাম হুজুগে জাতি। আইজকা হয়ত সাকিবরা ভালা করসে বইল্যা এই দাবি করতেসি। কাইলকা খারাপ করলে জিরো পয়েন্টে ন্যাংটা কইরা পিডানোর দাবি করুম। মাগার জাতীয় খেলার ব্যাপারে আমার দাবি পরিস্কার জাতীয় খেলা যেইটাই হউক, এর যথাযথ মর্যাদা দেওয়া হউক।
যাওগ্গা মামার যা বুঝনরে তা বুজছে আর আমার যা কওনের আমি কইসি। হ্য়ত হুজুগে লেখাটা লিখসিলাম মাগার আমার চাইতে বড় হুজুগে পাবলিক আসে তারও প্রমান বিয়াফক মাইনাস। মাইনাস পাইসি কুনু দুসঃকু নাই। কিন্তু কিসু পাবলিক যেই কমেনটাইসে তাতে জ্বালা বাড়সে। কেউ কইসে পাগলা আর কেউ কইসে মাতাল। যারা বাজে কমেনটাইসে তাগোরে জিগাই : কাবাডি খেলার নিয়ম জানেন নি না হুদাই চিল্লাইসেন?
কাবাডি ঐতিহ্যমন্ডিত জাতীয় খেলা এতে কুনু সন্দেহ নাই। কিন্তু এই জাতীয় খেলারে আমরা কতটুকু মর্যাদা দিতাসি? জাতীয় খেলার জাতীয় দলের খেলোয়াড়ের নাম কয় জনে কইতে পারবো? আইচ্ছা ঐটা বাদ। জাতীয় খেলার জাতীয় দলের অধিনায়কের নাম কয়জনে জানে? টিভি চ্যানেলে খেলার সংবাদের আগে ক্য়টা টিভি চ্যানেলে কাবাডি খেলার ক্লিপিং দেখায়? জাতীয় খেলারে যদি মর্যাদাই দিতে না পারি তাইলে নাম কা ওয়াস্তে রাইক্কা লাভ কি???
আমরা হইলাম হুজুগে জাতি। আইজকা হয়ত সাকিবরা ভালা করসে বইল্যা এই দাবি করতেসি। কাইলকা খারাপ করলে জিরো পয়েন্টে ন্যাংটা কইরা পিডানোর দাবি করুম। মাগার জাতীয় খেলার ব্যাপারে আমার দাবি পরিস্কার জাতীয় খেলা যেইটাই হউক, এর যথাযথ মর্যাদা দেওয়া হউক।
ক্রিকেটকে জাতীয় খেলা ঘোষনা দেয়া হউক
এই মুহুর্তে বাংলাদেশের জাতীয় খেলা কাবাডি। আর্ন্তজাতিক পরিমন্ডলে এই খেলাটির আর চল নাই। এমন কি সাফ গেমসগুলোতে মাঝে মাঝে কাবাডি বাদ দেয়ার অবস্হা হয়। অথচ অলিম্পিকে টুয়েন্টি-টুয়েন্টি ক্রিকেট যুক্ত করার চিন্তা ভাবনা চলছে। অনেকে বলবেন কাবাডি আমাদের ঐতিহ্য। গ্রাম- বাংলার মাটি ও মানুষের খেলা কাবাডি। কিন্তু আজকে গ্রাম বাংলার কয়জন ছেলে মেয়ে কাবাডি খেলতে চায়? সবাইতো পারলে সাকিব আর তামিম হইতে চেস্টা করতেসে। কাবাডি থেকে বাংলাদেশ কি পেয়েছে? সর্বোচ্চ সাফ গেমসে স্বর্ণ। দেশবাসি কি তাতে আনন্দিত হয়ে রাস্তায় মিছিল করেছিলো? নিশ্চয় নয়। কারণ তাতে কারো কোনো খবর নাই। কিন্তু সেই ১৯৯৮ সাল থেকে ক্রিকেট জাতিকে বারবার আনন্দ দিয়েছে। আমরা উল্লাসে ফেটে পড়েছি। সর্বশেষ নিউজিল্যান্ডের সাথে সিরিজে ক্রিকেটাররা আমাদের গর্বিত করেছে। তাই ডিজিটাল সরকারের কাছে ক্রিকেট পাগল জনগনের আকুল আবেদন, আধুনিক জাতি হিসাবে নিজেদের বিশ্বের দরবারে পরিচয় তুলে ধরার জন্য এবং ক্রিকেটের সার্বিক মংগলের জন্য ক্রিকেটকে জাতীয় খেলা ঘোষনা দেয়া হউক।
শাহিদ ভায়া। এক মহান (!) ক্রিকেটার।ফান পোস্ট
বাংলাদেশ সিরিজ জয় করসে। খুব খুশী লাগতাসে। শহিদ ভায়া'রে মিস করতাসি। কারণ হে আছিলো এক মহান (!) ক্রিকেটার। বাংলাদেশ এই বিজয় আরো আগে পাইতে পারত যদি শহিদ ভায়ারে দলে লইত। এমনকি বাংগালির বিশ্বকাপ মিস খাইসে শুধু শহিদ ভায়া'রে পাত্তা দেয় নাই বইল্যা। আরে বাপ, খেলোয়াড় হিসাবে না নিয়া কমসে কম তো অফিসিয়াল হিসাবে নিতে পারতো। বুজলিনা রে মনা! যাই হোক বাংলাদেশ শেষ পর্যন্ত জিতসে। এই খুশীর সময় শাহিদ ভায়া'র ক্রিকেট মাঠের কিসু মহান (!) কাহিনী বয়ান করতাসি।
১) আরেক পাড়ায় একটা ম্যাচ আছিলো। ঐদিন আমাগো টিমের রেগুলার প্লেয়ার না আসায় শহিদ ভায়া চান্স পাইসে। মোটামুটি পুরা খেলা ভালা হইসে। কারন শহিদ ভায়ারে এমন জায়গায় দাড় করান হইসে যেই জায়গায় বল সহজে যায় না। নইলে শহিদ ভায়া বল ধরে না মাগুর মাছ ধরে বুঝা যায় না। বল নাকি তার দিকে গেলে সে নার্ভাস হইয়া যাইতো। যাওগ্গা আমরা আগে ভালা বোলিং কইরা ওগোরে টাইট দিসি। মোটামুটি ব্যাট ধইরা খাড়াই থাকলে জিইত্যা যামু এমন অবস্হা। আমাগো ক্যাপটেন কইলো: ঠিক আছে শহিদ ভায়া তো চান্স পায়না। আইজকা সে আগে ব্যাট করুক। সবাই রাজি। শহিদ ভায়া নামলো। ওরে আল্লাহ এক বলের মালিক। পরথম বলে বোল্ড। অ্যামপায়ার এক আংগুল দেখাই দিসে। কিন্তু শহিদ ভায়া ক্রিজ ছাড়েনা। কি রে কি হইসে? শহিদ ভায়া কয়: আরে ঐটা তো নো বল। অ্যামপায়ার ভুল করসে। আমরা কইলাম শহিদ ভায়া চইল্যা আয়। কিন্তু সে শুরু করলো অ্যামপায়ারের লগে ঝগড়া। অন্য টিমের খেলোয়াড়গুলান তো চান্সে আছিলো। তারাও জয়েন দিলো। আমরা বুঝলাম এইটা বড় হইয়া গেসে, এইবার পলান দরকার। শহিদ ভায়ারে রাইখ্খা আমরা সবাই পলাইলাম। পরে শুনসি তারে নাকি কান ধইরা খড়া করাই রাখা হইসিলো। আর পুরা শরীরে নাকি শুধু একটা হাফ প্যান্ট পড়া আছিলো।
২) একদিন শহিদ ভায়া যথারীতি পরথম বলে বোল্ড। অফ্ স্ট্যাম্পের বেলটা শুধু পড়সে। অমনি সে করসে কি বেলটা তুইল্যা কয়: আইজক্যা মনে হ্য় বাতাস বেশী। শুরু করলো কাইজ্যা। তখখন এক সিনিয়ার ভাই কয়, আরে ওরে আরেকবল খেলতে দিলে কি তোগো কোনো প্রবলেম আছে? বড় ভাই রে সম্মান কইরা দিলাম আরেক বল খেলতে। এই বলেও ক্লিন বোল্ড, এক্কেরে মিডল স্ট্যাম্প।
৩) শহিদ ভায়া'র একটা বিশ্ব রেকর্ড আছে। ঐটা হইলো এক ওভারে বেশী রান দেয়ার রেকর্ড। রেকর্ড এক ওভারে ৩৯ রান দিসে। পরথম ৩টা বল নো। এরমধ্য একটাতে বাই ফোর আছে। ০ বলে ৭ রান। জিন্দেগিতে কুনো বোলার দিতে পারসে? আমাগো শহিদ ভায়া পারে।
৪) পাড়ার ছেলেদের কাছে শহিদ ভায়া'র ক্রিকেট -
বোলিং: পাত্থর মারা।
ব্যাটিং: ডাংগুলি খেলা।
ফিল্ডিং: মাগুর মাছ ধরা।
৫) এক ম্যাচে শহিদ ভায়া ব্যাটিং করতে নামসে। যা হয় তাই হইসে শহিদ ভায়া বোল্ড। ক্রিজ
থেইক্যা যাওয়ার সময় বোলাররে কয়: ভাগ্যক্রমে দারুন বোলিং করসো। আমার উইকেটটা পাইসো এর চাইতে বেশী কিছু কি আশা করতে পারতা? বোলার চেইত্যা কয়: আপনেরে যদি মাঠে না দেখতাম, ওইটাই হইতো বেশী আশা।
৬) একবার এক খেলায় শহিদ ভায়া মামুন হুজুরের ওভারে প্রায় ৪/৫ টা ক্যাচ মিস করসে। এইজন্য ম্যাচও গেসে। খেলা শেষে শহিদ ভায়া কয়: আমার তাড়াতাড়ি যাইতে হইবো। ঢাকা যামু ট্রেন ধইরতে হইবো। মামুন হুজুর চেইত্যা কয়: হালার হালা, আমার মনে ঐটাও তোর হাত ফসকায়া যাইবো।
১) আরেক পাড়ায় একটা ম্যাচ আছিলো। ঐদিন আমাগো টিমের রেগুলার প্লেয়ার না আসায় শহিদ ভায়া চান্স পাইসে। মোটামুটি পুরা খেলা ভালা হইসে। কারন শহিদ ভায়ারে এমন জায়গায় দাড় করান হইসে যেই জায়গায় বল সহজে যায় না। নইলে শহিদ ভায়া বল ধরে না মাগুর মাছ ধরে বুঝা যায় না। বল নাকি তার দিকে গেলে সে নার্ভাস হইয়া যাইতো। যাওগ্গা আমরা আগে ভালা বোলিং কইরা ওগোরে টাইট দিসি। মোটামুটি ব্যাট ধইরা খাড়াই থাকলে জিইত্যা যামু এমন অবস্হা। আমাগো ক্যাপটেন কইলো: ঠিক আছে শহিদ ভায়া তো চান্স পায়না। আইজকা সে আগে ব্যাট করুক। সবাই রাজি। শহিদ ভায়া নামলো। ওরে আল্লাহ এক বলের মালিক। পরথম বলে বোল্ড। অ্যামপায়ার এক আংগুল দেখাই দিসে। কিন্তু শহিদ ভায়া ক্রিজ ছাড়েনা। কি রে কি হইসে? শহিদ ভায়া কয়: আরে ঐটা তো নো বল। অ্যামপায়ার ভুল করসে। আমরা কইলাম শহিদ ভায়া চইল্যা আয়। কিন্তু সে শুরু করলো অ্যামপায়ারের লগে ঝগড়া। অন্য টিমের খেলোয়াড়গুলান তো চান্সে আছিলো। তারাও জয়েন দিলো। আমরা বুঝলাম এইটা বড় হইয়া গেসে, এইবার পলান দরকার। শহিদ ভায়ারে রাইখ্খা আমরা সবাই পলাইলাম। পরে শুনসি তারে নাকি কান ধইরা খড়া করাই রাখা হইসিলো। আর পুরা শরীরে নাকি শুধু একটা হাফ প্যান্ট পড়া আছিলো।
২) একদিন শহিদ ভায়া যথারীতি পরথম বলে বোল্ড। অফ্ স্ট্যাম্পের বেলটা শুধু পড়সে। অমনি সে করসে কি বেলটা তুইল্যা কয়: আইজক্যা মনে হ্য় বাতাস বেশী। শুরু করলো কাইজ্যা। তখখন এক সিনিয়ার ভাই কয়, আরে ওরে আরেকবল খেলতে দিলে কি তোগো কোনো প্রবলেম আছে? বড় ভাই রে সম্মান কইরা দিলাম আরেক বল খেলতে। এই বলেও ক্লিন বোল্ড, এক্কেরে মিডল স্ট্যাম্প।
৩) শহিদ ভায়া'র একটা বিশ্ব রেকর্ড আছে। ঐটা হইলো এক ওভারে বেশী রান দেয়ার রেকর্ড। রেকর্ড এক ওভারে ৩৯ রান দিসে। পরথম ৩টা বল নো। এরমধ্য একটাতে বাই ফোর আছে। ০ বলে ৭ রান। জিন্দেগিতে কুনো বোলার দিতে পারসে? আমাগো শহিদ ভায়া পারে।
৪) পাড়ার ছেলেদের কাছে শহিদ ভায়া'র ক্রিকেট -
বোলিং: পাত্থর মারা।
ব্যাটিং: ডাংগুলি খেলা।
ফিল্ডিং: মাগুর মাছ ধরা।
৫) এক ম্যাচে শহিদ ভায়া ব্যাটিং করতে নামসে। যা হয় তাই হইসে শহিদ ভায়া বোল্ড। ক্রিজ
থেইক্যা যাওয়ার সময় বোলাররে কয়: ভাগ্যক্রমে দারুন বোলিং করসো। আমার উইকেটটা পাইসো এর চাইতে বেশী কিছু কি আশা করতে পারতা? বোলার চেইত্যা কয়: আপনেরে যদি মাঠে না দেখতাম, ওইটাই হইতো বেশী আশা।
৬) একবার এক খেলায় শহিদ ভায়া মামুন হুজুরের ওভারে প্রায় ৪/৫ টা ক্যাচ মিস করসে। এইজন্য ম্যাচও গেসে। খেলা শেষে শহিদ ভায়া কয়: আমার তাড়াতাড়ি যাইতে হইবো। ঢাকা যামু ট্রেন ধইরতে হইবো। মামুন হুজুর চেইত্যা কয়: হালার হালা, আমার মনে ঐটাও তোর হাত ফসকায়া যাইবো।
Wednesday, 13 October 2010
আবার শহিদ ভায়া। এইবার এক্কেরে এক ডজন।
কিসুদিন খ্যামা দিসিলাম। কিন্তু পাবলিক ডিমান্ড কইয়া একটা কথা আসে। তাই আবার শহিদ ভায়া রে লইয়া ফিরত আসলাম। লগে কিন্তু গাজি মামা'র ও এন্ট্রি আসে।
১)
কিস কিসকি মেহফিল মে কিস কিসকো কিস কিয়া?
এক গাজি মামা থি জো হার কিস কো মিস কিয়া।
এক শাহিদ ভায়া থি জো হার মিস কো কিস কিয়া।
২) শাহিদ ভায়াকে জিগ্গাসা করা হলো: আচ্ছা যারা কানে শুনে না তাদেরকে কি বলা যায়?
শাহিদ ভায়া উত্তর দিলো: যা খুশি তা বলতে পারো। তারা তো আর কানে শুনে না।
৩) শাহিদ ভায়া আর গাজি মামা'র কথা হচ্ছে। শাহিদ ভায়া বললো: মামু কালকে একটা নতুন কাপড় ধোয়ার পাউডার কিনলাম। কিন্তু, ওইটা দিয়ে আমার জিনস প্যান্টটা ধুইতেই জিনস এক সাইজ ছোটো হয়ে গেসে। কি করি বলতো মামু?
গাজি মামা জবাব দেয়: এক কাজ কর মামু, ওই ডিটারজেন্ট দিয়ে তুইও গোসল করে ফেল। তাইলে দেখবি তোর জিনস বরাবর ফিট।
৪)শাহিদ ভায়া একটা ইন্টারভিউ দিতে গেছে। জিগ্গাসা করা হলো: আচ্ছা, বলুন তো গণভবন কোথায়?
শাহিদ ভায়া উত্তর দিলো: চট্টগ্রামে।
বস্ বললো: এই আপনার জেনারেল নলেজ? গণভবন কোথায় এইটা জানেন না?
শাহিদ ভায়া উত্তর দিলো: স্যার, ঢাকায় বললে কি চাকরিটা হয়ে যাবে?
৫) গাজি মামা ছোটো বেলায় ফাকিবাজ ছাত্র ছিলো। তো দুইদিন স্কুলে যায় নাই। স্যার জিগ্গাসা করলো: কি রে পরশু স্কুলে আসিস নাই কেন?
গাজি মামা বললো: স্যার পরশু আমি একটা নয়া লুংগি কিনসিলাম, তাই খুশিতে ছুটি নিসি।
স্যার আবার জিগ্গাসা করলো: তাইলে কাইলকা আসোস নাই কেন?
গাজি মামা কয়: কাইলকা আমি স্কুলে আসার সময় দেখলাম আপনের ঘরের বারান্দায় একটা নয়া লুংগি দেখসিলাম, তাই মনে করসিলাম আপনে ওই খুশিতে ছুটি নিবেন।
৬) একদিন গাজি মামা একটা হোটেলে খাইতে গেসে। ওয়েটারকে বললো: যাও আমার জন্য গরম গরম পরটা আর ভাজি নিয়া আসো।
ওয়েটার বললো: ঠিক আছে মামা, আমি আনতেসি একটু ওয়েট করেন।
গাজি মামা কয়: কি বললে?
ওয়েটার আবার বললো: মামা, আমি আনতেসি একটু ওয়েট করেন।
গাজি মামা চেইত্যা কয়: হারামজাদা ওয়েটার কে আমি না তুই? ওয়েট করতে হইলে, তুই কর।
৭) শহিদ ভায়া'র দর্শণ:
নারী মানে কি: শক্তি
পুরুষ মানে কি: সহ্য শক্তি
৮) একদিন শহিদ ভায়া'র পায়ে দেখি ব্যান্ডেজ। জিগ্গাসা করলাম: ভায়া, কি হইসে? কোথাও ধরা খাইসো?
শহিদ ভায়া কয়: হ্। ওই গর্তটা দেখসস্?
আমি কইলাম: দেখসি।
শহিদ ভায়া কয়: ওইটাই তো আমি দেখি নাই।
৯) আরেকদিন শহিদ ভায়া একটা হোটেলে খাইতে গেসে। অর্ডার দিসে: যা আমার জন্য চিকেন নিয়ে আয়।
ওয়েটার বললো: ভায়া, কি চিকেন আনবো? চাইনিজ না ফ্রেন্চ?
শহিদ ভায়া চেইত্যা কয়: হারামজাদা, আমি খামু না কথা কমু?
১০) শহিদ ভায়া রেললাইনের উপর শুয়ে আছে দেখে গাজি মামা বললো: কি রে রেললাইনের উপর শুইয়া আসোস তোর উপর ট্রেন গেলে তো তুই মরে যাবি। শহিদ ভায়া বললো: অ্যা, ট্রেন! মাথার উপর দিয়া প্লেন উড়ে গেলো কিসসু হ্য় নাই এই শহিদ মিয়ার।
১১) শহিদ ভায়া মামুন হুজুরকে বললো: মামুন হুজুর আমি বিয়া করুম।
মামুন হুজুর বললো: শহিদ ভায়া, বিয়া কোনো ছোটো বাচ্চার খেলা না।
শহিদ ভায়া বলে: জানি, ঐটা বাচ্চাদের জন্য খেলা হয়।
১২) সেইদিন রাস্তা দিয়া যাইতেসিলাম। পিছন থেইক্যা কে জানি চিক্কুর দিলো। ফিইরা দেখি শহিদ ভায়া। হেভ্ভী টেম্পার। আমারে দেইখ্খা কয়: শালার পুত শালা, তুই নাকি আমারে লইয়া ব্লগে মশকরা করস? ফান করস? জোক করস? হাসি ঠাট্টা করস? তুই জানস, আমি কত ভালো চাকরি করি? আমি একজন বিশিষ্ট সমাজ সেবক। দেশের কত উপকার করি। জনগনকে কত সেবা দিই। আমি কইলাম: খাড়া শহিদ ভায়া, এই জোক আমি ব্লগে করি নাই।
আমাগো গাজি মামা
শহিদ ভায়া নিয়া লেখতে লেখতে পাবলিকরে এট্টু বিলা বানাইয়া ফালাইসি। নিজের কাসে মনে হইতাসে কেমুন জানি একটু টাইপড্ হইয়া যাইতাসে। তাই শুরু করলাম গাজি মামা সিরিজ। কিন্তু এরমধ্য শহিদ ভায়া'র কিসু পার্ট আসে। কারণ হেরা আবার জিগরি দোস্ত। আশাকরি গাজি মামা আপনাগো বেয়াফক বিনোদন দিবো।
আমাগো গাজি মামা দেখতে ছোটোখাট গোলগাল নাদুস-নুদুস। মানুষটা বেয়াফক আমুদে আর হাসি-খুশি। গাজি মামা হইলো আমাগো ডিসটিং গ্রুপের পাবলিক রিলেশন অফিসার। গুরা হউক আর বুড়া হউক লগে লগে ফেরেন্ড বানাইতে গাজি মামা'র বিকল্প নাই। কুনু মাইয়ার নিউজ লাগলে গাজি মামা লগে লগে ডেটা বেইজ ফাইল খুইল্যা চউদ্দ্যা গুস্টির কুষ্টি জানাই দিবো।
এহেন গাজি মামা'র পেরেম আসিলো পাশের বাড়ির রোজি মামি'র লগে। রোজি মামি খুব সুন্দর আসিলো। আসলে গাজি মামা গেসিলো আমার প্রস্তাব লইয়া উল্টা মামা'র লোগে মামি ফিট হইয়া গেসে। সে আরেক কাহিনী। পরে টাইম বুইজ্জা কমু। যদিও পরে আমি রোজি মামি'র ভাই হইয়া গেসিলাম (ট্রাজেডি আর কারে কয়!)। তো একদিন রোজি মামি'র লগে মামা'র হেভি কিচাইন লাগসে। মামি সালিশ ডাকলো এক রেস্টুরেন্টে। ভালা খানা-দানার আশায় আমরা নাদানরা হাজির। ঐ সালিশে আছিলো বিশিষ্ট চিন্তাবিদ মামুন হুজুর (হুজুরের বর্ণনা দিতে গেলে আরো ৩/৪ বার পুস্টাইতে হইবো), বিশিষ্ট আলেম লতা ফরমান (এর চাইতে বড় জালেম আর নাই), বিশিষ্ট সমাজবিদ পুংটা পারভেজ (যার পুংটামির জ্বালায় কত মানুষ কত রাইতে ভাত না খাইয়া আছিলো), চান্দি মানিক (হে খবর ছাড়া গন্ধ শুইক্যা চইল্যা আসছিলো), বিশিষ্ট শহিদ ভায়া আর আমি। উভয় পার্টি বেয়াফক খানা'র অর্ডার দিলো যাতে রায় পখখে যায়। রোজি মামি কইলো: আপনাগো মামা আমারে আগের মতো সময় দেয় না। মনে লয় অন্য কারো লগে ইটিশ পিটিশ করতাসে। গাজি মামা জবাব দিলো: কসম আল্লাহ আমি কারো লগে ইটিশ-পিটিশ করতাসিনা। একটা নতুন টিউশনি করতাসি তাই হেরে আগের মতো টাইম পারিনা। তাছাড়া ওরা ঘর বদলাইছে বইল্যা আগের মতো দেখা হয় না। শুরু হইয়া গেলো ফাইট। এর মইদ্দে আমরা খাবার সাবাড় করতেসি। খাবার খাওয়ার পর আমরা বিশিষ্ট জন ডিসিশন দিলাম: আসলে দুইজনের মাঝে কুনু প্রবলেম নাই। এরমধধে থার্ড পার্টির হাত আসে। এই থার্ড পার্টি হইলো শহিদ ভায়া। কারণ গাজি মামা আর শহিদ ভায়া জিগরি দোস্ত হইলে কি হইবো, দুইজনের মইদ্দে কষাকষি আছে। শহিদ ভায়া, রোজি মামি'র লগে মশকারি করসে আর মামি ওইটা সিরিয়াসলি নিসে। বেচারা শহিদ ভায়া। ঐদিনের খাবারের বিল দিতে হইসে। কিন্তু বিচারের রায় মামিরে খুশি করতে পারে নাই।
পরে অবশ্য গাজি মামা'র আট বছরের পেরেম ভাইংগা গেসে। মামা বেকার আছিলো বইল্যা মামি'র বিয়া হইসে এক উকিলের লগে। উকিল কালা কোট পড়ে তাই আমরা ডাকি কুকিল। আর গাজি মামারে দেখলে কুউ কুউ করি। একটা গানও বান্দসি তারে লইয়া "আমার বউ কাড়িয়া নিলো রে মরার উকিলে....... আমায় উদাসী বানাইয়া গেলো রে মরার উকিলে"
ফাইনাল ট্রাজেডি: একদিন রোজি মামির লগে রাস্তায় দেখা। লগে হের ১ বছরের পুলা। গাজি মামাও আছিলো। রোজি মামি কইলো: বাবু, তুমার মামাদের দেখো। গাজি মামা আমারে ফিসফিসাইয়া কইলো: হায় সেলুকাস্! বাবা কেনো মামা???
অফ টপিক: গাজি মামা এখন বহুত ভালা চাকরি করে। কিন্তু, চান্দে, বাদলে অহনও রোজি রোজি কইয়া চিক্কুর মারে।
আমাগো গাজি মামা দেখতে ছোটোখাট গোলগাল নাদুস-নুদুস। মানুষটা বেয়াফক আমুদে আর হাসি-খুশি। গাজি মামা হইলো আমাগো ডিসটিং গ্রুপের পাবলিক রিলেশন অফিসার। গুরা হউক আর বুড়া হউক লগে লগে ফেরেন্ড বানাইতে গাজি মামা'র বিকল্প নাই। কুনু মাইয়ার নিউজ লাগলে গাজি মামা লগে লগে ডেটা বেইজ ফাইল খুইল্যা চউদ্দ্যা গুস্টির কুষ্টি জানাই দিবো।
এহেন গাজি মামা'র পেরেম আসিলো পাশের বাড়ির রোজি মামি'র লগে। রোজি মামি খুব সুন্দর আসিলো। আসলে গাজি মামা গেসিলো আমার প্রস্তাব লইয়া উল্টা মামা'র লোগে মামি ফিট হইয়া গেসে। সে আরেক কাহিনী। পরে টাইম বুইজ্জা কমু। যদিও পরে আমি রোজি মামি'র ভাই হইয়া গেসিলাম (ট্রাজেডি আর কারে কয়!)। তো একদিন রোজি মামি'র লগে মামা'র হেভি কিচাইন লাগসে। মামি সালিশ ডাকলো এক রেস্টুরেন্টে। ভালা খানা-দানার আশায় আমরা নাদানরা হাজির। ঐ সালিশে আছিলো বিশিষ্ট চিন্তাবিদ মামুন হুজুর (হুজুরের বর্ণনা দিতে গেলে আরো ৩/৪ বার পুস্টাইতে হইবো), বিশিষ্ট আলেম লতা ফরমান (এর চাইতে বড় জালেম আর নাই), বিশিষ্ট সমাজবিদ পুংটা পারভেজ (যার পুংটামির জ্বালায় কত মানুষ কত রাইতে ভাত না খাইয়া আছিলো), চান্দি মানিক (হে খবর ছাড়া গন্ধ শুইক্যা চইল্যা আসছিলো), বিশিষ্ট শহিদ ভায়া আর আমি। উভয় পার্টি বেয়াফক খানা'র অর্ডার দিলো যাতে রায় পখখে যায়। রোজি মামি কইলো: আপনাগো মামা আমারে আগের মতো সময় দেয় না। মনে লয় অন্য কারো লগে ইটিশ পিটিশ করতাসে। গাজি মামা জবাব দিলো: কসম আল্লাহ আমি কারো লগে ইটিশ-পিটিশ করতাসিনা। একটা নতুন টিউশনি করতাসি তাই হেরে আগের মতো টাইম পারিনা। তাছাড়া ওরা ঘর বদলাইছে বইল্যা আগের মতো দেখা হয় না। শুরু হইয়া গেলো ফাইট। এর মইদ্দে আমরা খাবার সাবাড় করতেসি। খাবার খাওয়ার পর আমরা বিশিষ্ট জন ডিসিশন দিলাম: আসলে দুইজনের মাঝে কুনু প্রবলেম নাই। এরমধধে থার্ড পার্টির হাত আসে। এই থার্ড পার্টি হইলো শহিদ ভায়া। কারণ গাজি মামা আর শহিদ ভায়া জিগরি দোস্ত হইলে কি হইবো, দুইজনের মইদ্দে কষাকষি আছে। শহিদ ভায়া, রোজি মামি'র লগে মশকারি করসে আর মামি ওইটা সিরিয়াসলি নিসে। বেচারা শহিদ ভায়া। ঐদিনের খাবারের বিল দিতে হইসে। কিন্তু বিচারের রায় মামিরে খুশি করতে পারে নাই।
পরে অবশ্য গাজি মামা'র আট বছরের পেরেম ভাইংগা গেসে। মামা বেকার আছিলো বইল্যা মামি'র বিয়া হইসে এক উকিলের লগে। উকিল কালা কোট পড়ে তাই আমরা ডাকি কুকিল। আর গাজি মামারে দেখলে কুউ কুউ করি। একটা গানও বান্দসি তারে লইয়া "আমার বউ কাড়িয়া নিলো রে মরার উকিলে....... আমায় উদাসী বানাইয়া গেলো রে মরার উকিলে"
ফাইনাল ট্রাজেডি: একদিন রোজি মামির লগে রাস্তায় দেখা। লগে হের ১ বছরের পুলা। গাজি মামাও আছিলো। রোজি মামি কইলো: বাবু, তুমার মামাদের দেখো। গাজি মামা আমারে ফিসফিসাইয়া কইলো: হায় সেলুকাস্! বাবা কেনো মামা???
অফ টপিক: গাজি মামা এখন বহুত ভালা চাকরি করে। কিন্তু, চান্দে, বাদলে অহনও রোজি রোজি কইয়া চিক্কুর মারে।
শহিদ ভায়া: দ্যা কুইন ফিল্ড প্যাশেন্ট
সংবিধিবদ্ব সতকিকরণ: পুরাই উরাধূরা। নিজ দ্বায়িত্বে পড়িবেন। প্রাপ্তবয়স্কদের উপাদান আছে।
আড্ডার টাইমে জামান হোটেলে গিয়া দেখি কোণার টেবিলে বইস্যা চেয়ারের উপরে এক ঠেংগ তুইল্যা শহিদ ভায়া ধুমসে গোরুর মাংস দিয়া পরোটা মারতাসে। আমার লগে লগে দেখি ড্যান্সিং মোরশেদ, অ্যান্জেল পলাশ, চান্দি মানিক আর লতা ফারমানও হাজির। সবাই তো হেভী টাসকি খাইসে। চান্দি মানিক যারে আবার আমরা আদর কইরা CNG কইয়া ডাকি কারণ সে ইন্জিনিয়ার বইলা নামের আগে ENG. লেখে। সে কইলো: শহিদ ভায়া, তুমার পকেটে হালায় অন্যদিন দুই টেকা থাকেনা, আইজকা হালায় গোস্ত, পরটা কোপাও। শহিদ ভায়া বড় দূঃখ কইরা কইলো: মনটা বড় খারাপ। আসে। হালার ডাক্তারের কাসে গেসিলাম, বড় কাহিল লাগে বইল্লা। ডাক্তার আমারে ১২টা টেস্ট দিসে কিসসু পাই নাই। মনে হয় জটিল কিসু হইসে নইলে এতো টেস্টের পরও কিসু পাইবোনা কেন। তাই মনের দূঃখে গোস্ত, পরটা খাই। শুইন্যা মাথার মধ্য কেমুন জানি একটা জাটকা দিয়া উঠল। এই না হইলে আমাগো শহিদ ভায়া, মাইনষে মনের দূঃখে খারাপ কত কিসু করে। আর আমাগো শহিদ ভায়া মনের দূঃখে গোস্ত, পরটা চাবায়। কি গঠনমূলক চিন্তা! এর মাঝে আবার গাজি মামা হাজির। সে আবার মেডিকেলে দুইবার অ্যাডমিশন টেস্ট দিসে বইল্লা লেম্পু ডাক্তার হিসাবে নাম করসে। এইবার গাজি মামা শুরু করলো কেরামতি। জিগাইলো: আইচ্ছা শহিদ ভায়া, তোর কেমুন কেমুন লাগে? শহিদ ভায়া কইলো: আমার দূর্বল লাগে তাই খালি ঝিমাই। লগে লগে CNG তার চান্দি মাথায় হাত বুলাইতে বুলাইতে কয়: হ আমি দেখসি। হে টেম্পুর ভিতরেও ঝিমায়। তারে অফ্ করাইয়া কইলাম: আরে CNG, এখন দেশ ও জাতির কঠিন অবস্হা। শহিদ ভায়া'র কিসু হইলে দেশ ও জাতি একটা আইটেম হারাইবে। তুই আল্লাহর ওয়াস্তে অফ্ যা। এরপরে গাজি মামা আবার শহিদ ভায়ারে জিগাইলো: আর কেমুন লাগে? শহিদ ভায়া কয়: পায়খানা রেগুলার না। গাজি মামারে বড় চিন্তিত মনে হইল। কিসু সময় চিন্তা কইরা গাজি মামা ক্য়: শহিদ ভায়া, আমার মনে হয় তোর মেডিসিনের ডাক্তারের কাসে না গিয়া ভেটেনারি ডাক্তারের কাসে যাওয়া উচিত। কেননা, তোর রাণীখেত রোগ হইসে।(বাহবা গাজি মামা, মানুষের রাণীখেত রোগ আবিষ্কারের জন্য নোবেল প্রাইজ পাওয়ার যোগ্য।) শুইন্যাই সবার মাথার তারে টুংটাং কইরা উঠল। কইলাম: কি মামা এইটা আবার কি আবিষ্কার করলা? মামা কইলো: আরে রোগের কারন ও লকখন দেখলে তো এইটা ক্লিয়ার। রাণীখেত রোগ হইলে আক্রান্ত রোগী ঝিমায়, চুনা পায়খানা করে। তো শাহিদের রোগের লগে মিল আছে। তাই ওর রাণীখেত রোগ হইসে। এইবার লতা ফারমান কইলো: এইটা তো মানুষের জন্য একটা বিরল রোগ। মনে হয় বহুত টেকা পয়সা লাগবো। তাইলে আমরা বিরল রোগী শহিদ ভায়া'র জন্য ফান্ড জোগাড় করি। পেপারে এড দিমু " বিরল রাণীখেত রোগে আক্রান্ত শহিদ ভায়া'কে বাচাতে এগিয়ে আসুন" চান্দি মানিক কইলো: রাণীখেত রোগ কতাডা কেমুন জানি লাগে। এইটার ইংরেজি নাম দিলে ভালা হয়। কিন্তু রাণীখেত রোগের ইংরেজি নাম কেউ জানেনা। অ্যান্জেল পলাশ কইলো: এইটা আর কঠিন কি? রাণী মানে কুইন, খেত মানে ফিল্ড আর রোগ মানে ডিজিজ। সো পুরাটা করলে দাড়ায় - কুইন ফিল্ড ডিজিজ। ব্যাপারটা সবার খুব পছন্দ হইলো। ড্যান্সিং মোরশেদ কইলো: সব তো ঠিক কিন্তু শহিদ ভায়া'র এই রোগ হইলো কেমতে? গাজি মামা উত্তর দিলো: এই রোগের কারন হইলো অপরিস্কার থাকা। একটা মুরগি থেকে আরেকটাতে হয়। কিন্তু, আমাদের শহিদ ভায়া তো রেগুলার গোসল করে। অমনি মানিক চান্দ কইলো: আরে শহিদ ভায়ার মুরগি থেইক্যা হইসে। একবার সে কইসিলো কনট্রল করতে না পাইরা ছোটোবেলায় সে একবার একটা ডিম পাড়া মুরগি রে ......... ................................
আড্ডার টাইমে জামান হোটেলে গিয়া দেখি কোণার টেবিলে বইস্যা চেয়ারের উপরে এক ঠেংগ তুইল্যা শহিদ ভায়া ধুমসে গোরুর মাংস দিয়া পরোটা মারতাসে। আমার লগে লগে দেখি ড্যান্সিং মোরশেদ, অ্যান্জেল পলাশ, চান্দি মানিক আর লতা ফারমানও হাজির। সবাই তো হেভী টাসকি খাইসে। চান্দি মানিক যারে আবার আমরা আদর কইরা CNG কইয়া ডাকি কারণ সে ইন্জিনিয়ার বইলা নামের আগে ENG. লেখে। সে কইলো: শহিদ ভায়া, তুমার পকেটে হালায় অন্যদিন দুই টেকা থাকেনা, আইজকা হালায় গোস্ত, পরটা কোপাও। শহিদ ভায়া বড় দূঃখ কইরা কইলো: মনটা বড় খারাপ। আসে। হালার ডাক্তারের কাসে গেসিলাম, বড় কাহিল লাগে বইল্লা। ডাক্তার আমারে ১২টা টেস্ট দিসে কিসসু পাই নাই। মনে হয় জটিল কিসু হইসে নইলে এতো টেস্টের পরও কিসু পাইবোনা কেন। তাই মনের দূঃখে গোস্ত, পরটা খাই। শুইন্যা মাথার মধ্য কেমুন জানি একটা জাটকা দিয়া উঠল। এই না হইলে আমাগো শহিদ ভায়া, মাইনষে মনের দূঃখে খারাপ কত কিসু করে। আর আমাগো শহিদ ভায়া মনের দূঃখে গোস্ত, পরটা চাবায়। কি গঠনমূলক চিন্তা! এর মাঝে আবার গাজি মামা হাজির। সে আবার মেডিকেলে দুইবার অ্যাডমিশন টেস্ট দিসে বইল্লা লেম্পু ডাক্তার হিসাবে নাম করসে। এইবার গাজি মামা শুরু করলো কেরামতি। জিগাইলো: আইচ্ছা শহিদ ভায়া, তোর কেমুন কেমুন লাগে? শহিদ ভায়া কইলো: আমার দূর্বল লাগে তাই খালি ঝিমাই। লগে লগে CNG তার চান্দি মাথায় হাত বুলাইতে বুলাইতে কয়: হ আমি দেখসি। হে টেম্পুর ভিতরেও ঝিমায়। তারে অফ্ করাইয়া কইলাম: আরে CNG, এখন দেশ ও জাতির কঠিন অবস্হা। শহিদ ভায়া'র কিসু হইলে দেশ ও জাতি একটা আইটেম হারাইবে। তুই আল্লাহর ওয়াস্তে অফ্ যা। এরপরে গাজি মামা আবার শহিদ ভায়ারে জিগাইলো: আর কেমুন লাগে? শহিদ ভায়া কয়: পায়খানা রেগুলার না। গাজি মামারে বড় চিন্তিত মনে হইল। কিসু সময় চিন্তা কইরা গাজি মামা ক্য়: শহিদ ভায়া, আমার মনে হয় তোর মেডিসিনের ডাক্তারের কাসে না গিয়া ভেটেনারি ডাক্তারের কাসে যাওয়া উচিত। কেননা, তোর রাণীখেত রোগ হইসে।(বাহবা গাজি মামা, মানুষের রাণীখেত রোগ আবিষ্কারের জন্য নোবেল প্রাইজ পাওয়ার যোগ্য।) শুইন্যাই সবার মাথার তারে টুংটাং কইরা উঠল। কইলাম: কি মামা এইটা আবার কি আবিষ্কার করলা? মামা কইলো: আরে রোগের কারন ও লকখন দেখলে তো এইটা ক্লিয়ার। রাণীখেত রোগ হইলে আক্রান্ত রোগী ঝিমায়, চুনা পায়খানা করে। তো শাহিদের রোগের লগে মিল আছে। তাই ওর রাণীখেত রোগ হইসে। এইবার লতা ফারমান কইলো: এইটা তো মানুষের জন্য একটা বিরল রোগ। মনে হয় বহুত টেকা পয়সা লাগবো। তাইলে আমরা বিরল রোগী শহিদ ভায়া'র জন্য ফান্ড জোগাড় করি। পেপারে এড দিমু " বিরল রাণীখেত রোগে আক্রান্ত শহিদ ভায়া'কে বাচাতে এগিয়ে আসুন" চান্দি মানিক কইলো: রাণীখেত রোগ কতাডা কেমুন জানি লাগে। এইটার ইংরেজি নাম দিলে ভালা হয়। কিন্তু রাণীখেত রোগের ইংরেজি নাম কেউ জানেনা। অ্যান্জেল পলাশ কইলো: এইটা আর কঠিন কি? রাণী মানে কুইন, খেত মানে ফিল্ড আর রোগ মানে ডিজিজ। সো পুরাটা করলে দাড়ায় - কুইন ফিল্ড ডিজিজ। ব্যাপারটা সবার খুব পছন্দ হইলো। ড্যান্সিং মোরশেদ কইলো: সব তো ঠিক কিন্তু শহিদ ভায়া'র এই রোগ হইলো কেমতে? গাজি মামা উত্তর দিলো: এই রোগের কারন হইলো অপরিস্কার থাকা। একটা মুরগি থেকে আরেকটাতে হয়। কিন্তু, আমাদের শহিদ ভায়া তো রেগুলার গোসল করে। অমনি মানিক চান্দ কইলো: আরে শহিদ ভায়ার মুরগি থেইক্যা হইসে। একবার সে কইসিলো কনট্রল করতে না পাইরা ছোটোবেলায় সে একবার একটা ডিম পাড়া মুরগি রে ......... ................................
Subscribe to:
Posts (Atom)